প্রোজেক্ট চিতার কারনেই ভারতবর্ষ কত গুলি ড্রোন পেতে চলেছে?
নিউজ ডেস্কঃ আধুনিক যুদ্ধে যে ড্রোনের ব্যবহার বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। পৃথিবীর প্রায় প্রচুর দেশই এই ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে বিরাটভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে খুব শীঘ্রই পঞ্চম প্রজন্মের ক্ষমতা যুক্ত ড্রোন হাতে পেতে চলেছে আমেরিকা। তবে শুধু আমেরিকা বা রাশিয়া নয় পাশাপাশি তুরস্কের মতো দেশও এই ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি অত্যাধুনিক ড্রোন হাতে ভারতবর্ষের তিন সেনাবাহিনী হাতে পায় তার দিকেও যথেষ্ট আলোকপাত করেছে ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আর সেই কারনে ইসরায়েল এবং আমেরিকার থেকে প্রচুর ড্রোন ক্রয় করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
প্রোজেক্ট চিতার মাধ্যমে ভারতবর্ষের হাতে প্রচুর ড্রোন আসতে চলেছে। বর্তমানে ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে ৮০ টি হেরন ড্রোন আছে। এর মধ্যে আবার ৪ টি হেরন টি পি ড্রোন রয়েছে যা ইসরায়েলের থেকে লিজ নেওয়া হয়েছিল। তবে এগুলিকে বিরাটভাবে আপগ্রেড করা হতে চলেছে।অত্যাধুনিক লং রেঞ্জ সার্ভেইল্যন্স সেন্সার আর এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল দিয়ে আপগ্রেড করতে চলেছে চিতা প্রোজেক্টের মাধ্যমে। ইসরায়েলের সাথে একাধিক বৈঠক হয়েছে এই ড্রোন ক্রয় করার ব্যাপারে। এবং দুই দেশ সম্মতি হয়েছে যে এই প্রোজেক্ট চিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
বিশেষ এই ড্রোন গুলিকে আপগ্রেড করলে ক্ষমতাও বিরাটভাবে বৃদ্ধি পাবে। এটি হরাইজনের লিমিট ছারিয়ে বহুদূর পর্যন্ত সারভিলেন্স করতে সক্ষম। এতে যুক্ত হবে স্যটেলাইট ডাটা লিংক আর সাথে সিগনাল ইন্টেলিজেন্স, কমিউনিকেশান ইন্টালিজেন্স, সিন্থেটিক এ্যপার্চার রেডার ইমেজিং কেপেবিলিটি, ইলেকট্রো অপ্টিকাল টর্গেটিং সিস্টেম ইত্যাদি। এরই সাথে ভারত এগুলোর ওপর এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল(আকাশ থেকে ভুলিতে আক্রমণ করা যায় এমন মিসাইল) মোতায়েন করবে। যার ফলে ড্রোন গুলি নিখুঁতভাবে টার্গেট হিট করার ক্ষমতাও রাখবে। ভারতের হাতে ~৮০টি স্ট্রাইকার ড্রোন এলে ভারতের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বিরাটভাবে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও ভারত আমেরিকা থেকে ৩০টি MQ-9B লং রেঞ্জ কম্ব্যট ড্রোন ক্রয় করতে চলেছে। যা 2177 kg পেলোড নিয়ে একটানা ৪০ঘন্টা উড়তে সক্ষম। এই চুক্তির খরচ ৩বিলিয়ন ডলার বা ২১,০০০ কোটি টাকা!
অর্থাৎ ভারত মোট ৮০+৩০= ~১১০টি কম্ব্যট ড্রোন পেতে চলেছে।