পৃথিবী

তুরস্কের লেসার অস্ত্রকে কেন সমীহ করে ইসরায়েল?

নিউজ ডেস্কঃ সামরিক অস্ত্রের সম্ভার প্রতিটি দেশই বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র তৈরি করতে একাধিক পরীক্ষা চালাচ্ছে পৃথিবীর বহু দেশই। তবে ইসলামিক দেশ গুলির মধ্যে তুরস্কের অগ্রগতি চোখে পরার মতো। তারা পাকিস্তানকে যুদ্ধজাহাজ বানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক দেশকে আজকাল যুদ্ধাস্ত্র বিক্রয় করছে। তবে ইতিমধ্যে তাদের তৈরি লেসার অস্ত্র নজর কেরেছে পৃথিবীর বহু দেশরই।

২০১০ এর প্রথমদিকে লেসার অস্ত্র নিয়ে রিসার্চ শুরু করে তুরস্ক। সেইসময় তুরস্কের এক দেশীয় কোম্পানি সেখানকার রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা ‘তুবিতাক’ এর যৌথ সহায়তায় ৫০ কিলোওয়াটের লেসার অস্ত্র তৈরি করে তা জনসম্মুখে নিয়ে এসেছিল। তবে তাদের তাদের সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য সকলের সামনে নিয়ে আসেনি।

২০১৫ সালে তুরস্কের গবেষণা সংস্থা “তুবিতাক” সরকারি ভাবে জানায় যে তুরস্ক লেসার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। তারা আমেরিকা বা রাশিয়ার মতো বিরাট অরথ ব্যয় না করলেও ২০১৫ সালে তারা ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছিল। এরপর ৩ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে তাদের দেশীয় কোম্পানি “ আসেলসান জানায় যে তাদের তৈরি এই অস্ত্র ৫০০ মিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। 

তুরস্কের দুই দেশীয় কোম্পানি ‘আসেলসান’ ও ‘অটোকার’ এই অস্ত্রের একাধিক ব্যবহার করে। তাদের তৈরি এই লেসার অস্ত্র সাঁজোয়া জানে মোতায়েন করা যায়, যা এখনও রাশিয়া বা আমেরিকা তৈরি করেনি।

এই অস্ত্র লিবিয়ার যুদ্ধে ব্যবহার করেছে যে একপ্রকারভাবে সফল হয়েছে বলে সুত্রের খবর। চীনের তৈরি একটি ইউএভি বা ড্রোনকে লিবিয়া এই লেসার অস্ত্র ব্যবহার করে ভূপতিত করেছিল।

লেসার অস্ত্র ছাড়াও তুরস্ক ইতিমধ্যে  ‘বেরাকতার টিবি-২’ ড্রোন, টি-১২৯ ‘এটাক’ হেলিকপ্টার ও টিএস ১৪০০ টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন, ভবিষ্যতের ষ্টীলথ জঙ্গী বিমানের মডেল টিএফ-এক্স তৈরি করতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.