১৯৮০ দশকের টেকনোলোজি এখনও ব্যবহার হচ্ছে বিমানবাহিনীতে। কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে?
নিউজ ডেস্কঃ কিছু খারাপ হয় কিছু ভালো হওয়ার জন্য। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কিছু খারাপ বা কিছু জায়গায় ঠেকে যাওয়াতে বিরাটভাবে আপগ্রেড করার কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই কারনে চীন এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উপর ভারী হতে পারে ভারতের সেনাবাহিনী। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা টেকনোলোজি গুলি চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে আসতে আসতে সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ঠেকে শুরু করে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র আপগ্রেড করা হচ্ছে বিরাটভাবে।
বিমানবাহিনীর কমিউনিকেশান সিস্টেম ইনকম (incom) এই প্রযুক্তিটি ১৯৮০ দশকের। এতে ফ্রিকুয়েন্সিও চেঞ্জ করা যায় না। অভিনন্দনের শুট ডাউন হওয়ার পিছনে সব থেকে বড় কারন হল এই টেকনোলোজি। কারন এর কমিউনিকেশিন জ্যম করা খুবই সহজ। বিমানবাহিনী অনেক আগেই জানিয়েছিল যে তাদের কমিউনিকেশান সিস্টেম যেকোনো সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তখনও ডিফেন্স মিনিস্ট্রির হুশ ফেরেনি। অভিনন্দন শুট ডাউনের পিছনে কমিউনিকেশান জ্যমিং এর তথ্য হাতে আসার পর জ্ঞান ফিরেছিল সরকারের।
তবে বর্তমানে বেশির ভাগ যুদ্ধবিমান এবং এয়ারবর্ন এ্যসেট ইসরায়েলের BNET SDR দিয়ে রিপ্লেস করা হয়েছে। এগুলি “end to end encrypted” সাথে চ্যনেল ফ্রিকুয়েন্সি চেঞ্জিং এর সুবিধার সাথে রয়েছে। জ্যমিং করার সাধ্য নেই কোনো চীনা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিমানের। পাকিস্তানের ইতিমধ্যে এই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। কারন তাদের কমিউনিকেশান ইন্টেলিজেন্স বিমান DA-20 ইতিমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য! তারা চীন থেকে Y-9G ক্রয় করতে পারে। তাতে লাভ হবে না। BNET SDR কে জ্যম করা এক কথায় অসম্ভব।
শুধু তাই নয় পরবর্তী প্রজন্মের কমিউনিকেশান সুইট হিসাবে দুটি টেকনিকে ইতিমধ্যে বড় সাফল্য পেয়েছে ইসরো এবং ডিআরডিও এর। ইসরো সাফল্যের সঙ্গে স্যটেলাইট বেসড লেজার কমিউনিকেশান সিস্টেমের সফল পরীক্ষা করেছে জিস্যাট-২৯ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। আর ডিআরডিও সাফল্যের সঙ্গে “কোয়ান্টাম কি ডিস্ট্রিবিউশান” বা QKD এর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এগুলো সবই পরবর্তী প্রজন্মের কমিউনিকেশান সিস্টেম।