৬০০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলবে। পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারতের হাতে আসতে চলেছে হাইপারসনিক মিসাইল। জানুন বিস্তারিত
নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া এবং আমেরিকার পর সামরিক অস্ত্রের এক বিরাট সম্ভারের পাশাপাশি উন্নত টেকনোলোজির অস্ত্র দেশীয় টেকনোলোজিতে আনতে চলেছে ভারতবর্ষ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অত্যাধুনিক টেকনোলোজি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে, আগামি দিনে আরও কিছু টেকনোলোজি আসবে তা ইতিমধ্যে পরিষ্কার। কিছু সামরিক বিশারদের মতে আমেরিকা, রাশিয়ার পর চীনকে সবথেকে শক্তিশালী দেশের মধ্যে ধরা হয়। তবে চীন তাদের বেশিরভাগ অস্ত্র পৃথিবীর সামনেই নিয়ে আসেনি এখনও। অর্থাৎ চীনের অস্ত্র নিয়ে সঠিক ধারণা অনেকের কাছেই নেই।
ডি আর ডি ও, বা ডিফেন্স রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ইতিমধ্যে বেশ টেকনোলোজি সামনে নিয়ে এসেছে, যা সারা বিশ্বের কাছে চমকে দেওয়ার মতোই। হাইপারসনিক ওয়েপন্স Hypersonic Technology Demonstrator Vehicle (HTDV) এর বেশকিছু সফল গবেষণামুলক পরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে ডি আর ডি ও। প্রধানত এইচটিডিভি ফ্লাইট প্রজেক্টে গ্লাইড ভ্যাসেলে ডিআরডিও তাদের স্ক্র্যাম জেট প্রপালশান টেকনোলজি ইউজ করেছে।
অর্থাৎ ৩২ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে মাত্র ২০ সেকেন্ড সময় নেবে বা ম্যাক ৬ এর কাছাকাছি গতি। প্রতি ঘণ্টায় ১২২৫ কিমি গতি তুলতে ১৩.৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের তারতম্যকে আদর্শ ম্যাক ১ গতি বলা হয়ে থাকে। যা সাধারণ সবধরনের যুদ্ধবিমান এবং মিসাইলে দেখা যায়। যদিও স্বাভাবিক ৩০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় যুদ্ধবিমান বা মিসাইল ম্যাক ১ গতিতে উড্ডয়ন করে থাকলেও তা প্রতি ঘন্টায় ১,২৬০ কিলোমিটার গতির সমতুল্য বলে প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
তবে এই ধরনের হাইপারসনিক ওয়েপন্স টেকনোলজি গবেষণা ভারতবর্ষ অনেক এগিয়ে এসেছে। টেকনোলোজিতে উন্নত অনেক অত্যাধুনিক দেশকেও পেছনে ফেলেছে ভারতবর্ষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি ইউরোপের অনেক সমৃদ্ধশালি দেশকে পেছনে ফেলে চতুর্থস্থানে উঠে এসেছে ভারতের নাম।
উচ্চ প্রযুক্তির হাইপারসনিক মিসাইল নিয়ে গবেষোণারত পৃথিবীর বহু দেশ এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক এবং উন্নয়নের স্তরেই রয়েছে। তবে সূত্র অনুযায়ী রাশিয়া তাদের আপকামিং কেএইচ-৪৭এম২ এয়ার লাউঞ্চ ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষামুলক উড্ডয়নে ম্যাক ১০ বা ১২,৪২৮.৬৪ কিলোমিটারে পৌছেছে। পাশাপাশি চীন ম্যাক ৫ গতির ডিএফ-১৭ হাইপারসনিক গ্লাইড ভ্যাসেল প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে তবে বরাবরের মতো তাদের সক্ষমতা নিয়ে কোন তথ্য তারা প্রকাশ করেনি।
দিনে দিনে টেকনোলোজি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে গতি আরও বাড়বে, এবং এই ধরনের মিসাইলের উপর এক বিরাট প্রভাব পরবে। আজ থেকে প্রায় ১২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯০৩ সালে মানব জাতির ইতিহাসে প্রথমবার মাত্র ৭০ কিলোমিটার গতি নিয়ে আকাশ জয়ের যাত্রা শুরু হয়, তবে আজ ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ এই ধরনের মিসাইলের গতি ৭,০০০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে ইতিমধ্যে। আগামী ১০০ বছর পর উন্নত দেশগুলো হয়ত প্রযুক্তিগত ভাবে এতটাই উন্নত হতে চলেছে যেখানে দাঁড়িয়ে একটা বুলেট ট্রেনের গতি ১০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হলে কেউ অবাক হবেনা। আবার একটা যুদ্ধবিমানের গতি নুন্যতম ৬ হাজার কিলোমিটার বা সুপার স্পিড হাইপারসনিক মিসাইলের প্রতি ঘন্টায় গতি ১২-১৫ হাজার কিলোমিটার হলে তা খুবই সাধারণ হবে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক রকেট ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি স্পেসশীপে মাত্র ৭ দিনের মঙ্গলগ্রহে মিশন পরিচালনা করতে কিছু নভশ্চর যদি যায় সেক্ষেত্রেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।