নিউজ ডেস্কঃ চীন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করতে সর্বদাই এককদম এগিয়ে ভাবতে হবে। আর সেই কারনে ইতিমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী। বিশেষ করে ভারতবর্ষের হাতে থাকা মিসাইল নিয়ে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
চীনের কিছু জিনিস এবং পদক্ষেপ দেখার পর চীনের দেখান রাস্তাতে হাটতে চলেছে ভারতবর্ষ। অর্থাৎ তাদের তৈরি করা প্ল্যান গুলি দিয়ে চীনকেই চাপে ফেলতে চাইছে। প্রথমে স্পেশ কম্যান্ড এবং এ্যন্টি স্যাটেলাইট, তারপর এয়ার ডিফেন্স কম্যান্ডকে আলাদা করার পাশাপাশি থিয়েটার কম্যান্ড তবে সম্প্রতি রকেট ফোর্সকে এবার আলাদা করতে চাইছে। অর্থাৎ মিসাইল গুলির জন্য আলাদাভাবে ফোর্স গঠন করা হচ্ছে।
ভারত নিজের রকেট ফোর্স গঠন করতে চলেছে। এই ফোর্স তৈরি করার অর্থ হল ভারত নিজের কনভেনশেনাল ব্যলিস্টিক মিসাইলের স্টক বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর পরিমানে প্রোডাক্সানের কথা ভাবা হচ্ছে।
শর্ট, মিডিয়াম, ইন্টারমিডিয়েট ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যলিস্টিক মিসাইল ও বিভিন্ন রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল গুলিকে কনভেনশেনাল ওয়ারহেড দিয়ে আর্ম করে এই বিশেষ ফোর্সের হাতে তুলে দেওয়া হতে চলেছে। আর এই যুদ্ধাস্ত্র গুলি যুদ্ধের সময় শত্রুর ট্যক্টিকাল এবং স্ট্রেটেজিক টার্গেট গুলি হিট করবে।
তবে রকেট ফোর্সের অধীনে পরমাণু অস্ত্র থাকবে কি না সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। সাধারণত ভারতের পরমাণু অস্ত্র স্ট্র্যটেজিক ফোর্স কম্যান্ড বাদে কেবলমাত্র নৌবাহিনীর কাছেই রয়েছে। যেহুতু সাবমেরিনে মোতায়েন করা। সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র নেই। যদিও পৃথ্বি-১ আর্মি, পৃথ্বি ২ এয়ারফোর্স ও ধানুশ নৌবাহিনীর হাতে ছিল। তবে বর্তমান ইন-এ্যক্টিভ রয়েছে বলে সুত্রের খবর।
বর্তমানে চীনের কাছে পৃথিবীর সব থেকে বড় মিসাইলের স্টক রয়েছে। পুরোনো কিছু তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তাদের রকেট ফোর্সের হাতে ২৩০০-২৪০০ ব্যলিস্টিক মিসাইল রয়েছে। এর মধ্যে ৯০+ আইসিবিএম লং রেঞ্জ ব্যলিস্টিক ১২০০+ শর্ট রেঞ্জ ব্যলিস্টক মিসাইল ও ৩০০+ মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যলিস্টিক মিসাইল ৫০০+ ক্রুজ মিসিইল আছে।
ভারতবর্ষ নিজের এমন রকেট ফোর্স গঠন করে বড় প্রোডাক্সান লাইন খুলতে চলেছে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন ভারতবর্ষের কতোটা পরিমানে মিসাইলের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। পাশাপাশি ভারতবর্ষের কতোটা শক্তি বৃদ্ধি হবে তা কিছুটা হলেও স্পষ্ট।