ভারত

দেশীয় বার্ডস তেজাস ছোট হওয়ার ফলেই কি সমস্যা বাড়ছে?

নিউজ ডেস্কঃ তেজাস। ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির তৈরি যুদ্ধবিমান, যা সার্ভিসে আসার পর বহু দেশের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আরন এতো কম দামে এতো মানের বিমান তৈরি করল কিভাবে ভারতবর্ষ। আর সেই কারনে ইতিমধ্যে এই যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চেয়েছে পৃথিবীর বহু দেশ। যুদ্ধবিমান দেশের আকাশকে সুরক্ষা করার পাশাপাশি ছোট মাপের হওয়ার কারনে তা ডগ ফাইটে বিরাটভাবে সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে এই যুদ্ধবিমানটি ছোট হওয়ার কারনে বেশ কিছু সমস্যাো রয়েছে।

যুদ্ধবিমানটি তৈরি করতে বিমানবাহিনীর পাইলটরা হ্যল এবং আডার ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীদের সরাসরি সাহায্য করেছিল। কিন্তু একটা বিষয় সবাই একমত ছিল এটা প্রথমিক প্রোজেক্ট হিসাবে ছোট কিন্তু এফেক্টিভ ফাইটার হিসাবে সামনে আনতে হবে। যার ফলে ডিজাইন এবং কঠিন দিকগুলি ভারতবর্ষ আয়ত্ত করতে পারে।

বিমানটি সাইজে ছোট হওয়ার কারনে বিশেষ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে।

তেজাস ছোট হওয়ার কারনে এর রেডার ক্রস সেকশান কম, পাশাপাশি কার্বোন কম্পোজাইট, টাইটেনিয়াম ও রেম কোটিং। যুদ্ধবিমানটিতে রেডার ওয়েভও কম প্রতিফলিত হয়। যার ফলে এর ট্র্যকিং এর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে চীন, পাকিস্তানের মতো শত্রু দেশকে। পাশাপাশি বিভিআর যুদ্ধেও বিরাট অসুবিধার সম্মুখীন হবে শত্রু পক্ষ।

তবে শুধু বিভিআর নয়, ডগ ফাইটেও বড় সমস্যায় পরবে শত্রুপক্ষের বিমান। যা এই যুদ্ধবিমানের কাছে এক বিরাট সুবিধা করে দেবে। ভিজিবিলিটি ডগফাইটে ভীষণভাবে গুরূত্বপূর্ণ।

এক অভিজ্ঞ পাইলট জানিয়েছিলেন যে “ যুদ্ধবিমানের সাইজ ছোট হওয়া মানে তা শত্রুপক্ষের কাছে ভীতির কারন, আমেরিকার এফ ১৬ মাঝ আকাশে পাইলটের চোখের সামনে থেকে হতাৎ করে সরে গেলে তা চট করে টের ও পাওয়া যাবেনা। তবে এই ডগ ফাইটে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপের টাইফুন। বহু দূর থেকে এই যুদ্ধবিমানকে দেখা যায়, যার কারনে পাইলট এক বিরাট সুবিধা পাবে। তবে শুধু এই বিমান নয় পাশাপাশি রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গুলির ক্ষেত্রেও একই অসুবিধা রয়েছে, তবে ম্যনুয়েভারেবিলিটি এদের বিশেষভাবে সুবিধা দেয়। ডগফাইটে ছোট আকার হওয়ার কারনে পাইলট বিরাটভাবে সুবিধা পায়।

তবে সাইজ ছোট হওয়ার কারনে একাধিক অসুবিধাও রয়েছে-

বিমান ছোট হলে যুদ্ধবিমানটির আপগ্রেড করার ক্ষেত্রে বিরাটভাবে অসুবিধা হয়। যেমন সেন্সর কম্পোনেন্ট বসানোর জায়গা থাকেনা, কারন বেশি জায়গা পাওয়া যায়না। তেজাসে জায়গার অভাবে IRST বসানোর জায়গা পাওয়া যায়নি।

“মিসাইল এ্যপ্রোচিং এ্যন্ড ওয়ার্নিং সিস্টেম” বা MAWS ও তেজাসে ইন্সটল করতে পারা যায়নি। তবে পাইলন অর্থাৎ যাতে মিসাইল লাগানো থাকে তার দুই কোনায় MAWS লাগানো হয়েছে। তবে সেই MAWS পাইলন তেজসে ইনস্টল হয় নি এখনও পর্যন্ত।

ইন্টিগ্রেটেড জ্যামার। জায়গার অভাব থাকায় তেজস মার্ক-১এ তে পড বেসড জ্যমার বসানো হয়েছে। পড বেসড জ্যমার অত্যন্ত এফেক্টিভ। কিন্তু অত্যন্ত শক্তি খরচ হয় এতে। আর এই সমস্যা গুলি ভারতের রাফালের স্পেক্ট্রার মত ইলেট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমে নেই।

পাশাপাশি বিমানে জ্বালানি নেওয়ার ক্ষমতা। যুদ্ধবিমানের প্রধান জ্বালানি থাকে ফাইটারের ডানায়। এর ফলে ডানা একটু ভারী হয় আর ড্র্যগ কম হয়। তেজসের সাইজ ছোট হওয়া কারনে ডানার ভেতরের জ্বালানি নেওয়ার ক্ষমতা কম। তার কারনে রেঞ্জে অসুবিধা আছে। যদিও রিফুয়েলিং প্রব ইনস্টল করা হয়েছে এই সমস্যা মেটানর জন্য। তবে রিফুয়েলিং করে রেঞ্জ বাড়ানো আর ইণ্টার্নাল ফুয়েল ক্ষমতার বৃদ্ধির মধ্যে ফারাক আছে।

এইসকল কথা মাথায় রেখে তেজাস মার্ক ২ এর সাইজ বড় করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.