তেজসের প্রোডাক্সান রেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরে কত গুলি করে যুদ্ধবিমান তৈরি হবে ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজাস যে ইতিমধ্যে চীন এবং পাকিস্তানের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে তা ইতিমধ্যে প্রমান পাওয়া গেছে। তেজাসের আরও প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নতি করা হবে বলে মত ডিফেন্স বিশেষজ্ঞদের।
তেজাসকে ভারতের সেনাবাহিনীতে রাখার ফলে বেশ কিছু উন্নতিতে সাহায্য হয়েছে। তেজসের একটা বড় সুবিধা হল লাইট ও সিঙ্গেল ইঞ্জিন ফাইটার হওয়ায়। “কম্ব্যট এয়ার প্যট্রলিং” বা CAP এর জন্য এটি একটি দূর্দান্ত প্ল্যর্টফর্ম। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে দুই ইঞ্জিন বিমান সুখোই, মিগ-২৯ ও জাগুয়ারের মত বিমানের আধিপত্য রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তবে এরকম হেভি ওয়েট ফাইটারের অসুবিধা হল এই ফাইটার জেট গুলি বড় ও এদের CAP এর মত মিশনে সব সময় পাঠানো যায় না। কারন প্রতিদিন CAP মিশনে গেলে বড় দুই ইঞ্জিন ফাইটারের একটা মেইন্ট্যন্স ইস্যু তৈয়ি হয়। আর মেইন্ট্যন্স খরচও বেশি। আর তার ওপর রুশ বিমানগুলির মেইন্ট্যনেন্সের জন্য স্পেয়ার পার্টসের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
তাই বেশির ভাগে অঞ্চলে CAP এতদিন চলত মিগ-২১ এর উপর ভর করে। কিন্তু পুরনো মিগ-২১ এর খরচ যেমন বেশি হয়ে গিয়েছে ঠিক তেমনই সংখ্যায় কমে গেছে। মাঝা পথে ধ্বংস হওয়ায় এগুলিকে অবসর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে মিগ-২৭ ও ২১ এর অবসর করানোর ফলে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিমানবাহিনীর ফাইটার ক্রাশের সংখ্যা কমেছে।
তেজসের একটি বড় সুবিধা হল আর-৭৩ মিসাইল বাদে এটা সম্পূর্ন ওয়েস্টার্ন স্টাইলের বিমান। এতে সমস্ত কিছু দেশীয় ও কিছু জরুরি কম্পোনেন্ট ইউরোপ, আমেরিকা ও ইসরায়েলের থেকে ক্রয় করা। বিশেষ করে তেজাসের ইঞ্জিনটি আমেরিকার তৈরি। ফলে মেইন্টেনেন্সের খরচ ও সময় দুই কম।
চীন এবং পাকিস্তানের বিস্তৃত সীমানায় ভারতীয় বিমানবাহিনীকে নজর রাখতে প্রতিদিন বড় সংখ্যায় CAP চালাতে হয়। CAP এর মত মিশনে তেজসের মত ফাইটার জেটের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের তেজস ফ্লিট ভবিষ্যতে ১২৩টি হবে। অর্থাৎ ৪০টি মার্ক ১ + ৮৩টি মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান। তবে মাত্র এই সংখ্যা কোনো ভাবেই পর্যাপ্ত নয়।
ভারত সুখোই এর মত বড় বিমান গুলিকে CAP মিশন আর পাঠাতে চাইছেনা। কারন টাকা বাঁচানোর পাশাপাশি তেজসের প্রোডাক্সান রেট বৃদ্ধি করে এক্সপোর্টের রাস্তা খুলতে সক্ষম হবে। সেক্ষেত্রে ভারতের ডিফেন্সের উন্নতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে অনেক এগিয়ে যেতে পারবে।