এয়ার ইন্ডিয়া প্রায় ৫ হাজারের উপর লোককে উদ্ধার। ইন্ডিয়ান আর্মির অবাক করা প্ল্যান
রাজেশ রায়: গভীর সমুদ্রের নীল জলরাশিকে কেটে এগিয়ে চলেছে আইএনএস সুমিত্রা, ভারতীয় নেভির পেট্রোল ভেসেল। আসন্ন মিশনের কথা ভেবে ক্যাপ্টেন মিলিন্দ মোহন মোকাশির কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাজ পড়েছে। এতক্ষণ যা বলছিলাম তা হচ্ছে ভারতীয় সেনার তিনবাহিনীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব “অপারেশন রাহাত”। সিনেমার কাহিনীকেও হার মানাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর এই অপারেশন। অপারেশন রাহাত। কী ভাবে ভারতীয় নেভি, এয়ার ইন্ডিয়া প্রায় ৫,৬০০ লোককে উদ্ধার করেছিল?
২০০১ সালের ৯ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস না হলে তার এক বছর আগে ১২ অক্টোবর ২০০০ সালে হওয়া এই ঘটনা মানুষ মনে রাখত। আমেরিকান নেভির অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ ৬০০০ টনের ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কোল তেল ভরার জন্য ইয়ামেনের এডেন বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে। সময়টা দুপুরের দিকে, জাহজের সমস্ত সদস্যরা দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎই একটি ছোট বোট ইউএসএস কোলের দিকে এগোতে শুরু করে। জাহাজের কাছে পৌঁছে বোটের দুজন যাত্রী উপরের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কিছু বলে, ঠিক তার পরেই ঘটে বিশাল বিস্ফোরণ। আসলে বোটের এই দুই যাত্রী ছিল আতঙ্কবাদী যারা ৩০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করছিল বোটে। এই আত্মঘাতী হমলায় পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে, এই ঘটনায় আমেরিকার ইউএসএস কোলের ১৭ জন ক্রু মারা যায় এবং ৩৭ জন ক্রু আহত হয়। বিস্ফোরণ এতই জোরালো ছিল যে তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ডেস্ট্রয়ার ইউএসএসকোলের গায়ে ৪০ ফুট গর্ত হয়ে যায়। মাত্র ২ জন লোক একটি ছোট বোটে করে এসে শক্তিশালী যুদ্ধ জাহাজের এই অবস্থা করতে পারলে ভাবুন আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌ অপারেশন কতটা কঠিন কাজ। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ১৫ বছর আগের ঠিক এই কথাটাই তখন মাথায় ঘুরছিল গল্ফ অফ আরবে মজুত থাকা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রার কম্যান্ডারের মাথায়, যিনি সেই সময় তার জাহাজটিকে এডেন বন্দরের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন।
২০১৫ সালের মার্চ মাসের এই সময়ে ইয়ামেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাতে হাজার হাজার ভারতীয় ইয়ামেনে আটকে যায়। এই সময় ক্ষমতা দখলের জন্য ইয়ামেনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যপক যুদ্ধ লেগে যায়, আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে সৌদি আরব। সৌদি আরবের বায়ুসেনার এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান ইয়ামেনে এয়ারস্ট্রাইক করতে শুরু করে, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এই সময় গল্ফ অফ আরবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা অ্যান্টি পাইরেসি মিশনে নিযুক্ত ছিল। মাত্র ২০ দিন আগেই প্রায় নতুন এই যুদ্ধ জাহাজটি এই এলাকায় আসে। পৃথিবীর সবচেয়ে খতরনাক জলদস্যু এলাকা নামে পরিচিত গল্ফ অফ আরবে ভারতীয় বানিজ্যিক জাহাজ গুলিকে এসকর্ট করার দায়িত্ব ছিল সুমিত্রার উপর।
সুমিত্রার ক্যাপ্টেন মিলিন্দ মোহন মোকাশি খবর পান ২৬ মার্চ, ২০১৫ সালে সৌদি আরব ইয়ামেন আক্রমণ করে দিয়েছে এবং প্রচুর ভারতীয় আটকে পড়েছেন। ২৯ মার্চ তাঁর নেতৃত্বে আইএনএস সুমিত্রা ও ১৫০ জন নৌসেনা জীবুতি হয়ে ইয়ামেনের বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য। আফ্রিকার ছোট্ট একটি দেশ জীবুতি হচ্ছে ইয়ামেনের সবচেয়ে কাছের দেশ। এই দুইটি দেশের মধ্যে শুধু সমুদ্র আছে। কিন্ত সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা দেখা দিল সেটা হচ্ছে এত ভারতীয়কে উদ্ধার করা হবে কী করে?
