এত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও কেন ঝাড়খন্ডের উন্নতি হয়নি?
রাজেশ রায়:— খনিজ সম্পদের জন্য গোটা বিশ্বে প্রসিদ্ধ হচ্ছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য। ঝাড়খন্ড শব্দের অর্থ দি ল্যান্ড অফ ফরেস্ট। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা ও ছত্রিশগড়ের সাথে সীমান্ত যুক্ত এই রাজ্যে প্রচুর খনিজসম্পদের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বন জঙ্গল রয়েছে। এছাড়াও পাহাড়, ঝর্না ও ধার্মিক জায়গাও এখানে প্রচুর আছে। ঝাড়খন্ডের এই ব্যাপক খনিজ সম্পদ সম্পর্কেই আলোচনা করা হবে, সাথে এটাও বলা হবে কেন এত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্বেও ঝাড়খন্ড ততটা উন্নত হতে পারে নি?
প্রথমেই ঝাড়খন্ডের ব্যাপারে কীছু সাধারন বিষয় জানা যাক। ২০০০ সালে বিহারের থেকে আলাদা হয়ে ঝাড়খন্ড রাজ্য তৈরি হয়। দক্ষিন বিহারের ছোটনাগপুর ডিভিশন এবং সাঁওতাল পরগনা ডিভিশন নিয়ে গঠিত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আয়তন ৭৯,৭১০ স্কোয়ার কিলোমিটার এবং এখানকার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩.২৯ কোটি। ঝাড়খন্ডের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৪ শতাংশই শহরে থাকে এবং বাকী ৭৬ শতাংশ গ্রামে বসবাস করে। এখানের প্রধান ধর্ম হিন্দু যা মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ। এখানে মুসলিম ও উপজাতি সম্প্রদায় আছে ১৩ শতাংশ করে এবং ৪ শতাংশ খ্রীষ্টান আছে। ঝাড়খণ্ডে ৩০ টির বেশী উপজাতি সম্প্রদায় রয়েছে যারা মুন্ডা, মালপাহাড়িয়া, ওড়ান, বিরহর ইত্যাদিতে থাকে। ঝাড়খণ্ডে মোট শিক্ষিতের হার ৬৭.৬৩ শতাংশ যার মধ্যে পুরুষদের শিক্ষিতের হার ৭৮.৪৫ শতাংশ এবং মহিলাদের ৫৬.২১ শতাংশ। এবার ঝাড়খণ্ডের ইতিহাস সম্পর্কে একটু জানা যাক।
বনজঙ্গল এবং পাহাড়ে ঘেরা ঝাড়খন্ড বহুকাল ধরেই বাইরের জগৎ এর থেকে আলাদা একটু। ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের ইতিহাস হাজার বছর পুরোনো। ঐতিহাসিকবিদদের মতে ঝাড়খণ্ডের উপজাতিদের সাথে হরপ্পা সভ্যতার মিল পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চল থেকে মগধ সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিল লাভ হয়েছিল অনেক। এরপর গুপ্ত সহ অনেক রাজাই এই অঞ্চলের অধিকারী ছিল। দিল্লির মুসলিম শাসক থেকে শুরু করে বাংলার রাজা এবং ব্রিটিশরাও ঝাড়খণ্ডের খনিজ সম্পদের মোহে পড়েছিল। সবচেয়ে বেশী ব্রিটিশরাই ঝাড়খন্ডের খনিজসম্পদ লুঠ করেছিল এর জন্য ব্রিটিশরা কলকাতায় একটি বন্দর এবং ঝাড়খণ্ডে রেললাইন তৈরি করেছিল। আসলে ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য ছিল ইংল্যান্ডের শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। বীরসা মুন্ডা, সিধু, কানু এই অঞ্চলের বিখ্যাত বিপ্লবী যারা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। ঝাড়খণ্ডের বন জঙ্গল বাঁচাবার জন্য ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধ করে বীরসা মুন্ডা যাকে স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায় ধাত্রী আবা না পৃথিবীর ভগবান বলত। বীরসা মুন্ডা ইংরেজদের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং জেলেই ওনার মৃত্যু হয়।
ঝাড়খন্ডে অনেক বিখ্যাত জায়গা আছে যেমন ডানটনগঞ্জের পালামৌ দুর্গ যা উত্তর কোয়েল নদীর তীরে অবস্থিত, এটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা। হিন্দু ধর্মের ৫১ টি সতী পীঠের একটি ভদ্রকালী মন্দির ঝাড়খণ্ডের ছত্রা জেলায় অবস্থিত। সতেরো থেকে উনিশ শতকে দুমকার মালুটিতে একগুচ্ছ মন্দির তৈরি হয় যাতে ভগবান শিব, বিষ্ণু এবং মা দূর্গার পূজো হয়। হাজারিবাগের ইস্কো গ্রাম পাথরের উপর চিত্রকলার জন্য প্রসিদ্ধ যা মধ্যযুগীয় সময়ে তৈরি হয়েছিল। সাহেবগঞ্জের তেলিয়াগাড়ি দুর্গ বিখ্যাত একটি জায়গা একে বেঙ্গলের প্রবেশদ্বারও বলা হত। এছাড়া নীলকন্ঠ মহল, রাজ মহল ও ঝাড়খন্ডের দর্শনীয় স্থান। ঝাড়খন্ডের বিশেষ কীছু উপজাতি উৎসব হচ্ছে জিতিয়া, করম, নওয়াখানি, সোহরাই ইত্যাদি। ঝাড়খন্ডের বিখ্যাত কীছু উপজাতি নাচ হচ্ছে ছৌ নাচ, মুন্ডারি, ডোমকাচ, পেইনকি ইত্যাদি। ঝাড়খন্ডকে প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার বলা হয়। ভারতের ৪০ শতাংশ খনিজ সম্পদ, ২৯ শতাংশ কয়লা, ২৬ শতাংশ লোহা, ১৮.৫ শতাংশ তামা ঝাড়খণ্ডেই পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে ইউরেনিয়াম, বক্সাইট, মাইকা, গ্রানাইট, ম্যাগনাইট, লাইমস্টোন, গ্রাফাইট, রুপো ও ডোলোমাইট পাওয়া যায়। ঝাড়খণ্ড ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে রান্নার কয়লা, ইউরেনিয়াম ও পাইরাইট পাওয়া যায় এবং লোহা, তামা, মাইকা ও কাইনাইটের ক্ষেত্রে ঝাড়খন্ড ভারতে প্রথম স্থানাধিকারি।
১৭৭৪ সালে ঝাড়খন্ডে প্রঘম কয়লা উত্তোলন শুরু করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১৯০০ সাল আসতে আসতে ঝাড়খন্ড থেকে প্রতিবছর ৬.১২ মিলিয়ন মেট্রিকটন কয়লা উত্তোলন শুরু হয়ে যায়। ১৯২০ সালের পর এই সংখ্যা বেড়ে ১৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন হয়ে যায়। স্টিম ইঞ্জিন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে কয়লা উত্তোলনের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিকটন হয়। ১৮৯৪ সালে প্রথম কোন ভারতীয় শেঠ খোরা রামজি ঝাড়িয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা বের করা শুরু করে। ১৯৩০ সালের পর আরও অনেক ভারতীয় ধানবাদ, বোকারো এবং ঝাড়িয়া থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করে। স্বাধীনতার পর সরকারের তৈরি ন্যাশানাল কোঅপারেটিভ ডেভলপমেন্ট কো অপারেশনের নেতৃত্বে কয়লা উৎপাদনে আরও গতি আসে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকে ভারতের সমস্ত কয়লাখনির জাতীয়করন শুরু হয়। ১৯৭১-১৯৭৩ এর মধ্যে ভারতের সমস্ত কয়লাখনি ভারত সরকারের অধীনে চলে আসে। তবে এর ৪০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার কয়লাখনিতে বেসরকারী সংস্থা গুলোকো কয়লা উত্তোলনের অনুমতি দেয় যাতে সংস্থাগুলি তাদের সিমেন্ট, স্টিল তৈরির জন্য নিজে থেকেই কয়লা তুলতে পারে। এর জন্য ২০১৮ সালে ১৯৭৩ সালের কোল মাইনস অ্যাক্টের পরিবর্তন করা হয়। ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে বেসরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কয়লাখনিতে যুক্ত হয়। ঝাড়খন্ডের অবস্থান এমন জায়গায় যাতে পূর্ব ভারতের বাজার খুব সহজেই দখল করা যায়। কাছাকাছি কলকাতা, হলদিয়া, পারাদ্বীপ বন্দর থাকায় খনিজ পদার্থের রপ্তানিতেও সুবিধা হয়।
