ভারত

ভারতবর্ষের পরমাণু সাবমেরিন চুক্তি কোন দেশের সাথে হতে পারে?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের নৌসেনার হাতে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক সাবমেরিন আসতে চলেছে। বিশেষ করে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বা দেশেই তৈরি হবে বেশিরভাগ সাবমেরিন।

ভারতের আপকামিং P-75I প্রজেক্টের অন্যতম দাবিদার এই SMX 3.0, ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপ ও ড্যসল্ট সিস্টেমের যৌথ তৈরি এই সাবমেরিন টি ডিজাইন করা হয়েছে ফ্রান্সের বারকুডা ক্লাস নিউক্লিয়ার সাবমেরিন এর উপর বেসড করে। এর ডিসপ্লেসমেন্ট ৩০০০ টন যা বারকুডা ক্লাসের থেকে ১০০০ টন কম কিন্তু ভারতের বর্তমান স্করপিয়ান ক্লাসের থেকে ১২০০ টন বেশী। বারকুডা ক্লাসের মতোই সেম কমব্যট সিস্টেম ও ওয়েপনস সিস্টেম এতেও ইনস্টল করা হয়েছে অর্থাত এটি বারকুডা ক্লাস এসএসএন এর ই একটি নন নিউক্লিয়ার ডিজেল ইলেকট্রিক ভার্সন।

অ্যন্টি সারফেস ওয়ারফেয়ার (ASuW), অ্যন্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (ASW), অ্যন্টি এয়ার ওয়ারফেয়ার (AAW), ল্যান্ড অ্যাটাক ও স্পেশাল ফোর্স মিশনে বিশেষভাবে সক্ষম এই সাবমেরিনটিতে ৮ টি VLS সিস্টেম সহ মোট ৩৪ টি যুদ্ধাস্ত্র থাকে। টরপেডো, মাইন, অ্যন্টিশিপ মিসাইল, অ্যন্টি এয়ার মিসাইল ও ক্রুজ মিসাইল সহ মোট পাঁচ রকমের যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে সক্ষম এটি। এটি থেকে ড্রোন লঞ্চ করাও সক্ষম। সমুদ্রের ৩৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত যেতে সক্ষম এই সাবমেরিনটির সর্বোচ্চ রেঞ্জ ২৯০০০ কিমি। এতে অত্যাধুনিক ডিজিটাল সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে এবং একে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে জেনারেশন Z এর কথা মাথায় রেখে।

ফ্রান্স ভারতকে এই সাবমেরিন টি অফার করেছে লোকাল কাস্টমাইজেশন সহ। অর্থাত ভারত চাইলে এতে নিজস্ব AIP সিস্টেম, ব্রাহ্মস এনজি ও নির্ভয় সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল ইনস্টল করতে পারে। এক একটি সাবমেরিন এর দাম প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার যা একটি স্করপিয়ানের দ্বিগুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.