২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন হার মানাবে যে কোনও মহাকাব্যকেও
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয় কিন্তু রাতারাতি এই স্বাধীনতা আসেনি। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস, চন্দ্রশেখর আজাদ, মহাত্মা গান্ধী, ভগত সিং এমন বহু ব্যাক্তিত্বের বলিদান ও অনেক বিপ্লবের পর ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয় ভারতকে স্বাধীনতা দিতে। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার এই যাত্রা যেকোনও মহাকাব্যকেও হার মানাবে।
ষোলো শতক থেকেই ভারতে ইউরোপীয়ানদের প্রভাব বাড়তে থাকে। প্রথমে পর্তুগাল আসে, এরপর ফ্রান্স, ব্রিটেন আসে। আসলে চীন সহ দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় বানিজ্যের জন্য সবারই ভারত দরকার ছিল। কিন্তু ভারতে উপনিবেশ করবার কথা কেউ প্রথমে ভাবেনি ব্রিটিশরাও ভাবে নি। পরে বনিকের মানদন্ড রাজদণ্ডে পরিনত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ, ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধ, ১৭৬১ সালে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ এবং ১৭৯৯ অবধি চারটি মহীশুরের যুদ্ধ এবং বেসিল চুক্তি ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভিত মজবুত করেছিল। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতে পরিপূর্ণ উপনিবেশ তৈরি করে ব্রিটেন এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সরিয়ে দিয়ে ব্রিটিশ রাজ শুরু হয়। একসময় ভারত বিশ্বের জিডিপির ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রন করত কিন্তু ব্রিটিশ শাসনে ভারতের অর্থনীতি খারাপ হয়ে যায়। ব্রিটিশরা প্রথমে বাংলাকে দখল করে কারন সেইসময় বঙ্গের মাধ্যমে এশিয়ায় ৬০ শতাংশ বানিজ্য হত। এরপর বোম্বে ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি তৈরি করে ব্রিটিশরা ভারতে রাজত্ব শুরু করে। ১৮৮৫ সাল ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময় কারন এই বছর জাতীয় কংগ্রেস তৈরি হয়।
জাতীয় কংগ্রেস প্রথমে ব্রিটিশদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলছিল। ১৮৮৫-১৯০৫ সাল অবধি কংগ্রেসে নরমপন্থী দল যেমন দাদাভাই নওরেজী, গোপালকৃষ্ণ গোখলেরা চাইত সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে ব্রিটিশদের সাথে আলোচনা করতে। কিন্তু ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গ ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয় এবং মুসলিম অধুষ্যিত অঞ্চল ও হিন্দু অধুষ্যিত অঞ্চলকে ভাগ করে দেয়। এরপরই ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে চরমপন্থী আন্দোলন শুরু হয়। এর নেতৃত্বে ছিল লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক ও বিপিনচন্দ্র পাল, যাদের এক সাথে লাল বাল পাল হয়। পূর্ন স্বরাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং স্বদেশী আন্দোলনের মাধ্যমে সমস্ত ব্রিটিশ পন্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। ১৯০৭ সালে সুরাট অধিবেশনে কংগ্রেস দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় নরমপন্থী ও চরমপন্থী। ইংরেজরা চরমপন্থী দলের লোকেদের ধরে ধরে জেলে ভরতে থাকে কিন্তু নরমপন্থী লোকেদের কীছু বলেনি। নরমপন্থী দলের নেতা গোপালকৃষ্ণ গোখলের ধারনা ছিল ব্রিটিশরা তাদের সাথে আছে কিন্তু ১৯০৯ সালে মিন্টো মোর্লে রিফর্ম আসে যাতে ভারতীয়দের জন্য কোন আইন বা সংবিধান দেওয়াতো হয়ই না বরং ভারতে হিন্দু মুসলিম সমস্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং মুসলিমদের জন্য আলাদা নির্বাচক মন্ডলী তৈরি করা হয়, ততদিনে মুসলিম লীগও তৈরি হয়ে গেছে। তখন গোপালকৃষ্ণ গোখলে বুঝতে পারে তারা ব্রিটিশদের বিশ্বাস করে কী ভুল করে ফেলেছে।
এর পরবর্তী সাত বছর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন পুরো দমে যায়। অবশেষে ১৯১৬ সালে ঐতিহাসিক লাহোর অধিবেশন হয় যাতে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয়ই একে অপরের দাবী মেনে নেয়।
