চীনের তৈরি করা ভয়ঙ্কর কোন যুদ্ধাস্ত্র সমস্ত দেশের চিন্তার কারন?
নিউজ ডেস্কঃ দেশের সামরিক ক্ষমতাবান দেশ গুলির মধ্যে এখন চীন রয়েছে। চীন এবং ভারতের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চাপে গোটা বিশ্ব। কারন দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে উন্নত। ভারতের সাথে সাথে চীনের বেশ কিছু উন্নত অস্ত্র রয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আগে তাদের ক্ষমতা একবার দেখে নিয়ে যুদ্ধ করলে অনেক এগিয়ে থাকা যায়। কারন তাদের যে স্থানে খামতি রয়েছে সেই স্থান গুলি বিচার করে আক্রমণ করলে নাজেহাল হওয়াটা অনেক স্বাভাবিক। চীনের বেশ কিছু যুদ্ধবিমান বা অস্ত্র রয়েছে যা অন্য দেশ থেকে ডিজাইন বা টেকনোলোজি চুরি করে বেশ উন্নত মানের বানিয়েছে। এবং শেষ ৫ বছরে তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণাতে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
চেংদু জে ২০ যুদ্ধবিমান- সম্প্রতি তাদের বিমান বাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান যুক্ত করেছে চীন। রাশিয়ার মিগ-২৫ ফক্সব্যাটের মতোই জে-২০ একটি মিডিয়াম টু লং রেঞ্জ যুদ্ধ বিমান। ২০১১ তে প্রথম আকাশে দেখা যায় এই যুদ্ধবিমানকে, এরপরে ২০১৭ সালে চীনের বিমানবাহিনীতে যোগ হয় এই বিমান। এফ ২২ র্যাপ্টর এবং এবং এফ ৩৫ র পর এই যুদ্ধবিমানকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলে থাকে অনেকে। তবে এই যুদ্ধবিমান নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কারন আমেরিকার এফ ৩৫ র একাধিক টেকনিক্যাল জিনিস অনুকরন করে বানানো হয়েছে বলে অনেকেরই মত। প্রায় ৫০ টি বিমান রয়েছে চীনের বিমানবাহিনীতে। বিমানটি ১৩০০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম। এই যুদ্ধবিমান ২০০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় উড্ডয়নের পাশাপাশি ৬০০০ কিমি রেঞ্জ রয়েছে।
সেনইয়াং এফ সি-৩১ ইগল: এটি একটি মাল্টি রোল ও লো অবজারভাবেল ট্যাকটিক্যাল যুদ্ধবিমান। ২০১২ সালে অক্টোবর মাসে প্রথম আকাশে উড়তে দেখা যায় এই যুদ্ধ বিমান। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিমানে ইঞ্জিনকে সম্পূর্ণ স্মোক ফ্রি করা হয়েছে। ফলে এর ওজন কমেছে আরও অনেকটা। এখনও পর্যন্ত দুটি প্রোটোটাইপ বানানো হয়েছে এই যুদ্ধবিমান।এই যুদ্ধবিমান এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড অর্থাৎ আকাশ থেকে ভুমিতে আক্রমণ করতে সক্ষম।
ডিএফ-৪১: চীনের এই ৯ হাজার পাল্লার এই মিসাইল সামনে আসার পরে হতবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। কারণ মার্কিন এসজিএম-৩০ মিসাইলের চেয়েও বেশি পাল্লার হলো এই ইন্টার কন্টিনেন্টাল মিসাইল। বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক পাল্লার ইন্টার কন্টিনেন্টাল মিসাইল এটি। এর গতিবেগ ম্যাক ২৫ অর্থাৎ ৩০,০০০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা। এবং রেঞ্জ ১৫০০০ কিলোমিটার।
চীনের বেশিরভাগ অস্ত্রই অনুকরন করা। নিজেদের তৈরি করা অস্ত্র প্রায় নেই বললেই চলে। অর্থাৎ যা তারা নিজেরা তৈরি করেছে।