৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় করা থেকে কেন পিছিয়ে এসছে ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে থাকা প্রচুর যুদ্ধাস্ত্রের যে পুরনো হয়েছে তা ইতিমধ্যে অনেকবারই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে সেগুলিকে এখনও পরিবর্তন করা হয়নি। পাশাপাশি বাজেটের কারনে ভুগতে হচ্ছে ভারতের অনেক প্রোজেক্টকেই, শুধু তাই নয় কিছু নতুন যুদ্ধাস্ত্র বিরাটভাবে দরকার পড়লেও তা ক্রয় করা হচ্ছে না শুধুমাত্র বাজেটের কারনে।
সোভিয়েতের আমল থেকে প্রচুর যুদ্ধাস্ত্র ভারতের হাতে আছে যা প্রচুর বয়েস হয়েছে। সেগুলিকে ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা দরকার। ভারতের হাতে থাকা সোভিয়েত আমলের এয়ার ডিফেন্স বন্দুক ZU 23 2B। বহু বছর ধরে এই বন্দুক হাতে রয়েছে সেনাবাহিনীর। তবে এবার এই বন্দুককে বিরাট ভাবে আপগ্রেড করা হয়েছে। কিছুমাস আগেই শোনা গিয়েছিল পুরান হতে যাওয়া বন্দুক গুলো পরিবর্তন হতে চলেছে। তবে এর পরিবর্তে এর রিপ্লেসমেন্টের জন্য 5 বিলিয়ন ডলার খরচ হত। কিন্তু এই মুহূর্তে এত অর্থ(mod) মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স পক্ষে দেওয়া মুশকিল ছিল, সেই কারনে পুরান বন্দুক গুলো আপগ্রেড করা হয়েছে।
বন্দুক গুলি যাতে দিনে এবং রাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে সেই কথা মাথায় রেখেই আপগ্রেড করা হয়েছে। ম্যানুয়াল ভাবে (ফায়ার )অপারেট করা বন্দুক গুলোকে ইলেক্টরো অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম EOFCS যোগ করা হয়েছে, যার ফলে সেনার ক্রপস এয়ার ডিফেন্স দিনে এবং রাতে, মরুভূমি থেকে শুরু করে পাহাড়ে থেকে সমতলে শত্রুপক্ষের টার্গেট কে এনগেজ করতে পারবে। এই বন্দুকের আপগ্রেডেশনের ফলে এতে যোগ হয়েছে ডে এন্ড নাইট ক্যামেরা, লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার ও ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল কম্পিউটার দিয়ে।
সম্প্রতি এই আধুনিকীকরণ ফলে বন্দুকটি 2500 মিটার প্রর্যন্ত এরিয়াল টার্গেট এনগেজ করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এই বন্দুক মিনিটে 300 রাউন্ড ফায়ার করতেও সমর্থ হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছে পুঞ্জ লয়েডে। এই প্রক্রিয়ার জন্য মোট খরচ পরেছে 670 কোটি টাকা।