জলপথে ভারতবর্ষের কাছে বিরাট বাধা পেতে চলেছে চীন!
বর্তমানে সব চেয়ে আলোচিত এবং উত্তেজিত একটি বিষয় ভারত এবং চিন।
প্রথমেই একটা কথা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী, ভারতবর্ষ কিন্তু 1962 সালে দাঁড়িয়ে নেই।ভারতবর্ষে এখন অনেক এগিয়ে। সঙ্গে কিন্তু চিন ও আগের থেকে বেশি শক্তিশালী অবস্থানে। তাই টক্কর চলছে সেয়ানে সেয়ানে। তবে ভারতবর্ষ চিন থেকে হাজারো গুন এগিয়ে, মানবিকতায়। ভারতবর্ষ কে গোটা বিশ্ব ভরসা করে, কিন্তু চিন কে করে না ।যে সব দেশের রাষ্ট্রনায়ক একটু বুদ্ধি মান তাঁরাই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যাবে।
একটা কথা মনে রাখার প্রয়োজন চিন কেবল ব্যবসা বোঝে। ওঁরা যে কোনও মূল্যে বিশ্ব কে হাতের মুঠোয় চাইছে।তার জন্য ওঁরা নিজের দেশের মানুষ কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতেও পিছপা হয় না। এটাই সারা বিশ্বের জন্য স্বস্তিদায়ক যে, চিনের মুখোশটা আজ উন্মুক্ত।
ভারতবর্ষ সভ্যতার দেশ, মানবতার দেশ, শান্তির দেশ, এখানে আঘাত হানার চেষ্টা করলে সারা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে তেইশটি দেশ সরাসরি ভারত কে সমর্থন করেছে।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, তাইওয়ান আমেরিকা রাশিয়া ইত্যাদি দেশ, ভারতকে সব রকম সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। চিন কে সবথেকে চাপে ফেলা গেছে, এবং ভবিষ্যতেও যাবে, নৌসেনা ক্ষেত্রে। এখানে আমেরিকা ভারতকে সাহায্য করার জন্য পুরোপুরি তৈরি। এছাড়া ভারতের হাতেও যথেষ্ট জল জাহাজ আছে। চিন ভারতের কাছ থেকে জলপথে দারুণ ধাক্কা খাবে।
চিনের অনেক ব্যবসা বয়কট করেছে ভারত। ভবিষ্যতে আরও করবে হয়তো। চিনের পণ্য বয়কট, অ্যাপ এ ধাক্কা। এগুলো চিন কে একটু হলেও টলাবে। চিন সকলের মাথায় টুপি পড়িয়ে, খুব আস্তে আস্তে প্রায় প্রতিটি দেশে নিজেদের ব্যাবসা স্থাপন করে ফেলেছে। এখন পরিস্থিতি টা এমন জায়গায় দাঁড়াবে যে, প্রতিটা দেশ এবার সতর্ক হবে। এটাই চিনকে অনেকটা দমিয়ে দেবে।
এছাড়া চিন লাগাতার আন্তর্জাতিক চাপে জর্জরিত হবে।কোনো দেশই চিনকে ছেড়ে কথা বলবে না। এখন বোঝা যাচ্ছে ভিতরে ভিতরে সব দেশই চিনকে খুব একটা পছন্দ করে না। ইতিমধ্যে রাশিয়া ভারতকে মিগ 35(এখনও কথাবার্তার পর্যায়ে আছে), S 400 অ্যান্টিমিসাইল সিস্টেম দিচ্ছে।
এছাড়া ভারতের সুখোই, অ্যাপচে,চিবুক, NIS বিক্রামাদিত্য ইত্যাদি বহুমূল্য অস্ত্র আছে, যা দিয়ে চিন কে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব ভারত আর আগের ভারত নেই। এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো, ভারতের সেনাবাহিনী চিনের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে সক্ষম। তাঁরা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সব সময় বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁরা একটুও পিছু হটবে না। চিন যতক্ষণ না পিছু হটছে।
তবে ভারতবর্ষ ও প্রচুর বিষয়ে চিনের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, এখান থেকে বার হতে সময় লাগবে।
চিন কে ভারত একা আর্থিক দিক দিয়ে খুব বেশি সমস্যায় ফেলতে পারবে না। তবে এই আবহে চিন কে ব্যাপকভাবে মাশুল গুনতে হবে, কারণ অন্য দেশ থেকে চিনের ব্যবসা অনেকটা গুটিয়ে যাবে। এই ধাক্কাটা ব্যাপক বড়ো ধাক্কা। তাই ভারত কে সাবধানে থাকতে হবে, কারণ চিন বিষাক্ত গোখরো সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। ওঁরা এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে।
কূটনৈতিক দিক দিয়ে ভারত চিন কে চাপে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে কোনো দেশ যেন যুদ্ধ না করে এই প্রার্থনা করাই উচিত। কারণ যুদ্ধ জীবন ধ্বংস করে। এর প্রভাবে প্রতিটা দেশই ক্ষতির সম্মুখীন হবে।