ভারতবর্ষের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ৫ জন অফিসারের প্রান গেছিল পাকিস্তানের। কেন জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান এবং ভারতবরসের্ব সংঘাত শুরু হয় দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। যা আজও লেগে আছে। দু দেশের মধ্যে ঘটে গেছে একাধিক যুদ্ধ যার পরিনতি ছিল ভয়ঙ্কর। তবে দুই দেশের মধ্যে আকাশ যুদ্ধ নিয়ে যে এক বিরাট চাপানউতোর আছে তা বলাই চলে। তবে কার্গিল যুদ্ধের আগে বা পরে এমন ঘটনা আছে যা সেভাবে অনেকে সেভাবে জানেনা বা অবগত নয়।
কার্গিল যুদ্ধের পর ভারত-পাক উত্তেজনা যখন চরমে ঠিক তখন কোন একদিন সকাল ৯ টা ১৫ নাগাদ পাকিস্তান মেহরান নেভাল বেস থেকে টেক অফ করে তাদের ফ্রন্ট লাইন মেরিটাইম প্যট্রল ও রিকন্যন্স এয়ারক্রাফট এ্যটল্যন্টিক-৯১। কিছু সময় পর এই যুদ্ধবিমানটিকে দেখা যায় গুজরাটের রং এবং কচ্ছের আন্তর্জাতিক বর্ডারের কাছে। কিন্তু সমস্যা হল ১৯৯১ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের এক চুক্তি হয় যার নিয়মানুসারে কোনো দেশেরই ফিক্সড উইং যুদ্ধবিমান বর্ডারের ১০কিমির মধ্যে আসতে পারবে না। কিন্তু পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানটি ভারতের বর্ডার পেরিয়ে বেশ কিছুটা ভেতরে ঢুকে পড়ে। তবে সেই সময়ের মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি মিগ-২১এফএল কে ভারতের ফ্রন্ট লাইন বেস থেকে টেক অফ করানো হয়।
ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিগ ২১ পাকিস্তানের বিমানটিকে প্রথমে ইন্টার্সেপ্ট করে। প্রথমে রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে তাদের জানানো হয় যে তাদের যুদ্ধবিমানটি ভারতবর্ষের বর্ডারের মধ্যে রয়েছে, এরপর ককপিট থেকে হাতের ইশারা করেও জানানো হয়। যুদ্ধবিমানটিতে অস্ত্র না থাকার কারনে তাদের জানানো হয় যে ভারতবর্ষের কাছের এয়ার ফিল্ডে ল্যান্ড করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু জেতা সমস্যা হয় তাহল পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান অ্যাটলান্টিক ভারতে না এসে পাকিস্তানের দিকে পালাতে থাকে, এরপর ভারতবর্ষের যুদ্ধবিমান থেকে ফাইনাল ওয়ার্নিং দেওয়া হয় কিন্তু তারপরও কোনোরকম সহায়তা না পাওয়ার কারনে সকাল ১১.১৭ নাগাদ ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে তাদের এঙ্গেজ করতে। ভারতীয় মিগ-২১ এর থেকে ফায়ার করা হয় দুটি আর-৬০ ইনফ্রারেড হোমিং এয়ার টু এয়ার মিসাইল। যে দুটি পোর্ট সাইডের ইঞ্জিনে হিট করে। আর আগুন লেগে ভেঙ্গে পড়ে এই বিমান।
বিমানে থাকা ৫ অফিসার ছাড়াও ১১জনের প্রাণহাণি ঘটে।
পাকিস্তানের আনআর্মড বিমান শ্যুট করার জন্য ভারতবর্ষকে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে নিয়ে যায়, তবে কেস খারিজ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয় যে ভারতবর্ষ কোনোরকম ভায়লেশান ছাড়াই তাদের বিমানকে শ্যুট ডাউন করেছে। তারপরের দিন ভারত দিল্লী ইন্টারন্যশেনাল এয়ার পোর্টে দেখিয়ে পাক দাবীকে নৎসাৎ করে। ভারত জানায় একটি বিমান শুট ডাউন হলে তার অনেক অংশ অনেক দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বিমানের বেশি অংশ পাকিস্তানে চলে গেছে। কিন্তু ভারতেও এর বেল কিছু অংশ পড়েছে যার ফলে প্রমান হয় পাকিস্তান মিথ্যা বলছে।
এখানে যেটি সমস্যা ছিল তাহল পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানটি আন আর্মড থাকতে টা ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল গোয়েন্দাগিরির জন্য। বিমানটিতে থাকা কিছু টেকনোলোজি ভারতের রেডার এবং এয়ার ডিফেন্সের পসিশনিং ম্যাপ করতে এসেছিল বলে মোট আন্তর্জাতিক মহলের। ভারতের বিমানবাহিনীর ধৈর্য ছিল বলেই পাকিস্তানের বিমানটি এয়ারপোর্টে নামতে বলেছিল কিন্তু তাদের হাতে এমন কিছু তথ্য ছিল যে কারনে তারা পালাতে চেয়েছিল।
এরকম পরিস্থিতি বহুবার তৈরি হয়েছে। কিন্তু পাক বিমানবাহিনীর হাতে বিভিআর মিসাইল না থাকার কারনে তারা এরকম সক্ষমতা আর দেখায়নি।
২০০০ সালের ৮অক্টবর বায়ুসেনা মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয় মিগ পাইলট স্কোয়ার্ডন লিডার পিকে বান্ডেলাকে, ফ্লাইট কন্ট্রোলার উইং কম্যান্ডার ভি এস শর্মা যিনি এ্যটল্যন্টিককে গ্রাউন্ড স্টেশান থেকে ট্র্যক, মিগ-২১ কে গাইড ও শুট ডাউনের পারমিশান দিয়েছিল আর আর হেলিকপটার পাইলট স্কোয়ার্ডন লিডার পনকজ ভিস্নকে।