পৃথিবী

পৃথিবীর সর্বচ্চ গতির যুদ্ধবিমানের গতি হতে চলেছে?

বিমান আবিষ্কারের পর একের পর এক নতুন টেকনোলোজি এসেছে। যেকোনো সময় টেক্কা দিতে সক্ষম অ্যামেরিকার বিমানগুলি বিশ্বের বাকি বিমান গুলিকে। তবে এদের গতি কত!

নাসা এক্স–৪৩ (NASA X-43) বিমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমানের তালিকায়  প্রথমে রয়েছে ।যার গতিবেগ  ঘণ্টায় প্রায় ৯.৫ মাক অর্থাৎ ৭২০০ মাইল।  নাসার  নির্মিত এই হাইপারসনিক বিমানটি প্যাগাসাস রকেটের একটি সংশোধিত সংস্করণ। এবং এটিকে  দ্রুতগতি দেওয়ার জন্য এই বিমানটিকে রকেটের ফুয়েল বুস্টার এর উপর স্থাপন করা হয়েছে।যার হলে এটির  গতি শব্দের গতির থেকে প্রায় দশ গুন বেশি।এই ধরনের বিমান মোট ৩টি তৈরি করা হয়েছিল।এই ৩ টি বিমানের মধ্যে  সর্বশেষ এক্স-৪৩  বিমানটির গতি বাকি দুটি বিমানের গতির চেয়ে বেশি ছিল অর্থাৎ  ঘণ্টায় প্রায় ৭৩১০ মাইল।এই বিমানগুলি মধ্যে প্রথম বিমানটি  ফ্লাইট চলাকালীন ধ্বংস হয়ে যায় এবং বাকি দুটিকে সফল ভাবে ফ্লাইট সম্পন্ন হওয়ার পর ইচ্ছাকৃতভাবে মহাসাগরে ক্র্যাশ করা হয়।

নর্থ আমেরিকান এক্স-১৫: এই বিমানটি সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমানের তালিকায়  ২য় স্থানে র‍্যেছে।তবে এটিই মানুষচালিত সবচেয়ে দ্রুত গতির বিমান।যার গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায়  মাক বা ৪৫০০ মাইল(৭২১৪কিমি/ ঘণ্টা) । এই বিমানটি ১৯৫০ সালের শেষের দিকে  নর্থ আমেরিকান অ্যাভিয়েশন (North American Aviation) ও রিয়েকশন মোটরস্ (Reaction Motors) যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল।এক্স-১৫ এর এয়ারফ্রেম তৈরি করেছিল নর্থ আমেরিকান অ্যাভিয়েশন এবং ইঞ্জিন তৈরি করেছিল রিয়েকশন মোটরস্। এই  হাইপারসনিক বিমানের উচ্চ গতিতে স্থিতিশীল হওয়ার জন্য  এতে একটি বড় শঙ্কু আকৃতির লেজ যুক্ত করা হয়েছিল যার কারনে স্পীড কম থাকলে বিমানটি কিছুটা সমস্যা করতো। তবে হাইপারসনিক বিমানের নর্থ আমেরিকান এক্স-১৫ বিশ্ব রেকর্ড গড়তে  সক্ষম হয়।যার জন্য এই বিমানটিকে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতা পেরতে হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.