কংগ্রেসের আলাদা সংবিধান চাওয়ার অধিকার মুসলিম লীগ মেনে নেয় এবং মুসলিম লীগের আলাদা নির্বাচক মণ্ডলীর অধিকার কংগ্রেস মেনে নেয়। এই সময় ভারতে আগমন হয় মহাত্মা গান্ধীর। এর আগে তিনি দক্ষিন আফ্রিকায় ভারতীয় ও আফ্রিকান অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন৷ গান্ধীজি ভারতে এসেই প্রথমে ১৯১৭ সালে চম্পারন সত্যাগ্রহ শুরু করেন যা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের সবচেয়ে বড় বিজয় ছিল। তখন বিহারের চম্পারনে ব্রিটিশ সরকারের তিন কাঠিয়া সিস্টেম ছিল মানে ২০ কাঠা বা এক বিঘা জমির তিন কাঠাতে নীল চাষ করতে হবে। এর ফলে জমির উর্বরতা কমে যেত ফলে স্থানীয় মানুষরা খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন করতে পারত না এবং লোক প্রায় অনাহারে ছিল। এরপরই গান্ধীজী চম্পারন সত্যাগ্রহ শুর করে। সেসময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। ব্রিটিশরা এরপর গান্ধীজীকে বোঝায় ভারত যদি তাদের সাহায্য করে তাহলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ব্রিটিশরা ভারতের স্বাধীনতার কথা ভাববে। যার জন্য গান্ধীজী বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোককে বোঝায় ব্রিটিশদের সাহায্য করার জন্য কিন্তু ব্রিটিশরা যুদ্ধের শেষে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেসময় ভারতে প্রতি দশ বছর অন্তর আইন পরিবর্তন হত। ১৯১৯ সালে আসে মন্টেগো চেমসফোর্ড আইন। এই আইনে ভারতীয়দের কোন অধিকারই দেওয়া হয়নি। আবার এবছরই রাওলাট আইন নামে আরও একটি অত্যন্ত খারাপ আইন নিয়ে আসে ব্রিটিশরা যাতে বলা হয় কোন ব্যাক্তিকে সন্দেহ হলেই ব্রিটিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করবে এবং সে কোন প্রতিবাদ করা যাবে না। এই আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করে। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে এমনই এক প্রতিবাদী নিরস্ত্র মানুষদের উপর ব্রিটিশ সরকারের জেনারেল ডায়ার গুলি চালায় যাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। এরপরই মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করে। কিন্ত ১৯২২ সালে উত্তর প্রদেশের গোরখপুরের কাছে চৌরিচৌরাতে জনতা একটি পুলিশ স্টেশনকে আগুন লাগিয়ে দেয় যাতে ২২ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয় এবং গান্ধীজী এরপর অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় এবং রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেয় কারন গান্ধীজীর নীতি ছিল অহিংসা।
ভারতের রাজনীতিতে উদয় হয় ভগতসিং, চন্দ্রশেখর আজাদের মতন ব্যাক্তিত্বের। ১৯২৫ সালে লক্ষনৌ এর কাছে কাকোরীতে একটি ট্রেনে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করা হয় কারন এই ট্রেনে ব্রিটিশ সরকারের জন্য ভারতীয়দের কাছ থেকে জোর করে আদায়করা ট্যাক্স ছিল। কিন্তু এই পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনার পর থেকে ভারতীয়দের উপর ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার আরও বৃদ্ধি পায়। ১৯২৭ সালে আবারও আইন সংস্কার হয় ভারতে যার নাম দেওয়া হয় সাইমন কমিশন। আগেই বলেছি ভারতে প্রতি দশবছর অন্তর আইন সংস্কার হত কিন্তু সেবার একটু আগেই করা হয়। কিন্তু সাইমন কমিশনে আইন তৈরির জন্য যে সাতজন সদস্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে কেউই ভারতীয় ছিলনা আসলে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের যোগ্যই মনে করতনা। যার জন্য সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ শুরু হয় কিন্তু এই বিক্ষোভে পুলিশের লাঠি চার্জে মৃত্যু হয় লালা লাজপত রায়ের। ১৯২৮ সালে মোতিলাল নেহেরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস সম্পূর্ণ একটি খসড়া প্রকাশ করে যাকে নেহেরু রিপোর্ট বলা হয়। এতে বলা হয় ভারতীয়রা ব্রিটিশ সরকারের অধীনে না থেকে সম্পূর্ণ নিজস্ব আইন ব্যাবস্থা তৈরি করবে অর্থাৎ পূর্ন স্বরাজ। এই রিপোর্টে হিন্দু ও মুসলিমদের আলাদা আলাদা নির্বাচক মণ্ডলীরও বিরোধিতা করা হয়। ১৯২৯ এ লাহোর কংগ্রেসের অধিবেশনে পূর্ন স্বরাজ ঘোষিত হয়। এবছরই সংসদে বোম্ব হানার অভিযোগে গ্রেফতার হয় ভগত সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত। তবে ভগত সিং এমন জায়গায় বোম্ব ফেলেছিলেন যাতে কেউ আঘাত না পায়। ১৮৮২ সালে ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী ভারতীয়রা নুন তৈরি ও বিক্রি করতে পারত না বরং ব্রিটিশদের থেকে নুন কিনতে বাধ্য হত ভারতীয়রা। এর প্রতিবাদে ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ গান্ধীজী সবরমতী থেকে ৭৮ জন সহযোগী নিয়ে ২৪ দিন ধরে প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে ডান্ডি পৌঁছান। ইতিহাসে এই ঘটনা সল্ট মার্চ বা ডান্ডি অভিযান নামে খ্যাত। ব্রিটিশ পুলিশ ৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল এভাবে বেশী দিন ভারতীয়দের দমিয়ে রাখা যাবে না সেজন্য ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সাথে আলোচনায় রাজি হয়ে যায় এবং ১৯৩০ সালে ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল ও ব্রিটিশদের মধ্যে প্রথম গোল টেবিল বৈঠক হয় কিন্তু এই বৈঠক ব্যার্থ হয়ে যায় কারন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এই বৈঠক বয়কট করে।
