ভারতবর্ষকে পরমানু শক্তিধর দেশ করতে কি করেছিলেন কালাম এবং বাজপেয়ী?
নিউজ ডেস্কঃ অটল বিহারী বাজপেয়ী। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এতোটাই দূরদর্শিতা ছিল যে আগামি দিন দশক বা ৩০ বছর পর ভারতবর্ষকে কোন স্থানে নিয়ে যেতে হবে তা বেশ ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেই কারনে তিনি ভারতের একাধিক প্রোজেক্ট ঘোষণা করেছিলেন। সবথেকে বড় কথা হল এই যে নৌসেনার জন্য ২৪ টি সাবমেরিনের স্বপ্ন সেইসময় দেখেছিলেন এই মানুষটি। আসতে আসতে সেইগুলি ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে আসতে চলেছে। তবে কার্গিল যুদ্ধের সময় যখন দুই প্রতিবেশি দেশ ভারতের চোখ রাঙাচ্ছে সেইসময় সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে যেতে একটু ভয় পায়নি। ভারতকে পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্রহিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এই মহান মানুষটি।
রাজস্থানের পোখরানে ভারতের প্রথম সামরিক পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছিল। আমেরিকার রাতের ঘুম নিয়েছিল ভারতবর্ষ সেইসময়। পাশাপাশি চীন এবং পাকিস্তানের ভারত দখলের স্বপ্ন ও সারাজীবনের মতো নষ্ট হয়ে যায়। কারন সেইসময় পাকিস্তান আমেরিকার হয়ে কাজ করত। সোজা কথায় ভারতবর্ষের বিপরীতে ছিল আমেরিকা। তিনটি বোম পরীক্ষা করা হয়েছিল ১১ মে।
শক্তি ১- ৫৬কিলোটনের থার্মোনিউক্লীয়ার ডিভাইস ছিল এটি। সোজা কোথায় হাইড্রোজেন বোমা।
শক্তি ২- প্লুটোনিয়াম ইম্পাল্সানে তৈরি ১৫ কিলোটনের ফিউসন ডিভাইস। এর ক্ষমতা ছিল জাপানের হিরোসিমাতে বিষ্ফরণ হওয়া ফ্যটবয় বোমটির মত।
শক্তি ৩- পরীক্ষামূলক ডিভাইস। এটি কোনো সামরিক যুদ্ধাস্ত্র নয়। ০.৩কিলোটনের সক্ষমতা ছিল।
আরও দুটি ডিভাইস দুইদিন পর ১৩ই মে করা হয়।
শক্তি ৪- ০.৫কিলোটনের পরীক্ষামূলক ডিভাইস।
শক্তি ৫- থোরিয়াম এবং ইউরেনিয়াম ২৩৩ এর মিশ্রনে তৈরি। এটিও পরীক্ষামূলক ডিভাইস। পরমাণু অস্ত্রে থোরিয়ামের উপযোগিতা পরীক্ষা লক্ষ ছিল। ০.২কিলোটনের সক্ষমতা।
ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম এবং ডঃ আর চিদম্বরম, ডঃ কে সনথনম সহসমস্ত বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার দের বিরাট প্রচেষ্টায় ভারতবর্ষ পরমানু বোমার পরীক্ষা সফল ভাবে করে। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী অটল বিহারী বাজপাই। যার দৃঢ় সংকল্প ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছে।