ব্রহ্মস মিসাইল মোতায়েন সাবমেরিনেও!
নিউজ ডেস্কঃ এই দশক যে ভারতের নৌবাহিনীর জন্য স্মরণীয় বছর হয়ে থাকতে চলেছে তা আগেই বলা হয়েছিল, কারন একের পর এক বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে সাবমেরিন বা ব্যালেস্টিক মিসাইল আসছে সাবমেরিন গুলির জন্য। বিশেষ করে নৌসেনার কথা মাথায় রেখেই একাধিক যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ব্রহ্মস থেকে শুরু করে ক্যালিবার বা হারপুনের মতো ভারতবর্ষের হাতে বর্তমানে বেশ কিছু ধরনের ক্রিজ মিসাইল রয়েছে। তবে সাবমেরিন থেকে ব্যবহার করার মতো মিসাইলের সংখ্যা ভারতের হাতে কম। এক্সোয়েট এবং হারপুন মিসাইলকে একমাত্র সাবমেরিন থেকে লঞ্চ করা যায় বাকি মিসাইল গুলিকে সাবমেরিন থেকে ব্যবহার করতে না পারার সবথেকে বড় কারন হল এর জায়গা। ব্রহ্মস মিসাইলকে এখনও সাবমেরিন থেকে লঞ্চ করা সম্ভব হয়নি কারন এর ডায়ামিটার ০.৬ মিটার যা সাবমেরিনের জন্য উপযুক্ত নয়। কারন ভারতবর্ষের হাতে থাকা সাবমেরিন গুলির ভারটিক্যাল লঞ্চ সিস্টেম নেই। আর সেই কারনে মিসাইল লঞ্চ করার জন্য টর্পেডো ব্যবহার করতে হয়। একটা টর্পেডো টিউব কমবেশি 533MM বা ২১ ইঞ্চি হয়। আর এতো বেশী ডায়ামিটার হওয়ার কারনে ব্রাহ্মস এতে ফিট হয় না। সেই কথা মাথায় রেখে P-75I টেন্ডার ভারতবর্ষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতবর্ষের হাতে আসতে চলা সাবমেরিন গুলোতে ভারটিক্যাল লঞ্চ সিস্টেম থাকবে যাতে ব্রাহ্মস ফিট করা সম্ভব হয়।
ভারতবর্ষের নৌবাহিনীর সাবমেরিন ফ্লিটের কথা মাথায় রেখে বেশি রেঞ্জের সাবমেরিন লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল তৈরি করছে ডি আর ডি ও। মিসাইলটির নাম হল NGSLCM বা নেক্সট জেনারেশন সাবমেরিন লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল। সর্বশেষ হাতে আসা হারপুন না এক্সয়েট মিসাইলের থেকেও এটি অনেকাংশে ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এটি তৈরি করা হচ্ছে। এই মিসাইলটির ব্যাপারে ডি আর ডি এর থেকে বেশি কিছু জানায়নি।