কংগ্রেসের বহু নেতা সেসময় জেলে বন্দি ছিল তাই কংগ্রেস এই বৈঠকে যোগ দেয়নি কিন্তু মুসলিম লীগ যোগ দিয়েছিল। ১৯৩১ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড ইরউইন ও গান্ধীজীর মধ্যে একটি চুক্তি হয় যাতে বলা হয় গান্ধীজীকে দ্বিতীয় গোল টেবিল বৈঠকে যোগ দিতে হবে বদলে জেলে থাকা সমস্ত রাজনৈতিক কয়েদিদের ছেড়ে দেবে ব্রিটিশ সরকার। ১৯৩১ সালে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক হয় কিন্তু এটাও ব্যার্থ হয়ে যায় কারন কংগ্রেসের কোন দাবি ব্রিটিশ সরকার মানে নি। এরপর ভারতে নতুন ভাইসরয় হয়ে আসে উইলিংটন তিনি এসেই মহাত্মা গান্ধী সহ অনেককে জেলে বন্দি করেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই গান্ধীজী সত্যাগ্রহ শুরু করেন। ১৯৩২ সালে তৃতীয় গোল টেবিল বৈঠক হয় কিন্তু এটাও ব্যার্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৩৫ সালে গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া আইন আসে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এটি কারন একে আংশিক স্বাধীনতা বলা হয়। এতে জাতীয় কংগ্রেসকে নির্বাচন লড়ার ক্ষমতা দেওয়া হয় কিন্তু এখনও এত আন্দোলন করার পরও ব্রিটিশদের হাতেই ছিল ভারতের ক্ষমতা। যখন মনে হচ্ছিল ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে আর যাবে না ঠিক সেসময়ই ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এশিয়ার একটি দেশ জাপান ব্রিটিশদের পর্যদুস্ত করেছিল যাতে ভারতীয়দের মনে নতুন করে আশা জাগে ব্রিটিশদের পরাস্ত করার ব্যাপরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারত যোগ দিচ্ছিল না সেজন্য আমেরিকা, ফ্রান্স সব অ্যালায়েড ফোর্সের সদস্যরা ব্রিটেনকে জোর দিচ্ছিল ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেবার জন্য যার করনে ১৯৪২ সালে ব্রিটেন ক্রিপস মিশন পাঠায় ভারতে এবং বলা হয় যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারত যোগ দেয় তাহলে ভারতের স্বাধীনতার কথা তারা যুদ্ধের শেষে ভেবে দেখবে। এটাও বলা হয় ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রনে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্রিটেনের অধীনেই থাকবে। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও ব্রিটেন এই আশ্বাস দিয়ে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল সেজন্য এবার জাতীয় কংগ্রেস এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয় এবং ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধী ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলন যথেষ্ট সফল হয়েছিল, রেললাইন, টেলিগ্রাফ লাইন উপড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ ও জাপানের আক্রমনের ব্যাপারে চিন্তিত ব্রিটেন বুঝতে পারে ভারতে আর তারা থাকতে পারবে না। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় ব্রিটেনের যার কারনে ব্রিটেন ভারত ছাড়তে বদ্ধপরিকর ছিল কিন্তু এদিকে মুসলীম লীগ আলাদা দেশ পাকিস্তানের দাবি করতে থাকে যা অস্বীকার করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সেজন্য ব্রিটেন ভারতকে সময় বেঁধে দেয় এই সমস্যা সমাধান করার। ব্রিটেন জানিয়ে দেয় ১৯৪৮ সালের মধ্যে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর জন্য লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে পাঠানো হয়। লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব দেয় এবং মুসলিম অধুষ্যিত এলাকা নিয়ে পাকিস্তান গঠন হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট এবং ভারত গঠন হয় ১৫ আগস্ট। জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ব্রিটিশরা হিন্দু মুসলিমের মতন ভারতের হরিজন সম্প্রদায়দের জন্য আলাদা আইন তৈরি করে ভারতের ঐক্য নষ্ট করতে চেয়েছিল কিন্তু বি আর আম্বেদকর ব্রিটিশদের এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
অনেক অল্প শব্দের মধ্যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা বলা হয়েছে, যদিও ভারতবর্ষের স্বাধিনতা সংগ্রামের ইতিহাস এর থেকে কয়েক হাজার গুন বড়। স্বাধিনতা সংগ্রামীদের কথা বলতে গেলেই হয়ত কয়েক হাজার পাতার বই প্রকাশ পাবে। তবুও অল্প শব্দের মধ্যে ভারতবর্ষের স্বাধিনতা সংগ্রামকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।