ঝাড়খন্ডে বড় শিল্পের সূচনা হয় ১৯০৭ সালে যখন জামসেদজী টাটা পূর্ব সিংভূম জেলার সাকচিতে টিসকো তৈরি করেন, যেখানে ১৯১১ থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৪৮ টাটা গ্রুপ এখানে টেলকো বা টাটা ইন্জিনিয়ারিং এন্ড লোকেমেটিভ কোম্পানি তৈরি করে। পরে জামসেদশী টাটার সম্মানে সাকচির নাম জামসেদপুর করে দেওয়া হয়। আজ এই জায়গা টাটানগর নামে বিশ্বে প্রসিদ্ধ। ভারত সরকারের সেইল বা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যৌথভাবে ১৯৬৪ সালে বোকারো স্টিল প্ল্যান্ট তৈরি করে। ১৯৭২ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হওয়া এই প্ল্যান্টে বর্তমানে ৩২ লাখ টন স্টিল তৈরি হয়। ১৯৫৮ সালে ভারত সরকার সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চেকোশ্লোভিয়ার সাথে যৌথভাবে এইচইসি বা হেভি ইন্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন তৈরি করে। ১৯৫১ সালে ধানবাদে বিশাল সার ফ্যাক্টরিও তৈরি করা হয়। ১৯৫৮ সালে রাঁচির কাছে মুড়িতে ইন্ডিয়ান অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানি তৈরি করা হয়। পরে বিড়লা গ্রুপ এটি কিনে নেয় এবং নতুন নাম হয় হিন্দালকো। আজ এই প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা ১.৬০ লাখ টন। ১৯২৪ সালে ঘাটশিলাতে ইন্ডিয়ান কপার কর্পোরেশন তৈরি করা হয়। এছাড়া উষা গ্রুপ, এসিসি গ্রুপের মতন সংস্থাও এখানে আছে। ঝাড়খণ্ডের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা আজও চাষের উপরই নির্ভরশীল। এখানে সবচেয়ে বেশী উৎপাদন হয় চালের। আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, টমেটো, মটরশুঁটি, বাধকপির মতন সবজি এখানের প্রচুর উৎপন্ন হয়। ঝাড়খন্ডের তিন শতাংশ জিডিপি মাছ চাষ থেকে আসে। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেশম উৎপাদন কারী রাজ্য ঝাড়খন্ড, এখানে চার ধরনের রেয়ম তৈরি হয় মালবারী, তাসার, মুগা এবং ইরি। এসব কারনে ঝাড়খণ্ডের অর্থনৈতিক যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও ঝাড়খন্ডে কিছু সমস্যা আছে।
বর্তমানে ঝাড়খন্ডের জিএসডিপি ৩,৬১,৩৮১ কোটি টাকা যার প্রধান উৎস ঝাড়খন্ডের খনিজ সম্পদ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এত কিছুর পরও ঝাড়খন্ড আজ ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে। নিতি আয়োগের ২০২১ এর উন্নয়নশীল রাজ্য গুলোর ইনডেক্সে ঝাড়খন্ড পেছনের দিক দিয়ে দুই নাম্বারে আছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ গত বিচারে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে ঝাড়খন্ড ভারতের ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে ২৭ তম হয়েছে এবং ৭৫ পয়েন্ট পেয়ে করেলা সর্ব প্রথম হয়েছে। জিরো হাঙ্গার ইনডেক্সে মাত্র ১৯ পয়েন্ট পেয়ে ঝাড়খন্ড শেষ স্থান পেয়েছে, এখানেও ৮০ পয়েন্ট পেয়ে কেরালা প্রথম হয়েছে। টেকনোলজি ও শিল্পের ক্ষেত্রে ঝাড়খন্ড মাত্র ৩৭ পয়েন্ট পেয়েছে যেখানে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে গুজরাট সবার আগে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ঝাড়খন্ড দ্বিতীয় সর্বনিম্ন হয়েছে অন্যদিকে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে ওড়িশা সবার আগে রয়েছে।
২০১৫-১৬ তে ঝাড়খন্ডের অর্থনীতি ৬.২ শতাংশ নেগেটিভ গ্রোথ ছিল। ২০১১ থেকে ২০২০ অবধি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঝাড়খন্ডে ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু ২০১৬-২১ অবধি ঝাড়খন্ডে ট্যাক্স আদায় ৭.১ শতাংশ কমেছে। ঝাড়খণ্ডের পার ক্যাপিটা ইনকাম ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে চতুর্থ সর্বনিম্ন, এই জন্য ভারতের সবচেয়ে বেশী দারিদ্র্যতা ঝাড়খন্ডেই দেখা যায়। ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৩৭ শতাংশ জনসংখ্যা দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে। দি ল্যান্ড অফ ফরেস্ট নামে খ্যাত ঝাড়খন্ডে আজ মাত্র ২৯ শতাংশ বনই আছে যেখানে ভারতের জাতীয় বন নীতি অনুযায়ী প্রতিটি রাজ্যে ৩৩ শতাংশ বন দরকার। ঝাড়খন্ডের এই অবস্থার অন্যতম বড় কারন রাজনৈতিক অস্থিরতা। ঝাড়খন্ডের ২০ বছরের ইতিহাসে ১০ বার মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে যার কারনে এখানকার খনিজ সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহার হচ্ছে। যার কারনে রাজ্যের একটা বড় সংখ্যায় মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছে এবং নক্সালের মতন সংগঠন প্রভাব বিস্তার করছে।
ঝাড়খণ্ডের কয়েকটি জেলায় খনিজ সম্পদের ভান্ডার রয়েছে কিন্তু বাকী অনেক জেলায় লোক খেতে পারছে না এমন অবস্থা। তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার ঝাড়খণ্ডের অবস্থা পরিবর্তনে অনেক প্রজেক্ট শুরু করেছে। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া সাহেবগন্জ সেতু এমনই একটি প্রকল্প। গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ২১.৮৫ কিলোমিটার লম্বা এই সেতুর সাহায্যে বিহার ও ঝাড়খন্ডের মধ্যে যোগাযোগ আরও মজবুত হবে। ২০১৫ সালে হাজারিবাগ রাঁচি হাইওয়ে প্রজেক্ট সম্পন্ন হয় যা সরাসরি রাঁচি থেকে পাটনাকে সংযুক্ত করেছে, এই হাইওয়ে আরও বাড়িয়ে এনএইচ-২ এর সাথে যুক্ত করার কাজ চলছে। দারিদ্রতা ও অনাহারকে কমানোর জন্য রাজ্য সরকার সামার ক্যাম্প চালাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের শিক্ষা ব্যাবস্থা, কৃষিকাজ ও বানিজ্যকে আরও বাড়াতে অনেক প্রজেক্টে কাজ চলছে এবং একাধিক স্কীম লঞ্চ করা হয়েছে। আদিত্যপুরে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করা হচ্ছে এবং গোদা জেলায় আদানি গ্রুপকে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করার কথা বলা হয়েছে।