আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই পাকিস্তানের রাজধানীতে আক্রমণ করতে পারে ভারতবর্ষ
নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী যে কতোটা দূরদর্শী ছিলেন তা এখন ভারতবাসী বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছে। কারনে কার্গিল যুদ্ধের সময় তার নেওয়া বেশ কিছু প্রকল্প সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে চলেছে। বায়ুসেনা থেকে শুরু করে নৌসেনা। প্রতিটি স্তরে ক্ষমতা বাড়ছে সেনাবাহিনীর। সেইসময় তিনি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন যে সেনাবাহিনীর গুরুত্ব কতোটা এবং সেনাবাহিনীর কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে। আর সেই কারনেই তিনি একাধিক প্রোজেক্ট শুরু করেছিলেন। তবে সেইসময় জলসীমা থেকেই যে পাকিস্তানের রাজধানি করাচীতে পরমাণু হামলা করতে পারতো সেনাবাহিনী তা হয়ত অনেকেরই অজানা।
এসএলবিএম এর অর্থ “শিপ লঞ্চড ব্যলিস্টিক মিসাইল”। ভারতবর্ষের হাতে থাকা ধনুষকে প্রথম ২০০০ সালে পরীক্ষা করা হয়। সোজা কোথায় বলতে গেলে প্রথমিকভাবে নিউক্লীয়ার ট্রায়েড ভারতবর্ষ সেইসময় পূরণ করে ফেলেছিল (টেকনিক্যালি)।তবে পাকিস্তানের সেই সময় পাকিস্তানের মোটামুটি অবস্থা যথেষ্ট শোচনীয় হয়েছিল এই কথা শুনে।
কারন ১০০০কেজির ওয়ারহেড নিয়ে ধনুষের রেঞ্জ ৩৫০কিমি। তবে পেলোড কমাতে থাকলে অর্থাৎ ৫০০কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ৬০০কিমি এবং ২৫০কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ৭৫০কিমি রেঞ্জ করতে পারে যেত। অর্থাৎ ইন্টারন্যশেনাল ওয়াটার থেকেও ভারত পাকিস্তানের করাচীতে খুব সহজেই পরমাণু হামলা করতে পারতো।
শেই সময় অর্থাৎ দুদশক আগে পাকিস্তানের কাছে এটা একটা বড় হুমকি ছিল। আর ২১বছর পর দাড়িয়ে আজও পাকিস্তানের কাছে এমন কোনো এয়ার ডিফেন্স নেই যা ধনুষকে প্রতিহত করতে পারে।