রাশিয়া

টেকনোলোজির দিক থেকে প্রচুর পিছিয়ে রয়েছে রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে তালবাহানা চলছে বহু বছর ধরেই। কারন সবঠিক থাকলে এতোদিনে হয়ত রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এক বিরাট সংখ্যায় তাদের হাতে থাকত। কিন্তু তা আজও সম্ভব হয়নি।

প্রায় ১৪ বছর ধরে গবেষণা করার পর পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সুখই সু ৫৭ কে রাশিয়ার বিমান বাহিনীতে দেখা যেতে চলেছে। যদিও এখনও এই যুদ্ধবিমান থেকে ইপারসনিক এয়ার টু এয়ার মিসাইল ফায়ার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি।

২০১০ সালের দিকে এই যুদ্ধবিমানের প্রথম প্রোটোটাইপকে সামনে আসতে দেখা গেছিল যা সার্ভিসে আসতে প্রায় ১৪ বছর সময় লেগে গেল। পৃথিবীর প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসাবে সার্ভিসে আসে আমেরিকার এফ-২২ র‍্যাপ্টার ২০০৫ সালে। পাশাপাশি এফ-৩৫ লাইটনিং জয়েন্ট স্টাইক সার্ভিসে আসে ২০১৪ সালে এবং চীনের জে-২০ ২০১৭ সালে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন রাশিয়া এখনও কতোটা পিছিয়ে রয়েছে।

রাশিয়ার সু ৫৭ স্টেলথ ক্ষমতা পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তির এইএসএ রাডার ব্যবহার করছে। পাশাপাশি ৫-৬ ম্যাক গতি সম্পন্ন ১৫০-৩৯৮ কিলোমিটার রেঞ্জের এবং ৩৭এম হাইপারসনিক এয়ার টু এয়ার বিভিআর মিসাইল ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে ১৯৩ কিলোমিটার রেঞ্জের কে-৭৭ এপিএএ গাইডেড আকাশ থেকে আকাশে ব্যবহার করার মতো বিভিআর মিসাইল ইনস্টল করার ফলে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ এবং এফ-৩৫ এ ব্যবহৃত এ আইএম-১২০ডি এয়ার টু এয়ার মিসাইলের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে।

২০২৪ সালের মধ্যে ২২ টি এবং ২০২৮ এর মধ্যে ৭৬ টি আধুনিক মানের সুখই সু ৫৭ কে রাশিয়ার বিমানবাহিনীতে দেখা যেতে চলেছে। তবে এই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। স্টেলথ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন হিসেবে বিশেষ উপযোগী নতুন জেট ইঞ্জিন তৈরির কাজ এখনো পর্যন্ত ডেভলপমেন্ট স্টেজেই রয়ে গেছে।

রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন হিসাবে আশি ও নব্বইয়ের দশকের এএল-৩১এফ/ এএল-৪১ আফটার টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করে। আর সেই কারনে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে এই যুদ্ধবিমানটি। কারন খুব সহজেই শত্রু পক্ষের রাডারে ৮৯% পর্যন্ত হীট সিকনেচার হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.