পৃথিবী

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৈরি মুসলিম NATO। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্কঃ আফগানিস্তান থেকে শুরু করে সিরিয়া। পৃথিবীর বহু দেশই আজ বিধ্বস্ত জঙ্গি বাহিনীর দাপটে। পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশই এই জঙ্গিদের দাপটে অতিষ্ঠ আর সেই কারনে ২০১৫ সালে ৩৪ টি দেশ নিয়ে ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরিরিসম তৈরি করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মহম্মদ বিন সালমান। ইরাক, সিরিয়া, ইজিপ্ট, লিবিয়ার মতো দেশে জঙ্গিদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কাজ করতে এই সংগঠন গড়ে তোলা হয় মূলত। শুনি আধিপত্য সরকার নিয়ে এই সংগঠন শুরু হয়, শিয়া আধিপত্য কোনও সরকারকে তারা এই সংগঠনের সাথে যুক্ত করেনি সেইসময়। এই সংগঠন চালিত হয় মূলত জাতি সংঘ এবং অরগানাইসেশান অফ ইসলামিক কপারেশানের দ্বারা। বর্তমানে ৪১ টি দেশ রয়েছে সংগঠনে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ হল অরগানাইসেশান অফ ইসলামিক কপারেশানের অন্তর্ভুক্ত।

২০১৭ সালে পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ মিলিটারি কম্যান্ডার হন। সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইসলামিক দেশগুলির সেনা জোটের মাথায় বাসনো হয় তাঁকে। এই বিশেষ সংগঠনকে ‘মুসলিম NATO’ বলেও ডাকা হয়। মুসলিম NATOর কাজ কি?

এই সংগঠনে পাকিস্তান, সৌদি আরব মতো দেশ ছাড়াও রয়েছে তুরস্ক, আরব আমিরশাহী, ওমান, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়া।

পাকিস্তানের যোগ দেওয়াকে ভালো দৃষ্টিতে দেখেনি কূটনৈতিক মহল। বহু বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের জন্য এই বাহিনীর সঙ্গে ভারতের শত্রুতা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আইএস বাহিনী ঠেকাতে ২০১৫ তে এই বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়। বেশ কয়েকবার পাকিস্তানকে এই বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রথমে।

এই গ্রুপের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪১।

এই বাহিনীতে পাকিস্তানের যোগ দেওয়া ঠিক মনে করেনা একদল সমালোচক, পাশাপাশি পাকিস্তানের শিয়া সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করেছিল সেইসময়। যা পাকিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ।

ইসলামিক দেশগুলির সঙ্গে পাকিস্তান সম্পর্ক এখনও সেভাবে ভালো নয়, পাশাপাশি এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হলেও দেশের বাইরে এখনও কোনও অভিযানে সেনা পাঠায়নি পাকিস্তান।

সৌদি আরবের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো থাকার জন্যই তাদেরকে এই সংগঠনে যুক্ত করা হয় বলে মত অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞদের। পাকিস্তানকে নানাভাবে অর্থ সাহায্য করে থাকে সৌদি আরব। অন্যদিকে, কূটনৈতিকভাবে সৌদি আরব ও ইরান একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। দুই দেশই ইসলামিক বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে চায়।

এর প্রধান দপ্তর সৌদি আরবের রিহাদে। অফিশিয়াল ভাষা আরাবিক, ইংলিশ এবং ফরাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.