পাকিস্তান

জালি লাইসেন্স ব্যবহার করে পাকিস্তানের বায়ুসেনা

নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান দেশটির নাম মাথায় আসলে সবার আগে যে শব্দটি মাথায় আসে তা হল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর কারন একাধিক সময় তাদের উপর বিভন্ন নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। তবে পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই, তাদের কোনও রুপ পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে আবার তুরস্ক। পাকিস্তানকে একাধিক বিষয়ে সাহায্যের পাশাপাশি তাদেরকে বিভিন্ন অস্ত্র সহ টেকনোলোজি দিয়ে সাহায্য করছে তুরস্ক। আসলে তুরস্ক যে জঙ্গিদের সাহায্য করে এ আর নতুন কিছু নয়, তুরস্কে গৃহ যুদ্ধের কারনে প্রচুর পাইলট অবসর গ্রহণ করেছে, আর সেই কারনে তারা পাকিস্তান থেকে পাইলট নিয়ে এসে তাদের বিমানবাহিনীর কাজ লাগাচ্ছে। তবে তাদের জানা নেই যে পাকিস্তানের পাইলটরা ফেক লাইসেন্সের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে।

আর এই ফেক লাইসেন্সের কারনে ১৮৮টি দেশে ব্যন হয়েছিল পাক এয়ারলাইন্স। আসলে পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সের ৪০শতাংশ পাইলটেরা ফেক লাইসেন্সের(যার কোনও ভিত্তি নেই) মাধ্যমে বিমান উড্ডয়ন করেছে। আর এই তথ্য প্রকাশ করেছে তাদের দেশের এ্যভিয়েটর মিনিস্টার। এরপরই হইচই পরে যায় বিশ্ব জুড়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু দেশ নিষিদ্ধ করেছিল পাক এয়ারলাইন্সকে তাদের দেশের নাগরিকদের সূরক্ষার কথা ভেবে।

International Civil Aviation Organisation (ICAO) ১৭৯তম সেশানের ১২তম মিটিং এর শেষে তাদের তৈরি Significant Safety Concerns (SSCs) পূরণ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান সহ মোট ৮টি দেশ। পাকিস্তানের ১৪১টি ফেক লাইসেন্স অধিকারী সহ ২৬৪টি পাইলট রয়েছে। যাদের পারফর্মেন্স খুবই খারাপ। বিমানের দেখভালের বা যত্ন ততটাও নয়। পাকস্তানের অর্থনীতি এমনিতে টালমাটাল। তার মধ্যে ১৮৮টি দেশে পাক এয়ারলায়েন্স বন্ধ হওয়া গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে তার পরে প্রচুর দেশ তাদের উপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.