পাকিস্তান

গরীব হয়েও চীনের ১৬০ টি যুদ্ধবিমানকে নিজেদের সার্ভিসে রেখেছে পাকিস্তান!

নিউজ ডেস্কঃ কিভাবে একটি গরীব দেশ অর্থনৈতিক এবং কারিগরি ভাবে অক্ষম হয়েও, নিজেদের জন্য একটি যুদ্ধবিমান বানতে সক্ষম হয়, তার প্রকৃত উদাহরণ পাকিস্তান। এই পঞ্চম প্রজন্মের যুগে JF-17 কোন আকর্ষণীয় যুদ্ধবিমান নয়। তবে এটি একটি কারনে অবশ্যই F-35 এর থেকেও বেশি আকর্ষণীয়,আর তা হল এর দাম। সম্পূর্ণ প্যাকেজ সহ একটি Rafale এর দাম $১৬০ মিলিয়ন ডলার,একটি F-35 র দাম ও প্রায় এক‌ই রকম। অপর দিকে মায়ানমার সম্পূর্ণ প্যাকেজ সহ পাকিস্তান থেকে দশটি JF-17 block-II কিনেছে মাত্র $১৬০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে। অর্থাৎ প্রতিটি JF-17 এর দাম মাত্র $১৬ মিলিয়ন ডলার পরেছে। আর তাই আফ্রিকা ও এশিয়ার গরীব দেশ গুলির বাজার সহজেই পেতে পারে এই JF-17।

পাকিস্তান নিজেও গরীব দেশ, আর তাই ২০৩০ এর মধ্যে আরো ১৬০ টি JF-17 নিজেদের বহরে রাখতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তাদের বহরে ১০০ টি JF-17 রয়েছে। JF-17 ফাটার জেটের শেয়ারের ৪২% পাকিস্তানের এবং বাকি ৫৮% চীনের।

চীন নিজেদের বহরে এই সস্তা ফাইটার জেট না রাখলেও, এর থেকে আসা সিংহভাগ টাকা নিজেরা রাখছে। চীন JF-17 এর প্রধান অংশিদার। এটি এর অন্যতম সফল অ্যারোস্পেশ এর বাজারের বৃহত্তম অংশ‌ও বটে। এই JF-17 নিজেরা বহরে না রাখলেও,পাকিস্তান, মায়ানমার,নাইজেরিয়ার মতো দেশের কাছে এটি বিক্রি করে চীনের কোষাগারে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.