আইএনএস সুমিত্রা তখন মাত্র ছয় মাস আগেই সার্ভিসে এসেছিল, জাহাজটিকে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে ১৫০ জন যাত্রী ধরতে পারে। তাছাড়া সুমিত্রার সমস্ত ক্রুকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল অ্যান্টি পাইরেসি মিশনের জন্য সুতরাং সম্পূর্ণ অন্য একটি রেসকিউ মিশনের জন্য তৈরি হতে প্রায় ৩৬ ঘন্টা সময় লাগে। ইউএসএস কোলের ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে ৩১ মার্চ ইন্ডিয়ান নেভির স্পেশাল ফোর্স মার্কোসকে নিযুক্ত করা হয় যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। ৩১ মার্চ দুপুরের দিকে এডেন বন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এসে পৌছায় আইএনএস সুমিত্রা। দূরবিনে সেখান থেকেই দেখা যাচ্ছিল এডেন বন্দরকে। অবশেষে বিকাল চারটেয় এডেন বন্দরের ২২ কিলোমিটার আগে এসেই থেমে যায় আইএনএস সুমিত্রা কারন সেই সময় ইয়ামেনের এয়ারস্পেস কন্ট্রোল করছিল সৌদিআরব এবং তাদের এফ-১৬ ইয়ামেনে রীতিমতো বোম্বিং করছিল। এইসময় সৌদিআরবের অনুমতি ছাড়া সামনে এগনোর অর্থ আত্মহত্যা করা। আইএনএস সুমিত্রার ক্যাপ্টেন মিলিন্দ মোহন মোকাশি সৌদি আরবের পারমিশনের অপেক্ষা করে কিন্তু সৌদিআরব কোন জবাব দেয় নি। বাধ্য হয়ে মিলিন্দ স্যার ভারতীয় নেভির হেড কোয়ার্টারে সব খবর জানায়। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে সেই দেশে নিযুক্ত থাকা ভারতীয় ডিপ্লোম্যাটই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু সেইসময় ইয়ামেনে থাকা সমস্ত ভারতীয় ডিপ্লোম্যাট দেশটির রাজধানী সানাতে ছিল যা এডেন বন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে এডেনে তখনও একটি ভারতীয় স্কুল চালু ছিল, সেই স্কুলের প্রিন্সিপাল ভারতীয় সরকারের অধীনে কাজ করত। ক্যাপ্টেন মিলিন্দ মোকাশি ওনাকে ফোন করে জানায় তিনি এডেন বন্দরের দিকে এগোচ্ছেন কিন্তু প্রিন্সিপাল জানান এডেন বন্দরের অবস্থা খুব খারাপ বিকেল সাড়ে পাচটার পর এখানে জাহাজ না আনায় ভাল। রাতের বেলায় এডেন উপকূল কয়েকগুন বেশী বিপদজনক হয়ে যায়। কোন উপায় না পেয়ে ক্যাপ্টেন মিলিন্দ মোকাশি আট সদস্যের একটি মার্কোস টিমকে এডেন বন্দরের দিকে যাবার অনুমতি দেয়। একটি ছোট বোটে করে তারা রওনা দেয়।
বন্দরে পৌঁছে মার্কোস টিম ক্যাপ্টেনকে মেসেজ দেয় আগে এগিয়ে আসার। এডেন বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে পৌঁছানোর পর মার্কোস টিম মেসেজ পাঠায় তার বন্দরে কিছু ভারতীয়কে খুঁজে পেয়েছে যারা প্রান বাঁচানোর জন্য কন্টেইনারে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু নতুন সমস্যা দেখা যায় যে প্রায় ৩৫০ জন ভারতীয় ছিল সেখানে। এত বিপুল সংখ্যায় থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করা অসম্ভব ছিল আইএনএস সুমিত্রার