মালগাড়ির ইঞ্জিন দিয়ে বাংলাদেশকে যেভাবে সাহায্য করেছিল ভারতবর্ষ
নিউজ ডেস্কঃ না ঠেকলে কোনোদিন কারও শিক্ষা হয়না। আর সেই অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের। কারন ইতিমধ্যে চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন ক্রয় করে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাদের নৌবাহিনী এরপর তারা আবারও এক বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে লোকমোটিভ (রেলের ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিন যা বিরাট পরিমাণ ওজন টানে এককথায় মালগাড়ি বা দূরপাল্লার ট্রেনে ব্যবহার করা হয়) ক্রয় করে বিরাট ভাবে পস্তাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের রেল লোকমোটিভের অভাব থাকায় কিছুমাস আগে ১০ টি ডিজেল লোকমোটিভ উপহার দিয়েছিল ভারতবর্ষ, যেগুলি পুরনো থাকলেও এখনও ২৫ থেকে ৩০ বছর সার্ভিস লাইফ রয়েছে। এই লোকমোটিভ গুলির ক্ষমতার পাশাপাশি বেশ ভালোভাবেই রয়েছে। তবে যেহেতু বাংলাদেশের এই মুহূর্তে ৭০ শতাংশ লোকমোটিভ এর অভাব রয়েছে সেই কারনে তারা নতুন লোকমোটিভ ক্রয় করার জন্য ভারতবর্ষকে টপকে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই এর সাথে চুক্তি করে।
২০২০ এর সেপ্টেম্বর মাসে সেগুলি বাংলাদেশকে ডেলিভারি দেয় দক্ষিণ কোরিয়া, তবে সেগুলি এখনও চট্টগ্রামের রেলডিপোতে পরে রয়েছে। কারন বাংলাদেশ রেলওয়ের থেকে ইন্সপেকশান করার পর দেখা গেছে বাংলাদেশ যে ধরনের ক্ষমতা সম্পন্ন লোকমোটিভ ক্রয় করতে চেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া তার উল্টো ইঞ্জিন দিয়েছে। আসলে এই ইঞ্জিন গুলির ক্ষমতা খুবই কম। বাংলাদেশ চেয়েছিল TA12-CA9 অল্টারনেটর মডেল ক্রয় করতে আর দক্ষিণ কোরিয়া TA9-12CA9SE মডেলের ইঞ্জিন দিয়েছে যার হর্সপাপয়ার অনেক কম। বিশেষ করে এগুলি ব্রডগেজের জন্য একদম উপযুক্ত নয়।
বাংলাদেশ অভিযোগ করার পর দক্ষিণ কোরিয়া তাদের জিনিস নিয়ে সবকিছু অস্বীকার করে। আসলে সবকিছু দেখার পর দেখা যায় যে বাংলাদেশের অনেক সিনিয়র অফিসার এই চুক্তির জন্য টাকা পয়সার দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে দুর্নীতি হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে নতুন করে চুক্তি করতে চাইছে। কিছুমাস আগে ভারতের দেওয়া ১০ টি লোকোমোটিভই বাংলাদেশের রেলওয়ের অক্সিজেনের মতন কাজ করছে।