ভারত

আগ্রাসী চীনকে আটকাতে কতোটা সক্ষম জাপান-ভারতবর্ষ!

নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পৃথিবীর প্রতিটা দেশই নিজেদের পলিসি বদলাচ্ছে। আসলে মডার্ন যুদ্ধে যে যুদ্ধাস্ত্রের থেকেও বেশি মাইন্ড গেম হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারনে পৃথিবীর বহু দেশ তাদের পলিসি পরিবর্তন করছে। ঠিক সেইভাবে এশিয়ার ও বেশ কিছু দেশের দরকার তাদের পলিসি পরিবর্তন করা। 

দিনের পর দিন চীন আগ্রাসী হয়ে উঠছে। আর সেই কারনে জাপান এবং ভারতবর্ষের দরকার পলিসি বদলানো বা স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করা। জাপানের উচিৎ এখন নিজেকে স্বাবলম্বী তৈরি করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে সকলকে জানিয়ে দেওয়া যে তারা পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। কারন চীনের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে জাপানের সেনারা মানুষিকভাবে বিদ্ধস্ত হওয়া হতে পারে। কারন যুদ্ধ শুধু অস্ত্র নয় মানুষিক জোরের উপরও হয়।

তবে শুধু জাপান নয় পাশাপাশি তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও হতে পারে। ভারতবর্ষকে পিছিয়ে থাকলে হবেনা বলে মোট সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ভারত সেকেন্ড স্ট্রাইক ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে ব্যলিস্টিক মিসাইল শিল্ড, MIRV উন্নয়ন এবং পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কমপক্ষে ৩০০ করতে হবে (অফিসিয়ালি)। ভারতবর্ষের কাছে প্রচুর পরিমাণে বড় ধরনের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধু তথ্যের উপর মানুষিক চাপ তৈরি হয়। সোজা কথায় বলতে গেলে ভারতবর্ষের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার বড় হতে পারে। তবে বেশিরভাগ কাঁচামাল এবং ওয়ারহেড তৈরি করে রাখা রয়েছে বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের। তবে সময় বদলাচ্ছে ভারতের হাতে একাধিক ক্যনিস্টারাইজড ব্যলিস্টিক মিসাইল আর এসএলবিএম(সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইল) আসায় এখন মিসাইলে বসিয়ে এ্যক্টিভ মোতায়েন শুরু করা হয়েছে। তবে তা আরও গতিশীল করা উচিৎ। বিশেষ করে সাবমেরিন ভিত্তিক পরমাণু মিসাইলের ওপর। কারন প্রকৃত যুদ্ধে আসল কাজ এরাই করবে। গ্রাউন্ড বেসড যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্ত এসএলবিএম সব চেয়ে ভয়ানক জিনিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published.