শিলিগুড়ির উপর কেন নজর চীনের?
নিউজ ডেস্কঃ ভবিষ্যতে ব্যবসার কথা মাথায় রেখে ভারতবর্ষ এমন কিছু প্রোজেক্টে অর্থ বিনিয়োগ করেছে যা দীর্ঘমেয়াদী লাভ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি শত্রুদেশ চীন এবং পাকিস্তানের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করা যাবে। ঠিক তেমনই এক প্রোজেক্ট হল কালাদান প্রোজেক্ট।
চিকেন নেক। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডরে এই চিকেন নেকই হল চীনের নজর, আর সেই কারনে ডোকালামের মতো ইস্যু সামনে এসেছিল বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ২২ কিমি এলাকা জুড়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই জায়গা জুড়ে রয়েছে মোট ৮ টি রাজ্যের সাথে যোগাযোগ। কোনোদিন চীনের সাথে যুদ্ধ হলে সবার আগে এখানেই চীন আক্রমন করতে পারে বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের। তাহলেই সেভেন সিস্টার সহ ৮ টি রাজ্যের সাথে যোগাযোগ কেটে যাবে। ডোকালাম থেকে চিকেন নেকের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। এখানে চীন দখল করতে পারলেই ভারতবর্ষের উপর তারা নজর রাখতে পারবে।
আর সেই কারনেই ভারত কালাদান প্রোজেক্ট এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কি এই কালাদান প্রোজেক্ট? চিকেন নেককে পাশকাটিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্য গুলির সাথে যোগাযোগ করার দ্বিতীয় রাস্তা হল এই প্রোজেক্ট। এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে ভারত মায়ানমারের সিটওয়েতে সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে, কলকাতা বন্দর থেকে মায়ানমারের এই বন্দর ৫৩৯ কিমি, আর সেখান থেকে ১৫৮ কিমি কালাদান নদী হয়ে প্যালেটওয়া শহর সেখান থেকে প্রায় ১২০ কিমি মিজোরামের রাজধানী আইজল।
এটি তৈরি করতে পারলে ভবিষ্যতে চীনের লাল চোখকে এড়িয়ে ব্যবসা করা যাবে। কারন চীন যদি কোনোদিন চিকেন নেককে কেটে দিতে সক্ষম হয় তাহলে ভারত এই রাস্তা ব্যবহার করে সহজেই বাকি রাজ্য গুলির সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খোলা রাখতে সম্ভব হবে। পাশাপাশি চিকেন নেকের থেকে ১৩২৮ কিমি দূরত্ব কম লাগবে। কালাদান প্রোজেক্ট শেষ হলে আাইজল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে সিংগাপুর পর্যন্ত হাইওয়ে তৈরি করা হয়ে যার ফলে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও তাড়াতাড়ি এবং আরও বেশী হবে।
এই প্রোজেক্টের জন্য মুম্বাইয়ের কোম্পানি ভারত ফ্রেইট গ্রুপ মায়ানমারের সিটওয়ে সমুদ্র বন্দর এবং প্যালেটওয়া শহরের ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট টার্মিনাল মোতায়েন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য চুক্তি করেছে। ভারতের কালাদান মাল্টি মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় এই প্রজেক্ট চলবে।