আমেরিকা, রাশিয়া ছাড়া পৃথিবীর আর কোন দেশের কাছে রণতরী আছে জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ একটি এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ারের ডেক একাধিক ফুটবল মাঠের সমান বড় হয়ে থাকে। এছাড়া তাতে থাকে আলাদা বিদ্যুত তৈরির প্ল্যন্ট ও অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা।
বর্তমানে ৯টি দেশ এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার ব্যবহার করে। যারা হল
♦ আমেরিকা
♦ রাশিয়া
♦ ভারত
♦ চীন
♦ ফ্রান্স
♦ ব্রিটেন
♦ ইতালী
♦ স্পেন
♦ থাইল্যন্ড
একটি এয়ার ক্রাফট ক্যরিয়ার দুই রকম হতে পারে তার এয়ারক্রাফটের ওপর টেক অফ প্রণালীর ওপর ভিত্তি করে। যে এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার গুলোর ডেক সমতল তাকে বলা হয় কাটোবার বা CATOBAR (“Catapult Assisted Take-Off But Arrested Recovery” or “Catapult Assisted Take-Off Barrier Arrested Recovery”) আর যে সব ক্যরিয়ারের সামনের অংশতে স্কাই জাম্প করার জন্য ঊর্ধ্বমুখী বাঁকানো অংশ থাকে তাকে বলা হয় স্টোবার বা ski-jump to assist take-off!
বড় ধরনের বিমান যেমন রেডার বহনকারী এ্যওয়াক্স বিমান লঞ্চের জন্য কাটেবার ব্যবহার করতে হয়। যা খরচসাপেক্ষ এবং জটিল পদ্ধতি। কিন্তু শুধু ফাইটার জেট টেক অফ করানোর জন্য স্টোবার যথেষ্ট।
যেকোনো ক্যারিয়ার নির্মান ও চালানো সব থেকে জটিল কাজ। ক্যারিয়ার নির্মান যেরকম খরচসাপেক্ষ তেমন এই ধরনের জিনিস পরিচালনা করতে যথেষ্ট অর্থ চলে যায়। একটি ফোর্ড ক্লাস ক্যরিয়ার যা আমেরিকার শক্তির প্রতিক, তা তৈরিতে খরচ হয়েছে $১৩.৩বিলিয়ন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের এক বছরের ডিফেন্স বাজেট $১০বিলিয়ন। এর পর তার বছরের পরিচলানর জন্য আরও কয়েক বিলিয়ন খরচ করতে হবে। এই জন্য সমস্ত দেশের পক্ষে এরকম রণতরী রাখা সম্ভব না। ভারত এরকম তিনটি এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার এ্যক্টিভ সার্ভিসে রাখার কথা ভাবছে। এই বছরের শেষে ভারত দ্বিতীয় ক্যরিয়ার পেয়ে যাবে। তবে তার ৬৫,০০০টনের তৃতীয় ক্যরিয়ার পেতে ভারতকে হয়তো ১০-১৫বছর আরও অপেক্ষা করতে হবে।