পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করবে ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেশ আছে যারা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করে। চীন নিজেদের যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করলেও তারা যে সফল নয় তা একাধিকবার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় বেড়িয়ে এসেছে। বিশেষ করে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানে তারা রাশিয়ার চতুর্থ প্রজন্মের বিমানের ইঞ্জিন ব্যবহার করে, যা ভারতবর্ষের কাছেও রয়েছে। তবে কিছু বছরের মধ্যেই ভারতবর্ষ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে সক্ষম হবে।
ফ্রান্স ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হতে চলেছে ১১০কেএন এর ইঞ্জিন! ভারত ও ফ্রান্স যৌথ ভাবে তৈরি করতে চলেছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ইঞ্জিন কমপ্লেক্স। যার নেতৃত্বে থাকবে ডিআরডিও। ফ্রেঞ্চ প্রযুক্তিতের সাথে ভারতীয় প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হবে ইঞ্জিন যার সম্পূর্ন টেকনোলজি ট্রান্সফার করবে ফ্রান্স। এটা রাফালের অফসেট চুক্তির অংশ। এই ইঞ্জিন কমপ্লেক্সে আগামি ৭বছরের মধ্যে ইঞ্জিন তৈরি হবে যার ক্ষমতা হবে ১১০কিলোনিউটন থ্রাস্ট উৎপন্ন করার। এই ইঞ্জিন ভারতের পরবর্তী প্রজন্মের আমকা স্টেল্থ যুদ্ধবিমানকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেবে।
তৈরি হওয়া ইঞ্জিনের ১০০শতাংশ প্রযুক্তি ট্রান্সফার করা হবে হ্যলকে। তবে আমকা যেহুতু প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপে তৈরি করা হবে তাই ইঞ্জিনের প্রযুক্তি আমকার প্রাইভেট কম্পানি পার্টনার পাবে কিনা তা এখনও জানা যায় নি।
রাফালের মেইন্টেইন্যন্সের জন্য ইতিমধ্যে হ্যল রাফালের ইঞ্জিন এম-৮৮ এর সহায়তা দিচ্ছে। যার ফলে হ্যল এখন থেকেই নতুন ফ্রেঞ্চ প্রযুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করছে। “নতুন প্রযুক্তি পাওয়ার জন্য হ্যলের সাথে ফ্রেঞ্চ স্যফরনের চুক্তি হতে চলেছে যা হাই থ্রাস্ট ইঞ্জিন নির্মানে প্রয়োজন। নতুন ইঞ্জিন রাফালের এম-৮৮ এর মত হবে যা হ্যলকে রাফাল ফ্লিটকে সুবিধা দিতে আর ১১০কেএন ইঞ্জিন নির্মানে সহায়ক করে তুলবে”
উল্লেখ রোলস্ রয়েসের সাথেও ভারত এরকম ইঞ্জিন তৈরি করার জন্য কথা চালাচ্ছে। রাফাল চুক্তিতে স্যফরন বেশি সুবিধা পাবে তবে একথা অস্বিকার করার উপায় নেই যে রোলস্ রয়েসের প্রযুক্তি অনেক বেশি আধুনিক স্যফরনের চেয়ে। তবে শেষ হাসি স্যফরন হাসবে বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ফ্রেঞ্চ ইঞ্জিনের রিয়েলিবিলিটি রোলস্ রয়েসের থেকে কম কিছু নয়। ভারত রোলস্ রয়েস বাছুক বা স্যফরন। সিঙ্গিল ব্লেগ ক্রিস্টাল প্রযুক্তি ভারত ইউরোপ থেকে পাবে এটা নিশ্চিত। আর এই জটিল প্রযুক্তির দুর্দান্ত ইঞ্জিন শক্তিদেবে আমকাকে।
বিশ্বের বাকি দেশরা যারা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে তারা কেউ দেশীয় ইঞ্জিন নিয়ে ভাবছে না। তাদের লক্ষ ডিজাইন করে দেশীয় এ্যভিয়ন্সিস ভরা। কিন্তু ভারত এখনে ইঞ্জিনের দিকটা বেশি গুরূত্ব দিয়ে নিজেকে সব দিক থেকে আত্মনির্ভর করতে চাইছে। তাই হয়তো অন্য দেশের তুলনায় ডিজাইনিং এর দিকে ভারত পিছিয়ে পরেছে। কিন্তু ভারতের হাতে নিজের ইঞ্জিন চলে এলে ভারত এক লাফে সবাইকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে।