পৃথিবীর বহু দেশকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারতীয় দেশীয় তেজাস
নিউজ ডেস্কঃ সারা পৃথিবী জুড়ে বহু দেশের কাছেই রয়েছে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান। আজ শুধু আমেরিকা বা রাশিয়া বা ফ্রান্স নয় এশিয়ারও বহু দেশের কাছে দামি যুদ্ধবিমান থাকে। ক্ষমতার দিক থেকে কেউ এগিয়ে পিছিয়ে থাকলেও বিমানবহরকে সাজাতে কেউ কম খরচ করেনা। এক্ষেত্রে চীন, জাপানের সাথে টেক্কা দিতে বর্তমানে ভারতবর্ষও বিমান তৈরি করছে। এবং ভবিষ্যতে পৃথিবীর বহু দেশকেই যে ভারতবর্ষ টেক্কা দেবে তা বলাই বাহুল্য।
জে-২০ – কাগজে কলমে বিশ্বের সবথেকে বেশি পে-লোড ক্ষমতা রয়েছে এই যুদ্ধবিমানের। চীনের প্রযুক্তির তৈরি এই যুদ্ধবিমানকে চীন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলে থাকে, তবে এখনও পর্যন্ত কোন আন্তর্জাতিক শো তে তাদের এই বিমানকে নিয়ে আসেনি। তৈরি করতে খরচ আনুমানিক ১২০ মিলিয়ন ডলার। পে-লোড ক্যাপাসিটি ১১,০০০ কেজি। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ২২-২৪ হাজার ডলার।
জে-১১- চীনের বেশ কিছু যুদ্ধবিমান পৃথিবীর বহু দেশের বিমান বাহিনীতে দেখা যায়। চীনের এই যুদ্ধবিমানের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ৪০ মিলিয়ন ডলার। পে লোড ক্ষমতা ৮,০০০ কেজি। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৯,০০০ ডলার।
জে-১৫- চীনের নিজের তৈরি যুদ্ধবিমান এটি। যুদ্ধবিমানটির বিক্রয়মূল্য ৫৫ মিলিয়ন ডলার। পে লোড ক্ষমতা ৮,০০০ কেজি। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ১০,০০০ ডলার।
এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন – আমেরিকার এমন এক যুদ্ধবিমান যা সারা পৃথিবীর অন্তত ৫০ টি দেশ ক্রয় করতে চেয়েছিল এক সময়। তবে বর্তমানে মোট ৩০ টি দেশের বিমানবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান রয়েছে। সিঙ্গেল ইঞ্জিন এই যুদ্ধবিমান রাজাদের রাজা বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মোট ২,৬০০টি যুদ্ধবিমান সার্ভিসে। এফ-১৬ ব্লক-৭০/৭২ এর আন্তর্জাতিক মূল্য ৬৫ মিলিয়ন ডলার। পে লোড ক্ষমতা ৭,৭০০ কেজি এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৭,০০০ ডলার। অর্থাৎ বাকি যুদ্ধবিমান গুলির থেকে ক্ষমতা বেশি হওয়ার পাশাপাশি দামও বেশি।
জাপানের এফ-২- যুদ্ধবিমানটি বিক্রয়মূল্য ১২০ মিলিয়ন ডলার। পে লোড ক্ষমতা ৮,০০০ কেজি। রক্ষনাবেক্ষন খরচ ৯,০০০ ডলার।
সাব গ্রীপেন-ই- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিক দর ৫০ মিলিয়ন ডলার। পে লোড ক্ষমতা ৫,৩০০ কেজি। রক্ষনাবেক্ষন খরচ ৪,৭০০ ডলার। তবে সুইডেনের এই যুদ্ধবিমান নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন, রাডার এবং এভিয়নিক্সসহ প্রায় ৮০% পর্যন্ত যন্ত্রাংশ, যুদ্ধাস্ত্র, কিট এবং ডিভাইস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, যুক্তরাজ্য, জার্মানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। ভারতবর্ষকে এই যুদ্ধবিমান অফার করেছে সুইডেন।
হাল তেজাস – ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির তৈরি এই যুদ্ধবিমান ভারত নিজস্ব ডিজাইন তৈরি করলেও এর ইঞ্জিন, রাডার এবং এভিয়নিক্সসহ প্রায় ৪০ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। তেজাসের বিক্রয়মূল্য আনুমানিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ বাকি যুদ্ধবিমান গুলির থেকে অনেক কম, আসলে আন্তর্জাতিক বাজারে টেক্কা দিতেই এর দাম কম করা হয়েছে। পে লোড ক্ষমতা ৫,৭০০ কেজি। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৬,৫০০ ডলার।
জেএফ-১৭ থাণ্ডার লাইট জেট – চীন এবং পাকিস্তানের যৌথপ্রয়াসে তৈরি যুদ্ধবিমান। তবে বেশিরভাগ প্রযুক্তি চীনের এবং ইঞ্জিন রাশিয়ার থেকে ক্রয় করা, রাশিয়ার কিমভ আরডি-৩৩/৯৩ ইঞ্জিন। জেএফ-১৭ থাণ্ডার লাইট যুদ্ধবিমানের আন্তর্জাতিক বাজার দর ৩০ মিলিয়ন ডলার। পে-লোড ক্ষমতা ৫.৫০০ কেজি। রক্ষনাবেক্ষন খরচ ৫,৫০০ ডলার।