ভারতবর্ষের নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী কোন ভয়ঙ্কর মিসাইল একটিভ করছে?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় নৌসেনার অগ্রগতি বিরাটভাবে হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। কারন ইতিমধ্যে একাধিক অস্ত্র হাতে এসেছে এবং ভবিষ্যৎ বিরাট পরিমানে যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে সাবমেরিন হাতে আসবে। বিশেষ করে একজন মানুষের কথা ভুললে কোনোদিন ই চলবেনা, তিনি হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ১৯৯৯ সালে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সেনাবাহিনীর গুরুত্ব। আর সেই কারনে তিনি এমন কিছু প্রোজেক্টের ঘোষণা করেছিলেন যার কারনে ভবিষ্যতে বিরাটভাবে লাভবান হতে চলেছে ভারতবর্ষ।
নৌসেনার জন্য মোট ৬ টি সাবমেরিন ক্রয় করা হতে চলেছে। পরমানু সাবমেরিন গুলি মোট ৬০০০ টনের হতে চলেছে। আর এই সাবমেরিনে লং রেঞ্জ মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, লং রেঞ্জ টর্পেডো, মাইনের মত অস্ত্র থাকতে চলেছে। প্রথম তিনটি সাবমেরিনের অনুমোদন দেবে ক্যাবিনেট কমিটি। বাকি তিনটির অনুমোদন আসবে ধিরে ধিরে। প্রতিটি সাবমেরিন পিছু খরচ হতে চলেছে ১৫০০০ কোটি টাকা। টাকা নিয়ে সেভাবে অসুবিধা হবেনা বলে জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে এগুলি সেনাবাহিনীর হাতে আসবে ২০৩২ সালে। পুরো প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ হতে মোট সময় লাগবে ২০ বছর।
সাবমেরিন গুলি ব্যালেস্টিক সাবমেরিনের মতো মিসাইল বহন না করলেও এগুলি খুব দ্রুত এবং ম্যানুভার করতে পারে তাড়াতাড়ি আর সেই কারনে এগুলিকে হান্টার কিলার বলেও ডাকা হয়ে থাকে। সাবমেরিন গুলির রিএ্যক্টর অনেক কাজ একসাথে করতে সক্ষম। যা একে দ্রুত কাজ করাতে পারবে।
এই প্রোজেক্টের পরিকল্পনা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় শ্রী অটল বিহারী বাজপাই নৌবাহিনীর গুরূত্বকে প্রধান্য দিয়েছিলেন। আর সেই কারনে দীর্ঘ সময়ের একটি প্ল্যান করেছিলেন। ১০টি ফ্রিগেট (৩টি শিবালিক, ৭টি নিলগীরি), ১০টি ডেস্ট্রয়ার (৩টি করে ৬টি দিল্লী ও কোলকাতা ক্লাস আর ৪টি ভিশাখাপত্তনাম ক্লাস) আর ১৮টি সাবমেরিন (৬টি কালভারি, ৬টি পি-৭৫আই, ৬টি নিউক্লীয়ার এ্যটাক সাবমেরিন) তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এর সাথে আরও একটি সাবমেরিন প্রোজেক্ট যোগ হতে চলেছে।
সম্পূর্ণ দেশীয় ডিজাইনে মোট ৬ থেকে ১২টি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন তৈরি হতে চলেছে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তবে এসম্পর্কে এখনও কোনো নিশ্চিত ঘোষণা করা হয়নি।
দুটি ৭০০০টনের এস৪ ও এস৪* সাবমেরিনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় নি। তবে ১৩,৫০০টনের সুপার হেভি এস৫ সাবমেরিন তৈরি প্রায় সম্পূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ ডিজাইন তৈরি। মোটের অপর একটা কথা বলা যেতে পারে যে এই দশক ভারতের বায়ুসেনার থেকে শুরু করে নৌসেনার একটা বিরাট উন্নতি হতে চলেছে।