পাইলট ছাড়াই যুদ্ধবিমান একটিভ করার পথে আমেরিকা
নিউজ ডেস্কঃ- শত্রুপক্ষকে পরাস্ত করতে একের পর এক নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে ভারত। একাধিক নব ও উন্নত প্রযুক্তির মিসাইল লঞ্চ করার পর এবার মানবহীন ক্ষেপণাস্ত্র এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। যেটি মানুষের থেকেও হবে কয়েকশত গুণ ভয়ঙ্কর ও প্রাণনাশী। এই শক্তিশালী এয়ারক্রাফ্ট ডিআরডিও-র সহযোগিতায় শুধুমাত্র ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই অভিনব পরিকল্পনা ডেক-ভিত্তিক ইউসেএভির মাধ্যমে ২০৩০ সালে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
ভারতীয় নৌবাহিনী এই তৃতীয় ও অভিনব ক্ষেপণাস্ত্র এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরীতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তথা মানবহীন আকাশপথে যুদ্ধকারী বিমানটি তার নিজের শক্তি সঞ্চয় করার জন্য সিংহভাগ ফাইটার জেটের উপর নির্ভরশীল। তবে এই এয়ারক্রাফ্টটি তৈরিতে তুলনামূলক কম আর্থিক ব্যয় হচ্ছে দাবি সরকারের।
উচ্চাভিলাষী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে টুইন ইঞ্জিন ডেক ভিত্তিক ফাইটার থেকে বড় আকৃতির। তবে ইউসিএভির বিশ্বাসযোগ্যতা সর্বপ্রথম গ্রহণ করতে হবে। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এখনো সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়নি। কারণ এখনও নৌবাহিনীর এর নির্ধারিত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে একটি স্পিন অফ প্রোগ্রাম তৈরী করতে হবে। তাই সম্প্রতি কোন রকম অপারেশনের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যদিকে আবার স্পিন অফ ফোরামের সঙ্গে উচ্ছেদ সাবসনিক গতি, একটি ক্যারিয়ার অনুমোদিত কাঠামো, এরিয়াল রিফুয়েলিং ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি ফোল্ডিং উইন বিজ্ঞানী ধর্মের জন্য অতিরিক্ত ডিজাইন সহ কিছু জ্বালানি এবং পেলোড বহন করার জন্য অধিক ক্ষমতা বিশিষ্ট আকৃতিতে বড় এবং জটিল ক্যারিয়ার ভিত্তিকের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস গুলির মধ্যে সিংহভাগই আইএএফএ-র ইউসিএভি-র প্রোগ্রামের মাধ্যমে যোগান দেওয়া হবে।
তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্মাণের জন্য নৌসেনা এখনও ইউসিএভি-র জন্য মানদন্ড তৈরি করেনি। অথচ টিএইডিবিএফ এবং আইএফএ-য়ের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ইউসিএভি প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য। তবে খুব দ্রুত কাজ শুরু করে ইউসিএভি প্রোগ্রামের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হবে কারণ ২০২৬ সালে বিমানটি উড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করছে ভারত। যদিও সর্বপ্রথম এটিকে যুদ্ধবিমান হিসেবে তৈরির কাজ করা হবে। সুতরাং প্রতিপক্ষকে হারাতে ভারত এবার খুব ভালো মতোই কোমর বাঁধছে।