চতুর্থ শক্তিধর দেশ হয়েও ভারতবর্ষের কাছে কি ধরনের যুদ্ধাস্ত্রের অভাব রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিরাটভাবে শিক্ষা নিচ্ছে গোটা ভারতবর্ষ। কারন এই যুদ্ধে যে দুটি দেশ জড়িয়েছে বললে খুব ভুল বলা হবে, কারন এই যুদ্ধে প্রচুর দেশের মত এবং বিরোধিতা কাজ করছে। তবে এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বিরাট ক্ষতি হয়েছে, পাশাপাশি ভারতবর্ষ শিক্ষা নিয়েছে, কারন এই হামলায় প্রচুর পরিমানে ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।
দুই দেশের যুদ্ধে ইউক্রেনে রুশ ৩৮০টি ব্যলিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল হামলা করেছে।
সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, ইউক্রেন বা সম্প্রতি যেকোনো যুদ্ধে একটা জিনিস লক্ষ্য করা গেছে, তাহল সাবসনিক ক্রুজ মিসাইলের মুহুর্মুহু ব্যবহার।
চতূর্থ শক্তিধর দেশ হয়েও ভারতবর্ষের হাতে এই অস্ত্রের ব্যপক অভাব রয়েছে। ব্রাহ্মোসের রেঞ্জ একেবারেই যথেষ্ট নয় ভারতের জন্য। বাকিটা এয়ার লঞ্চড। যতদিন পর্যন্ত ভারতবর্ষের হাতে ১৫০০কিমির সাবসনিক ক্রুজ মিসাইলের একটা ভান্ডার আসছে তত দিন ভারত একটা ডিফেন্সিভ ফোর্স হয়েই থাকবে।
ভালো করে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন যে চীন চাইলেই আমাদের দেশের যেকোনো শহরে সিজে-১০মিসাইলের বৃষ্টি করিয়ে দেবে। ভারত যদি সময় থাকতে চীনের জিপিএস জ্যাম না করে। ভারতবর্ষ কি এই একই কাজ করতে পারবে? না। প্রথমত ৯০শতাংশ চীনের সম্পদ আর বড় বড় শহর রয়েছে চীনের পূর্ব আর উত্তর পূর্বের অংশে। ভারতের থেকে হাজার হাজার কিমি দূরত্বে। আর দ্বিতীয়ত ব্রাহ্মোসের রেঞ্জ অনুযায়ী আমরা চীনের শুধু ফ্রন্টলাইন মিলিটারি ইনস্টলেশানেই হিট করতে পারবো। ব্যলিস্টিক মিসাইল লঞ্চ করা মানেই পরমাণু যু্দ্ধ। তাই অগ্নি আর কে সিরিজের মিসাইল শুধু শো-পিস ছাড়া আর কিছু না।