পক্ষে। সন্ধ্যা ৭:৪৫ নাগাদ আইএনএস সুমিত্রা এডেন বন্দরে এসে পৌছায়। সেইসময় বন্দরে থাকা এক ইয়ামেনি আধিকারিক জানায় মাত্র ৪৫ মিনিট সময়ের মধ্যে সমস্ত ভারতীয়কে নিয়ে চলে যেতে হবে যা অসম্ভব ব্যাপার ছিল। সেইসময় সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল কোন ইয়ামেনি আতঙ্কবাদী এসে সুইসাইড বোম্বিং না করে বসে। ঠিক তখনই দিল্লি থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টার থেকে মেসেজ আসে সমস্ত ভারতীয়দের উদ্ধারেরে জন্য। মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে ৩৫০ ভারতীয় কে রীতিমতো স্ক্যান করে আইএনএস সুমিত্রাতে তোলা হয়। সেইসময় আইএনএস সুমিত্রার চারপাশে দুই লেয়ার বিশিষ্ট সিকিউরিটি ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম ভাগে ছিল আটজন মার্কোস কম্যান্ডোর টিম যাদের কাজ ছিল সুমিত্রার আশেপাশে আসতে চাওয়া বোটকে ধ্বংস করা এবং দ্বিতীয় ভাগে জাহজের মধ্যে ছিল বিশেষ অস্ত্র সজ্জিত কম্যান্ডো টিম। সমস্ত ভারতীয়কে উদ্ধারের পর আইএনএস সুমিত্রা ফুল স্পিডে রওনা দেয়। পরের দিন সকাল সাতটায় জীবুতি পৌছায় আইএনএস সুমিত্রা। সেখানে ততকালীন বিদেশমন্ত্রী ভিকে সিং স্বয়ং উপস্থিত থেকে ভারতীয়দের অভ্যথর্না জানান। আইএনএস সুমিত্রাতে ১৫০ জনের মত খাবার মজুত ছিল, জাহাজে থাকা সমস্ত ভারতীয়দের যাতে কোন সমস্যা নাহয় সেই জন্য সুমিত্রার ১৫০ জন ক্রুর কেও সাররাত কিছু খাননি। আইএনএস সুমিত্রার এই উদ্ধারকার্যের খবর দেশ বিদেশে রীতিমতো সারা ফেলে দিয়েছিল।
কিন্ত বিপদ তখনও কাটে নি। জীবুতিতে পৌঁছে বিশ্রাম নেওয়ার ২-৩ ঘন্টার মধ্যে ক্যাপ্টেন মিলিন্দ মোকাশির কাছে নতুন অর্ডার আসে ইয়ামেনের আরও একটি অংশ আলহুদেদা থেকে আরও ভারতীয়দের উদ্ধারের। ১ এপ্রিল আল হুদেদা শহরের একটি বিশাল ডেয়ারি ফ্যাক্টরির উপর সৌদি বিমানবাহিনী ব্যাপক বোম্বিং করে। এই শহরে অনেক ভারতীয় থাকত এবং অনেক ভারতীয় এই ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। মেসেজ পাওয়া মাত্রই আইএনএস সুমিত্রা ফুল স্পিডে আল হুদেদার দিকে রওনা হয়ে যায়। এডেন বন্দরের থেকে আল হুদেদায় পৌঁছানো অনেক কঠিন ছিল কারন সৌদি আরবের নির্দেশ ছিল আল হুেদেদা বন্দরে কোন জাহাজ দিনের বেলা পৌঁছে দিনের বেলাতেই বেরিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া আল হুদেদা পৌঁছানোর নেভিগেশন ম্যাপ পর্যন্ত ছিলনা সুমিত্রার কাছে। সবচেয়ে বড় কথা সেই সময় আল হুদেদা শহর কব্জা করে ফেলেছিল হুথী নামে এক বিদ্রোহী সংস্থা যা আইএনএস সুমিত্রার ক্রুরা জানতই না। ২ এপ্রিল দুপুর বেলায় আল হুদেদা পৌঁছায় আইএনএস সুমিত্রা। সেখানে থাকা হুথী সংগঠন জাহাজ ঘিরে ফলে অবশেষে কথাবার্তার পর হুথী সংগঠন আইএনএস সুমিত্রাকে চার ঘন্টা সময় দেয় সমস্ত ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য।
