ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতায়েন ভারতবর্ষের
নিউজ ডেস্কঃ ভারত এবংচিন সংঘর্ষের পর যেভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজেদের অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে সত্যি তা চোখে পরার মতো। কারন চীন সীমান্তে কোনও খামতি রাখতে চাইছেনা সেনা। আর সেই কারনে একাধিক মিসাইলের পরীক্ষা থেকে শুরু করে সিরিজ প্রডাকশান করতে চলেছে সেনাবাহিনী। আর বেশিরভাগই করা হচ্ছে সীমান্তে যেন কোনোরকম খামতি না থাকে। বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে বিরাট সংখ্যক মিসাইল রেডি টু ফায়ার মুডে রাখা রয়েছে। এবং আরও মিসাইল যাতে সীমান্তে মোতায়েন করা যায় তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী।
চীন ও ভারতের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এবার ভারত নিজের প্রথম আইসিবিএম মোতায়েন শুরু করছে। ইতিমধ্যে অগ্নি-৫ কে একাধিকবার ক্যনিস্টার থেকে লঞ্চ করে ভারত এই সিস্টেমের গতি এবং বিধ্বংসী ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।
সরকারী সুত্র অনুযায়ী “অগ্নি-৫ এর সিরিজ প্রোডাক্সান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই মিসাইলের প্রথম ব্যাচ আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে মোতায়েন করা হবে। অগ্নি-৫ এর মোতায়েন আরও লং রেঞ্জ মিসাইল উন্নয়নের পথ প্রসস্থ করবে যা এখন ড্রয়িং বোর্ডে আছে।”
পাশাপাশি রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারত অগ্নি-৫ এর মোতায়েন সাথে শিঘ্রই এমআইআরভি সিস্টেমের পরীক্ষা করতে চলেছে যার ফলে ভারত এর রেঞ্জ আরও কয়েকশো থেকে ১ হাজার কিমি প্রর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে। যেহুতু একাধিক ওয়ারহেড আলাদা হওয়ার পর এগুলি বেশ কিছুটা স্পেশ গ্লাইড করতে সক্ষম। আর অবশ্যই এনআইআরভি এর ফলে একটি মিসাইলের মাধ্যমে একাধিক টার্গেটকে ভারত লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হবে। ম্যাক ২৪ গতিতে অর্থাৎ ৩০০০০ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে প্রায় ৮০০০ কিমি পর্যন্ত হামলা করতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি ১৫০০ কেজির ওয়ারহেড নিয়ে হামলা করতে পারে।
ভারত এই বছর এ্যওয়াক্স, আন্ডার ওয়াটার ড্রোন ও তেজস মার্ক-২ এর মত প্রোজেক্টে গূরুত্ব দেবে বলে জানা গেছে। এই বছর তেজস মার্ক-২ এর প্রটোটাইপের স্টিল কাটিং শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।