অ্যামেরিকা

আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে রাশিয়ার অস্ত্রাগারে কত হাজার পরমাণু মিসাইল আছে জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে সবসময় এককদম এগিয়ে থাকার কথা ভাবে রাশিয়া। আর সেই কারনে তারা এমন কিছু অস্ত্র বানিয়ে রেখেছে যা সকলেরই অজানা। বলতে গেলে লোক চক্ষু থেকে উপেক্ষা করে রাখা।

শত্রুপক্ষকে হামলা করার জন্য এমনই এক মিসাইল বহু বছর আগে বানিয়ে রেখেছে রাশিয়া। “জিরকন নামের এক মিসাইল। ” ২ দশক ধরে তৈরি করা হয়েছিল এই মিসাইলটি। ১১৯৫ সালে প্রথমবারের জন্য সকলের সামনে এক মিসাইল নিয়ে আসে রাশিয়া। যা তাদের যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন এবং মিসাইল লঞ্চার থেকে ব্যবহার করা যাবে। শত্রুপক্ষের জাহাজে আক্রমন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই মিসাইল। যার গতি ম্যাক ৮ বা ১১০০০ কিমি/ঘণ্টা। এরপরে রয়েছে রয়্যাল নেভির একটি মিসাইল ইন্টারসেপ্টর।

এই মিসাইল সম্পর্কে অনেক কিছুই এখনও গোপন করে রেখেছে রাশিয়া। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রিসার্চ করে ১৯৯৫ সালে সবার সামনে নিয়ে আসে এবং তারপর আবার ২০১২-১৩ র দিকে তাদের একটি বম্বার যুদ্ধবিমান থেকে পরীক্ষা করে থাকে। কিন্তু ২০১৬ সালে তা সাফল্য পায় এবং ২০১৭ র দিকে এর গতি সম্পর্কে জানানো হয়। অর্থাৎ এই সকল ব্যাপারটি অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। 

মস্কোর ডিফেন্স কাউন্সিলের প্রধান ভিক্টর বন্দারেভ একসময় জানিয়েছিলেন যে, ‘জিরকন’ নামের ওই ক্রুজ মিসাইল বর্তমানে রাশিয়ার অস্ত্রাগারে প্রস্তুত রয়েছে।

রাশিয়া তরফ থেকে সেভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে তারা যা জানিয়েছে তাহল ওই মিসাইলের গতি শব্দের থেকে আট গুন বেশি।

রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে রীতিমত তৈরি এই বিশেষ মিসাইলটি। এমনকি এটি ন্যাটো মিসাইল ইন্টারেসপ্টরকেও গুঁড়িয়ে দিতে পারে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।বলে রাখা ভালো যে বর্তমানে রাশিয়ার কাছে রয়েছে, বম্বার, ট্যাকটিক্যাল মিসাইল, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল, এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম, পরমাণু মিসাইল ইত্যাদি রয়েছে। ন্যাটোর সঙ্গে পাল্লা দিতে কয়েক বিলিয়ন খরচ করছে রাশিয়া। হাইপারসনিক মিসাইলের লড়াইতে রাশিয়া বাকিদের থেকে ১৫ বছর এগিয়ে থাকবে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.