অ্যামেরিকা

চীনকে জবাব দিতে তাইওয়ানকে কোন ক্লাসের আমেরিকান মিসাইল দেওয়া হয়েছে জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে লড়তে পৃথিবীর বহু দেশ একজোট হয়েছে। চীনের আগ্রাসী মনোভাব যে দিন দিন বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারনে একাধিক সমস্যায় পরতে হচ্ছে পৃথিবীর বহু দেশকে। আর সেই কারনে ভারতের পাশাপাশি পৃথিবীর বহু দেশ চীনের বিরুদ্ধে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে মোতায়েন করে রেখেছে।

PAVE PAWAS। আমেরিকার রেডার। ১৯৮০ এর দিকে তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষ রেডারটি। বর্তমানে আমেরিকা সহ তাইওয়ানে এ্যক্টিভ রয়েছে। অনেকেরই ধারনা যে এটি বেশ শক্তিশালী রেডার। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে এই রেডার চীনের হাড়হিম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাইওয়ানে অবস্থিত এই রেডারটির সর্বাধিক রেঞ্জ ৩০০০ নটিক্যাল মাইল বা ৫৫০০+কিমি। দূর থেকে লঞ্চ হওয়া যেকোনো মিসাইলকে মুহূর্তের মধ্যে শনাক্ত করতে পারে আমেরিকার এই রেডার।  পাশাপাশি এই রেডার একটি প্রোজেক্টাইল বা আর্টিলারি শেলকে ২০০০কিমি দূর থেকেই শনাক্ত করতে পারে।

একটা উদাহরন দিলে হয়ত আপনাদের কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে, তাহল তাইওয়ানের তুলনায় জাপান, উত্তর কোরিয়া জাপানের অনেক কাছে। উত্তর কোরিয়া কোনোসময় কোনো মিসাইল লঞ্চ করলে তা জাপানের বেশ কয়েক মিনিট আগেই তাইওয়ান সেই মিসাইলকে শনাক্ত করতে সক্ষম। জাপানের এইজিস ডেস্ট্রয়ারও এই PAVE PAWAS এর কাছে অনেক কম শক্তিশালী।

আমেরিকার থেকে ক্রয় করা এই বিশেষ রেডারটি সরাসরি তাইওয়ানের এ্যন্টি ব্যলিস্টিক মিসাইল এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যেমন PAC-III (প্যট্রিয়ট), TK-2 ও TK-3 এর মত সিস্টেমকে তথ্য প্রদান করে। এটি অত্যন্ত হাইরেজোলিউশান রেডার। এই রেডারই আমেরিকা তাদের দেশে প্রাথমিক রেডার হিসাবে মোতায়েন করে রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.