সত্যি কি রাফালে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান-কে টেক্কা দিতে সক্ষম?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের হাতে থাকা রাফালে যে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানের থেকে যথেষ্ট এগিয়ে তা একাধিকবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে সত্যি কি রাফালে চীনের যে ২০ কে টক্কর দিতে পারবে?
জে-২০ বনাম রাফাল নিয়ে বিমানবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান বিরেন্দর সিং ধানোয়া বেশ জানান।
রাফাল ভারতের মাটি স্পর্শ করার পরই জে-২০ এর থেকে রাফালের সক্ষমতাকে যথেষ্ট এগিয়ে রাফালকে গেম চেঞ্জার আক্ষা দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিমানবাহিনীর প্রধান। চীনের এক প্রোপাগান্ডা সাইট থেকে “অনামী” কোনো তথাকথিত চৈনিক “এক্স-ফার্ট” দাবী করে রাফাল আর চীনের জে-২০ এর মধ্যে কোনো তুলনাই চলেনা। রাফালের তুলনায় জে-২০ এক প্রজন্মের ব্যবধানে বজায় রাখে। যেখানে রাফাল ৪.৫ প্রজন্মের ফাইটার সেখানে জে-২০ ৫ প্রজন্মের ফাইটার।
এরপরই উত্তর আসে ধানোয়া স্যরের তরফ থেকে। দুটি সহজ প্রশ্নে বিদ্ধ করে চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞদের
১/ জে-২০ যদি চীনের তথাকথিত আগের দাবী অনুযায়ী পঞ্চম প্রজন্মের হয় তবে এতে ক্যনার্ড কেন রয়েছে? অন্যান্য পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার যেমন রেপ্টর, এফ-৩৫ আর সু-৫৭ তে এমন ক্যনার্ড দেখা যায় না। ক্যনার্ড রেডার সিগনেচার বৃদ্ধি করে। ফলে মিটিওর এর শিকার হওয়া আরও সহজ হয়ে উঠবে জে-২০।
২/ জে-২০ পঞ্চম প্রজন্মের হলে এটা কেন সুপার ক্রুজ ক্ষমতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হলো? রাফালে সুপার ক্রুজ করার ক্ষমতা আছে। আর এর রেডার সিগনেচার বিশ্বের অনেক প্রথমসারীর ফাইটার গুলির থেকে ভালো।
তিনি আরও বলেন “আমি মনেই করিনা জে-২০ যথেষ্ট স্টেল্থ। ক্যনার্ড যথেষ্ট রেডার সিগনেচার বৃদ্ধি করে।”
উল্লেখ এর আগে কয়েকশ কিমি দুর থেকে ভারতের সুখোই চীনের জে-২০ কে শনাক্ত করেছিল। ভারতীয় বিমানবাহিনী কখনওই জে-২০ কে হুমকি হিসাবে মনে করেনি। এর থেকে বোঝা যায় বিমানবাহিনীর প্রযুক্তিগত দিক থেকে যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে। তার মানে এই নয় যে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। আরও ৩৬টার মত রাফাল অথবা এমএমআরসিএ সম্পন্ন করা আমাদের পাখির চোখ হওয়া উচিত।