ভারত

প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ বাড়ছে ডিফেন্স সেক্টরে

নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে যাতে চট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সেই কারনে একাধিক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতবর্ষ। বিশেষ করে সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা নিয়োগের পাশাপাশি বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্র এবং টেকনোলোজি মোতায়েনের উপর নজর দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারনে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করা হচ্ছে ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষা খাতে। 

ব্যাঙ্গালুরু বেসড নিউস্পেশ রিসার্চ এন্ড টেকনোলজিস ১৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ১০০ টি সোয়ার্ম ড্রোন দিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। লাদাখে ভারত-চীন অশান্তির কারনেই জরুরী ভিত্তিতে চুক্তি করা হয়েছে। চলতি বছরে আর্মি ডে প্যারেডে এই ড্রোন গুলোর প্রদশর্ন করা হয়েছিল। ৫-১০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে এই ড্রোন গুলি ২৫ কিমি পর্যন্ত আক্রমণ করতে সক্ষম।শত্রুর ট্যাংক, যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত যেকোনো প্রকারের যানবাহনকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ড্রোন গুলি।  আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে এই রকম ড্রোন প্রচুর ব্যবহার করা হয়েছিল। ড্রোন গুলো লাদাখের মত দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পোস্টে মেডিক্যাল এবং অনেক কিছু পৌঁছে দিয়ে আসতে সক্ষম।

নিউস্পেশ সংস্থা হ্যালের সাথে যৌথভাবে CATS নামে এয়ার লঞ্চড সোয়ার্ম ড্রোন তৈরি করছে যা ভবিষ্যতে তেজস মার্ক ২, এবং রাফালের থেকে লঞ্চ করা হবে। একটা ব্যাপার চোখে পরার মতো যে ভারতের তিন বাহিনী ধীরে ধীরে হলেও ভারতীয় সামরিক কোম্পানি গুলোর দিকে ঝুঁকছে। আগে জানুয়ারী মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আইডিয়া ফোর্জের সাথে ১৩০ কোটি টাকার বিনিময়ে অজানা সংখ্যক সারভিলেন্স ড্রোনের চুক্তি হয়। এছাড়া ভারতীয় কোম্পানি আলফা ডিফেন্সের থেকেও স্কাই স্ট্রাইকার লয়টারিং ড্রোনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তবে  বলা বাহুল্য যে এটি ইসরায়েলের টেকনোলজি, ভারতে এলবিট সিস্টেম এবং আলফা ডিজাইন যৌথভাবে এটি তৈরি করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.