সুয়েজ খাল কেন ভারতীয় অর্থনীতির জন্য এতোটা গুরুত্বপূর্ণ?
রাজেশ রায়:— এককালে ভারতকে সোনে কী চিড়িয়া বলা হত এটা সবাই জানেন। বর্তমানে আবারও ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ যথেষ্ট দ্রুত গতিতে হচ্ছে। যেসব সেক্টরে ভারত পিছিয়ে ছিল আজ সেইসব সেক্টরে যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে। নমিনাল জিডিপির বিচারে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। গত কয়েক বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যেখানে পিছিয়ে পড়েছে সেখানে দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, করোনা মহামারীর পরও ভারতীয় অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বা আই এম এফের তথ্য অনুযায়ী ভারত তিন ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি পেরিয়ে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবার দিকে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতির উপর নজর রাখা একটি সংস্থা আইএইচএস মার্কিট গত জানুয়ারীতে জানিয়েছে ২০৩০ এর মধ্যে ভারত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে অর্থাৎ ভারতের আগে শুধু আমেরিকা ও চীন থাকবে। তবে ভারত সরকার লক্ষ নিয়েছে ২০২৫-২৭ এর মধ্যে ভারত পাচ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে। এর জন্য ভারতীয় বন্দর গুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতেও বানিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিল। আজও বিশ্বজুড়ে বানিজ্যের বড় অংশ হয় সমুদ্র পথে। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল দিয়েই বিশ্বের বেশীরভাগ বানিজ্য হয়, এইজন্য এই এলাকা জিওপলিটিক্যাল হটস্পট হয়ে উঠেছে। মালাক্কা প্রনালী থেকে শুরু করে সুয়েজ খাল এবং দক্ষিন চীন সাগর থেকে শুরু করে হরমুজ প্রনালী সর্বক্ষেত্রেই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এখানে ভারতের মজবুত উপস্থিতি দরকার। আর এর জন্য বন্দরের উন্নয়ন সবচেয়ে বেশী দরকারী। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য বন্দর এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? ভারত সরকার এর জন্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ভারতীয় সমুদ্র বানিজ্যের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সেই সিন্দু সভ্যতার সময় থেকেই মেসোপটোমিয়ার সাথে বানিজ্য করত ভারতীয় মানুষজন। পরে মৌর্য সাম্রাজ্যের সময়ও বানিজ্য হত পূর্ব এশিয়া ও আরব দেশ গুলোর সাথে। রোমান ঐতিহাসিক স্ট্রাবো বলেন যখন মিশর রোম দখল করে নেয় তখন ভারতের সাথে রোমের ও পশ্চিমা দেশ গুলোর বানিজ্য আরো বৃদ্ধি পায়। ভারত থেকে রেশম, মশলা ও অন্যান্য জিনিস রপ্তানি করা হত। ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশীদিন রাজত্ব করা সাম্রাজ্য গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দক্ষিন ভারতের চোল সাম্রাজ্য। চোলাদের নেভি প্রচুর শক্তিশালী ছিল। ভারত মহাসাগর থেকে মালদ্বীপ, বঙ্গোপসাগর এবং মালাক্কা প্রনালী বিস্তৃত সমুদ্রপথে চোলাদের রাজত্ব ছিল। সেসময় পশ্চিম ভারত থেকে গল্ফ অফ ইরান হয়ে বিভিন্ন জিনিস মিশর ও আরবদেশ গুলোতে যেত এবং সেখান থেকে আফ্রিকা ও ইউরোপে যেত।
গুজরাটে ক্যাম্বে, মহারাষ্ট্রে থানে, সোপারা, মালাবার উপলূলে কালিকট এবং সিন্ধ উপকূলে দেবল তৎকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল। বাংলা থেকেও তাম্রলিপ্ত বন্দর থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে বিভিন্ন জিনিস চীন ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি হত। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে প্রাচীন ভারতেও সমুদ্রপথে বানিজ্য চলত। সেসময়ও ভারতের নেভি এবং বানিজ্য ব্যাবস্থা খুবই শক্তিশালী ছিল। গোটা বিশ্বজুড়ে ভারতীয় বনিকরা বানিজ্য করত। পনেরো শতকে কলম্বাস স্পেন থেকে ভারতের সাথে বানিজ্য করবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভারতে আসার বদলে আমেরিকা গিয়ে পৌঁছায়। পরে ভাস্কো দা গামা ভারতে আসে। বিশ্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাগাজিন টাইমস ম্যাগাজিন এবং ফরচুন ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী মুঘল আমলে ভারতের জিডিপি গোটা বিশ্বের জিডিপির ৩০ শতাংশ ছিল। