ভারত

ভারতবর্ষের মিসাইল আটকাতে ব্যর্থ পাকিস্তান

নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানে অরজকতা এবং গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হয়েছে। কয়েকমাস আগে পাকিস্তানের ডিজি আইএসপিআর একটি প্রেস ব্রিফিং করে জানায় যে  ভারতের রাজস্থানে একটি ফ্লায়িং প্রোজেক্টাইল তারা প্রথমে শনাক্ত করে। সেটা ক্রমশ পাকিস্তানের বর্ডারের সমান্তরালে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে টার্ন নিয়ে পাকিস্তানের দিকে অগ্রসর হয়। ম্যাক-৩ সুপারসনিক গতিতে ১২৪কিমি যাওয়ার পরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হিট করে। তবে তাদের কথা অনুযায়ী এতে কোনও ওয়ারহেড ছিল না। ব্যপকভাবে তারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে আর তার সাথে ভারতের কাছে এবিষয়ে জবাবদিহিও চেয়েছে।

তবে এর থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে

প্রথমতঃ প্রোজেক্টাইল অনেক ধরনের হতে পারে। আর্টিলারি শেল, মিসাইল, সুপারসনিচ সুইসাইড ড্রোন ইত্যাদি।

তারা জানিয়েছে যে “সম্ভবত মিসাইল”। এখন কথা হল কোন মিসাইল? কারন ম্যাক ৩ গতির দুটি মিসাইল ভারতবর্ষের হাতে রয়েছে। প্রথম ব্রাহ্মোস আর দ্বিতীয়ট রাশিয়ান কোএইচ-৩১! কিছুই পরিস্কার করে জানানো হয়নি পাকিস্তানের তরফ থেকে।

কেএইচ-৩১ হলে এয়ার লঞ্চড। সেক্ষেত্রে বিমান থাকবে যা আগে থেকে পাক রেডারের শনাক্ত করার কথা। কিন্তু তেমন কোনও শনাক্তকরনের খবর তারা দেয় নি।

যদি ব্রাহ্মোস হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন রয়েছে সেক্ষেত্রে

প্রথমতঃ পরীক্ষা করতে গিয়ে দিক ভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানে গেছে অর্থাৎ দুর্ঘটনার কারনে চলে গেছে কি? এখন প্রশ্ন হল যে ভারত কবে থেকে রাজস্থানে ব্রাহ্মোস পরীক্ষা করতে লাগলো? কারন ব্রাহ্মোস টেস্ট রেঞ্জ পূর্ব দিকে। বঙ্গোপসাগরের অঞ্চলে। রাজস্থানে ভারত ব্রাহ্মোস টেস্ট করে না।

দ্বিতীয়তঃ আগে থেকেই প্ল্যান করা হয়েছিল? যদি হয়ে থাকে তবে ভারত কেন একটা মিশনে টর্গেট হিট করার জন্য যে মিসাইল ব্যবহার করবে তাতে কোনও ওয়ারহেড থাকবে না? এটা কোনও যুক্তি হল?

সবথেকে বড় প্রশ্ন পাকিস্তানের কথা অনুসারে প্রথমে তারা এটা ভারতে শনাক্ত করেছে। তারপর পাকিস্তানের ভিতরে প্রবেশ করে ১২৪কিমি অভ্যন্তরে হিট করে। তাহলে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এইচকিউ-০৯ কি করছিল? ১২৪কিমি কি মুখের কথা? সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে তাদের এয়ারডিফেন্স ব্যর্থ।

যদি এটা ব্রাহ্মোস হয় তবে তা বুঝে তারা সরাসরি কেন ব্রাহ্মোসের নাম নিল না? একটা মিসাইল চিনতে পাকিস্তানের সেনাদের কেন এত সময় লাগছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published.