আল হুদেদায় আটকে থাকা ৩১৭ ভারতীয়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর ৩১৭ ভারতীয়কে নিয়ে জীবুতিতে পৌঁছায় আইএনএস সুমিত্রা। এরপর আইএনএস সুমিত্রাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইয়ামেনের অ্যাশ শিহির নামক শহরে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য। সেখানে পেট্রো ম্যাসেল্লা নামক একটি তেল কোম্পানিতে প্রায় হাজার ভারতীয় কাজ করত। এই শহরের সবচেয়ে কাছের শহর ছিল আল মোকেল্লা। কিন্ত সমস্যা হচ্ছে সেই সময় আল মোকেল্লা ছিল আতঙ্কবাদী সংগঠন আল কায়েদার দখলে। প্রায় ৪০ ঘন্টা যাত্রার পর অ্যাশশির এসে পৌঁছায় আইএনএস সুমিত্রা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অ্যাশশির বন্দর অসম্পূর্ণ ছিল মানে সেখানে জাহাজ ডক করবার কোন ব্যবস্থাই ছিল না। বাধ্য হয়ে বন্দরের কিছু আগে জলে দাঁড়িয়ে যায় সুমিত্রা এবং আটকে পড়া ভারতীয়দের ছোট বোটে করে সুমিত্রাতে নিয়ে আসা হয়। ২ ঘন্টায় ২০৩ ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয় এবং ৭ এপ্রিল নাগাদ জীবুতেতে ফিরে আসে। ৯ এপ্রিল ও ১৫ এপ্রিল আইএনএস সুমিত্রা আল হুদেদাতে আরও দুটি উদ্ধারকার্য চলায় যাতে ৩৪৯ ও ৪০৩ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়। আইএনএস সুমিত্রা একাই ভারত সহ ২৬ টি দেশের ১৬২১ জনকে উদ্ধার করে যাদের মধ্যে পাকিস্তানও ছিল।
অপারেশন রাহাতের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল জীবুতি। কারন ইয়ামেনে সবসময় সৌদি আরবের এয়ারস্ট্রাইকের জন্য ইয়ামেনকে নো ফ্লাই জোন ঘোষনা করা হয়েছিল, সেজন্য জীবুতিকে বেস করেই সমস্ত উদ্ধারকার্য চালানো হয়েছিল। আইএনএস সুমিত্রার পাশাপাশি ভারতীয় নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মুম্বাই ও ফ্রিগেট আইএনএস তারাকাশ ও প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জীবুতি পৌঁছে উদ্ধারকার্যে সহায়তা করেছিল।
ভারতীয় বায়ুসেনা জীবুতিতে তাদের দুটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমান মোতায়েন করেছিল যার প্রতিটি ৬০০ করে যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম ছিল। মূলত জীবুতি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসত এগুলো। এছাড়াও লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসনের দুটি ফেরি এমভি কাভারেত্তি ও এমভি কোরালকেও, যাদের প্রতিটি ১,৫০০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম ছিল, পাঠানো হয়েছিল এডেন বন্দরে উদ্ধারকার্যের জন্য। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের দুটি এয়ারবাস ৩২০ বিমান ওমানের কাছে মাসকেটে মোতায়েন করেছিল। অপারেশন রাহাতে মোট ৫,৬০০ মানুষকে উদ্ধার করেছিল ভারত, যাদের মধ্যে ৪,৬৪০ জন ভারতীয় এবং বিশ্বের ৪১ টি দেশের ৯৬০ জন নাগরিক ছিল।