ভারতবর্ষের দেশীয় যুদ্ধজাহাজকে কেন আইল্যান্ডের সাথে তুলনা করা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের হাতে কিছু দিনের মধ্যেই আসবে আন এন এস ভিক্রান্ত। ভারতবর্ষের প্রথম তৈরি দেশীয় প্রযুক্তির রণতরী। বর্তমানে একটি সার্ভিসে থাকলেও আরও একটি রণতরী সার্ভিসে নিয়ে আশা হচ্ছে যাতে ৩৬৫ টি দিন ভারতবর্ষের রণতরী সার্ভিসে থাকতে পারে। অর্থাৎ কোনওসময়য় একটি রণতরী মেরামতির কাজে থাকলে আরও একটি যাতে সার্ভিস দিতে পারে।
তবে এই যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে কি কি প্রয়োজন হয়েছে? বা কি অতিরিক্ত সুবিধা পাবে ভারতবর্ষ?
ভারতবর্ষের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজটির ওজন ৪০,০০০ টন।
রণতরী তৈরি করা একটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা কোম্পানির কাছে সবথেকে কঠিন বিষয়। ভারতবর্ষ বর্তমানে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে অর্থাৎ যেকোনো জাহাজ বানাতে এবার থেকে সক্ষম হবে ভারত।
আই এন এস ভিক্রান্ত ৭৬ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।
এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে ডি আর ডি ও পৃথিবীর অন্যতম সেরা উপাদান ব্যবহার করেছে। এই স্টিলটি তৈরি করতে ডি আর ডি ও DMR‐ 249B স্টিল ব্যবহার করেছে। এই স্টিলের একটি বৈশিষ্ট্য হল এটি তৈরি করতে যেমন খরচ কম তেমনই অন্যদিকে এতে জং পরার সমসসাও অনেক কম বাকি স্টিলের তুলনায়।
এটি তৈরি করতে মোট ১২ বছর সময় এবং ২৩,০০০ কোটি টাকা খরচ পরেছে।
আই এন এস ভিক্রানে কতোটা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়, সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি, তা গোপন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ভিক্রান্তের অফিসারদের কথা অনুযায়ী এই জাহাজটিতে মোট যে পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তা দিয়ে কোচি শহরের অর্ধেক অংশ আলোকিত করা সম্ভব।
যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করতে মোট ২৬০০ কিমি কেবিল বা তার ব্যবহার করা হয়েছে।
আই এন এস ভিক্রান্ত তৈরি করতে যে পরিমাণে স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে তা দিয়ে তিনটি আই ফেল টাওয়ার তৈরি করা সম্ভব।
জাহাজটিতে ওষুধের দোকান সহ দুটি অপারেশান রুম রয়েছে।
যুদ্ধজাহাজতিতে মোট ২০০০ ক্রু মেম্বার থাকতে চলেছে।
যুদ্ধজাহাজটিকে পরমাণু থ্রেস হোল্ডের সিমায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কোন দেশ যদি এই জাহাজটি ডুবিয়ে দেয় তাহলে ভারতবর্ষ সেই দেশের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
যুদ্ধজাহাজটি তে মোট ১০,০০০ বর্গ কিমি জায়গা রয়েছে অর্থাৎ একটি পুরো ফ্লোটিং আইল্যান্ড।
আই এন এস ভিক্রান্তে মোট ৩০ টি ফিক্সড উইং যুদ্ধবিমান এবং রোটারি উইং হেলিকপ্টার বহন করতে সক্ষম।
যুদ্ধবিমান টেকঅফ করার জন্য দুটি রানওয়ে রয়েছে অর্থাৎ একের পর এক দুটি যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য।
দুটি রেডার আছে, একটি এস ব্যন্ডের ELM-2248 MF-STAR (৪৫০+কিমি) আর একটি এল ব্যন্ডের RAN-40L এয়ার সার্ভেইল্যন্স রেডার যার রেঞ্জ ৪০০কিমি। হ্যাঁ ফায়ার কন্ট্রোল রেডারের রেঞ্জ এয়ার সার্ভেইল্যন্সের চেয়ে বেশি।
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হিসাবে ইসরায়েলের ৬৪টি ১০০কিমি রেঞ্জের বারাক-৮, এবং আর ৪টি একে-৬৩০ CIWS!
স্যটেলাইট কমিউনিকেশানের সাথে সি ব্যন্ডেল লাইন অফ সাইট কমিউনিকেশান লিংক আছে।
শক্তি ইলেকট্রনিউক ওয়ারফেয়ার সুইট।
ভিক্রান্তের ক্যরিয়ার ব্যটেল গ্রুপ তৈরি হলে তাতে দুটি কোলকাতা বা ভিশাখাপত্তনাম ক্লাস ডেস্ট্রয়ার আর তিনটি স্টেল্থ ফ্রিগেট সহ দুটি সাবমেরিন থাকার কথা। এই পরিমান ফায়ার পাওয়ারের সাথে ভিক্রান্ত খুব শহজেই পৃথিবীর ৮০ শতাংশ দেশের নেভাল ফ্লিটকে গুড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
আই এন এস ভিক্রান্ত একবার জ্বালানী ভরে ১৫,০০০কিমি পথ পাড়ি দিতে সক্ষম।
সর্বোচ্চ গতী ৫৬কিমি প্রতি ঘন্টা।