অ্যামেরিকা

আমেরিকার কারনে ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি নষ্ট ফ্রান্সের। সুবিধা পাবে ভারতবর্ষ?

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার নীতির জন্য আসতে আসতে বিশ্ব রাজনীতিতে একঘরে হয়ে পরছে। বিশেষ করে আফগানিস্থান থেকে সেনা সরানর পর থেকে এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপের একাধিক দেশের কাছে বেশ খানিকটা কোন ঠাসা মার্কিনরা। ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলি চাইছিলনা যে হটাৎ করে এইভাবে আফগানিস্থান পরিত্যাগ করা, আর সেই কারন বশত আজ আফগানিস্থানের অবস্থা যথেষ্ট শোচনীয়। তবে এবার আমেরিকার আরও এক নীতির জন্য আমেরিকার পাশ থেকে সরিয়ে নিয়েছে ফ্রান্স। কারন আমেরিকার জন্য ফ্রান্সের ইতিমধ্যে ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি নষ্ট হয়েছে।

২০১৬ সালে ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চুক্তি হয়েছিল যে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ফ্রান্স ১২ টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরি করবে যার খরচ পরবে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আমেরিকার চালে সেই সাবমেরিনের চুক্তি বাতিল হয়।

চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাজ করতে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা একটি চুক্তি সম্পন্ন করে আর এই জোটের নাম দেওয়া হয়  AUKUS! এই জোটের মূল লক্ষ artificial intelligence, cyber, quantum, underwater systems, and long-range strike capabilities। এই তিনটি দেশের মধ্যে বিনিময় করবে। আর এর ঠিক কিছুদিনের মধ্যেই ফ্রান্সের সাথে চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া।

আর এই কারন বশতই আমেরিকার উপর বিরাটভাবে ক্ষিপ্ত ফ্রান্স। প্রথম কারন হল এই জোটের মধ্যে ফ্রান্সকে সামিল না করে। দ্বিতীয়ত এই জোটের কারনে আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার পরমাণু সাবমেরিনের জন্য নিজেদের তরফ থেকে সব রকম সহায়তা করার কথা ঘোষণা করায় এত বিশাল মূল্যের চুক্তি ফ্রান্সের হাত ছাড়া হয়ে যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ভবিষ্যতে আমেরিকা ও ব্রীটেনের সাহায্যে তৈরি সব পরমাণু সাবমেরিন লং রেঞ্জের কনভেনশেনাল যুদ্ধাস্ত্র ইন্সটল করা হবে।

ব্রিটেন নিজেদেরকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দিলেও ফ্রান্স তা কোনোদিন করেনি তারা তাদের নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রেখে চলেছে,তারা আমেরিকার সাথে সুসম্পর্ক রাখার পাশাপাশি বিদেশনীতিকে স্বাধীন রেখেছে। এমনকি সমরাস্ত্র প্রযুক্তিতেও তারা সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর। ব্রীটেনর মতো দেশ একমাত্র পি৫ এর মেম্বার যার পরমানু সাবমেরিনের পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যালেস্টিক মিসাইল গুলি পর্যন্ত আমেরিকার থেকে ক্রয় করা ট্রাইডেন্ট শ্রেনীর আইসিবিএম।

আন্তর্জাতিক মহলের মতে ভবিষ্যতে ভারতবর্ষের উচিৎ ফ্রান্স এবং ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.