ভারতবর্ষের গোপন সামরিক গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
নিউজ ডেস্কঃ প্রতি দেশের গুপ্ত স্থান বলে একটি ব্যাপার থাকে। আসলে সেখানে কি করা হয় তা সাধারণত মানুশের সামনে সেভাবে নিয়ে আসা হয়না বা নিয়ে আসা নিয়ম বিরুদ্ধ। তবে সেসকল ব্যাপার যে জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে করা হয় তা বলাই বাহুল্য। আমেরিকা থেকে ভারতবর্ষ বা চীন সকলেই এমন স্থান রয়েছে, সচরাচর প্রকাশ্যে আসেনা।
এরিয়া-৫১। অর্থাৎ আমেরিকার গোপন স্থান। এখানে কি হয় আজ পর্যন্ত জানতে পারনি। তবে অনেকেরই জানা নেই যে ভারতেও এমন একটি স্থান আছে। এরিয়া-৫১ এর সাথে তুলনা করা ঠিক হবেনা। তবে এই স্থানটিতে অনেকে ভারতের এরিয়া-৫১ বলে থাকেন।
কর্নাটকের চিত্রদুর্গ নামের এই স্থানে অনেক সায়েন্টিফিক এক্সপিরিমেন্ট করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে বিজ্ঞানের একাধিক জিনিস নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। তবে কিভাবে কি হল?
২০০৮-০৯ সাল বিশাল জমি অধিগ্রহণ করা হয় মিলিটারি গবেষণার জন্য। এই স্থানে ডিআরডিও, ইসরো, ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC), ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স (IISC) সহ অনেক সংস্থা এখানে বিভিন্ন রকম এক্সপিরিমেন্ট করে। ডিআরডিও এখানে এরোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ হিসাবে ব্যাবহার করে থাকে। যেমন রুস্তম সহ বিভিন্ন ধরনের ড্রোন টেস্ট হয়। পাশাপাশি এই স্থানে ৩.২ কিমি লম্বা রানওয়ে রয়েছে।
ইসরো হিউম্যান স্পেশ ফ্লাইট মিশন সহ পুরনো যন্ত্রাংশ বা পুরনো গাড়িকে নতুন ভাবে তৈরি করে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
IISC অ্যাডভান্সড এরোস্পেস রিসার্চ সেন্টার ও এনার্জি রিসার্চ সেন্টার করেছে এখানে।
তবে BARC বা ভাবা রিসার্চ সেন্টার কি করে এখানে? তা কারও জানা নেই। পুরোটাই গোপনীয়তার সাথে করা হয়ে থাকে। আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমের মতে এটি ভারতের পরমানু শহর। এখানে ইউরেনিয়ামের স্টক রয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক পরমানু যুদ্ধাস্ত্রের উপর কাজ করা হয়ে থাকে।
ভারতীয় সেনার জন্য এখানে ১০,০০০ একর জমি রয়েছে। এখানে স্পেশাল কম্যান্ডো ট্রেনিং সেন্টারও তৈরি করা হতে চলেছে। এছাড়াও এখানে ফিজিক্স, কোয়ান্টাম টেকনোলজি, AI সহ এতসব ক্ষেত্রে কাজ হয় তার কোনও ধারনাই নেই অনেকরই।