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন ভারতে ইসলামের প্রবেশ উত্তর পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে স্থলপথ দিয়ে হয় নি বরং সপ্তম শতকে সমুদ্র পথে প্রথম কেরালাতে ইসলামের প্রবেশ ঘটে। সুতরাং প্রাচীন কাল থেকেই ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপারে সমুদ্র বন্দর গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারতের তিনদিকে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগর। ভারতের ১৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে সমুদ্রের সাথে। পৃথিবীতে ৭০.৪ শতাংশ সমুদ্র রয়েছে যার মধ্যে একা ভারত মহাসাগরই আছে ১৪ শতাংশ জুড়ে। অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার মাঝে রয়েছে বিশাল এই মহাসাগর এবং উত্তর পশ্চিমে রয়েছে ভারত। এখানে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র খাড়ি বলা হয় যার উত্তরে রয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে মায়ানমার ও আন্দামান সাগর এবং পশ্চিমে রয়েছে ভারতের বাকী অংশ ও শ্রীলঙ্কা। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এখানেই অবস্থিত।
ভারত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমে রয়েছে আরব সাগর যার চারদিকে ভারত, পাকিস্তান, আফ্রিকা, ইরানের মতন দেশ রয়েছে। ইউরোপীয়ানরা এপথেই ভারতে আসত। ভারতের গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্নাটক, দাদরা এন্ড নগর হাভেলী, দমন ও দিউ এবং লাক্ষাদ্বীপের মতন রাজ্য আরবসাগরের তীরেই অবস্থিত। এর মাধ্যমেই ভারত চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইউরোপের সাথে বানিজ্য করে। এই অঞ্চলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ হচ্ছে সুয়েজ খাল, উত্তমাশা পথ, সিঙ্গাপুর সমুদ্র পথ। সুয়েজ খাল দিয়ে ভারত ইউরোপকে খাদ্যদ্রব্য ও কাঁচামাল সরবরাহ করে এবং ইউরোপ থেকে মেশিন আমদানি করে। উত্তমাশা পথ দক্ষিন ও পশ্চিম আফ্রিকাকে যুক্ত করে। এখান দিয়ে ভারত উল, চিনি আমদানি করে। সিঙ্গাপুর সমুদ্রপথ চীন ও জাপানের সাথে ভারতকে যুক্ত করে। আবার এই পথ দিয়ে কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের সাথে বানিজ্য করে। এই পথ দিয়ে ভারত রাসায়নিক, মেশিন, খেলনা, কাগজ সহ অনেক জিনিস আমদানি করে এবং পাট, তুলো, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ রপ্তানি করা হয়। এভাবে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে প্রকৃতি যেন ভৌগোলিক ভাবে ভারতকে সব সুবিধা দিয়েছে কিন্তু যতটা দরকার ততটা উন্নতি ভারত এখনও করতে পারেনি। চীন এই মহূর্তে বানিজ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে, এরপর ভারত রয়েছে। মার্চেন্ট নেভির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে ১৭ নম্বর স্থানে আছে। বিভিন্ন জায়গায় জাপানিজ, ফ্রান্স, ইটালিয়ান ও ইংলিশ বিভিন্ন কোম্পানির জাহাজের আধিপত্য রয়েছে। এরজন্য ভারতেকে তার সমুদ্রে অবস্থান আরও মজবুত করতে হবে।
স্বাধীনতার আগে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল করাচি বন্দর কিন্তু স্বাধীনতার পর এটি পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। এই কারনে গুজরাটের কচ্ছে ভারত কান্ডালা বন্দর তৈরি করে যার এখন নাম দীনদয়াল বন্দর। ১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর গোয়ার ভারতে যুক্ত হবার পর ১৯৬৪ সালে এখানের মর্মাগাও বন্দরকে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসাবে ঘোষনা করা হয়। ভারতে মোট ১৩ টি বড় বন্দর এবং ১৫০ টি ছোট বন্দর আছে। আসলে ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান এমনই যে ভারতের প্রচুর বন্দর তৈরি করা সম্ভব। এই কারনে বর্তমানে ভারতে বন্দর নির্মান ও আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। ভারতের পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির জন্য বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারনে ২০১৬ সালে ভারতীয় সংসদ পাঁচটি জাতীয় জলপথের পাশাপাশি, ১১১টি নদীকে জাতীয় জলপথে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। সাগরমালা প্রজেক্টের অংশ হিসাবে সরকার ১১১ টি নদীতে ২০,২৭৫ কিলোমিটার জলপথ তৈরির কাজ করছে। গত কয়েক বছর ধরে বন্দর গুলোতে বেসরকারী বিনিয়োগের জন্য ভারত সরকার কাজ করছে। গঙ্গা নদীর উপর ১৬২০ কিলোমিটার লম্বা জলপথ তৈরি করা হয়েছে যা হলদিয়া ও এলাহাবাদকে সংযুক্ত করেছে, এর নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে ১, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর ৮৯১ কিলোমিটার লম্বা জলপথ ন্যাশানাল ওয়াটারওয়ে ২ সাদিয়া ও ধুবড়ি কে সংযুক্ত করেছে। কেরালা, গোয়া ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে ৩ তৈরি করা হচ্ছে। আসলে জলপথে বানিজ্য কতে অনেক কম খরচ লাগে এবং নিরাপদ অনেক বেশী৷
সমুদ্র ও নদীর গভীরতা প্রাকৃতিক ভাবে নির্দিষ্ট যার করনে এখানে তেমন খরচ হয়না, সমুদ্র পথে তেল কম লাগে। স্থলপথে বানিজ্য প্রতিবছর ভারতের অন্তত ৫৫,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কিন্ত জলপথে এই ক্ষতি ৫০ শতাংশ কম হয়। এই কারনে বন্দর নির্মান একটি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই দরকার। তবে শুধু বানিজ্যিক কারনেই নয়, স্ট্রাটেজিক দিক দিয়েও বন্দরের অনেক গুরুত্ব আছে। যার জন্য ভারত বিদেশেও বিভিন্ন বন্দরে নিজেদের যুক্ত করছে। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হচ্ছে ইরানের চাবাহার বন্দর। ওমান সাগরে অবস্থিত ইরানের দক্ষিন উপকূলের এই বন্দর ভারতের পশ্চিম উপকূল ও ইরানকে সংযুক্ত করে। ইরান তাদের এই বন্দরকে মুক্ত বানিজ্যিক বন্দর হিসাবে ঘোষনা করেছে। এই বন্দরের মাধ্যমে ভারত, ইরান, আফগানিস্তান তিনদেশই উপকৃত হবে। ভারত এই বন্দরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বাইপাস করে আফগানিস্তানের সাথে যোগাযোগ করে বানিজ্য করতে পারবে। এই পথ দিয়ে তেল, ইউরিয়া, গমের মতন জিনিসের রপ্তানি হয়। তাছাড়া এই বন্দরের মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরে নজর রাখতে পারবে ভারত। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হচ্ছে ওমানের ডুকাম বন্দর। ২০১৮ সাল থেকেই ভারত এখানে মিলিটারি বেস তৈরি করেছে। ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এখানেৃ১.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অন্যদিকে পূর্ব দিকে বাংলাদেশের চিটাগং বন্দর ব্যাবহারের অনুমতি পেয়েছে ভারত।
১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের পর থেকেই এই বন্দর ব্যবহার ভারতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকেই এই বন্দর ব্যাবহারের চেষ্টা করতে থাকে ভারত। বাংলাদেশের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পর থেকে ভারত আবারও এই বন্দরের অনুমতি পায় আন্তর্জাতিক বানিজ্য পথের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই চিটাগং বন্দর। এর মাধ্যমে আসাম, ত্রিপুরা সহ পুরো উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নতি সম্ভব। গত কয়েক বছর ধরেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশ বানিজ্যের জন্য নিজেদের মধ্যে ছয়টি পোর্ট কল এবং পাঁচটি বন্দরকে যুক্ত করেছে। আজ দক্ষিন পূর্ব এশিয়াতে বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক পার্টনার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য হয়। বড় বড় মালবাহী জাহাজকে যাতায়াতের জন্য অনেক সময় মাঝের কোন বন্দরে তেল ভরবার জন্য এবং কীছু জিনিসপত্র নামাতে হয়, এই সব বন্দরকে পোর্ট কল বলে। ভারত ও চীনের মধ্যে এত ঝামেলা তাও এই দুই দেশের মধ্যে প্রচুর বানিজ্য হয়।
ভারত ও চীনের মধ্যে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য হয়। তবে দক্ষিন চীন সাগর যেখান দিয়ে ভারতের বেশীরভাগ বানিজ্য হয় সেখানে চীন আজ নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে যা নিয়ে জিও পলিটিক্যাল ঝামেলা তৈরি হয়েছে এখানে। চীন বাংলাদেশের চিটাগং বন্দরেও নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে যার জন্য ভারত মায়ানমারে বিকল্প হিসাবে কলাদান প্রজেক্ট শুরু করেছে। কলকাতা বন্দর থেকে মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দর পর্যন্ত ভারত একটি জলপথ ভারত নিজের খরচেই তৈরি করছে। ব্লু ইকোনমি তৈরির জন্য ভারত ইন্দো প্যাসিফিক সহ বাকী এশিয়ান দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। সমুদ্র বানিজ্য আরও মজবুত করারা জন্য ভারত সরকারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে সাগরমালা প্রজেক্ট। যাতে ২০১৫-২০৩৫ অবধি কুড়ি বছরে আট লাখ কোটি টাকায় ৫৭৪ প্রজেক্ট সম্পন্ন করা হবে যা ভারতের ৭৫১৬ কিলোমিটার উপকূল অঞ্চল বরাবর করা হবে।