সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন
নিউজ ডেস্কঃ ভারত-চীন উত্তেজনার অন্যতম কারন যে ভারতের দ্রুত রাস্তা তৈরি করা তা বলেছে একাধিক আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। যেকোনো দেশের বর্ডারে মিলিটারি পাঠাতে এই রাস্তাই বিরাট বড় কাজ করে। এবং দ্রুততার সাথে বর্ডারে সরঞ্জাম পাঠানোর ক্ষেত্রে এই রাস্তা এক বিরাট বড় ভুমিকা পালন করে। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এই রাস্তা উন্নয়নের পেছনে সেভাবে ভাবতেই দেখা যায়নি। বিশেষ করে ১৯৬২ ভারত-চীন যুদ্ধের পর এক ধারণার জন্ম দেয় যে রাস্তা তৈরি করলে চীনের সেনাবাহিনী নাকি সেই রাস্তা দিয়েই ভারতবর্ষে প্রবেশ করবে। এরকম একটা বিশেষ নেগেটিভ এবং ন্যক্কারজনক ভাবনার কারনেই একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতবর্ষকে দীর্ঘদিন ধরে।
যেকোন দেশের বর্ডার এ মিলিটারি শক্তিশালি রাখতে যেটা সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় সেটা হল বর্ডার সংলগ্ন এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়ন সহ রোড তৈরির কাজ। ভারত চীন সীমান্ত LAC বা লাইন অফ অ্যকচুয়াল কন্ট্রোলে ২০০৮-২০ পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ বছর উন্নয়নের হিসাব দেখেন তাহলে এক্ষেত্রে দু ভাগ করা উচিত একটি ২০০৮-১৪ এবং আরেকটি ২০১৪-২০।
যেখানে দেখতে পাবেন যে ২০০৮-১৪ অর্থাৎ এই দীর্ঘ ৬ বছরে LAC তে রোড নির্মাণ হয়েছে ৩৬১০ কিমি, ব্রিজ তৈরি হয়েছে ৭২৭০ মিটার এবং একটি টানেল নির্মাণ হয়েছে।
২০১৪-২০ :- এই সময় LAC তে রোড নির্মাণ হয়েছে ৪৭৬৪ কিমি, ব্রিজ নির্মান হয়েছে ১৪,৪৫০ মিটার এবং ৬ টি টানেল নির্মান হয়েছে। অর্থাৎ পার্থক্যটা চোখে পরার মতো।
২০০৮-১৬ পর্যন্ত সরকার LAC এর রোড নির্মাণে ৪৬০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। কিন্তু ২০১৬ এর পর থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত ১১৮০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে যা পূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুন। সুতরাং যেখানে ২০০৮-১৬ পর্যন্ত প্রতি বছরে ৫৭৫ কোটি টাকা খরচ করা করা হয়েছে, সেখানে রোড নির্মানে শেষ চার বছরে প্রতি বছর ২৯৫০ কোটি টাকা করে খরচ করা হয়েছে!
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজিক টানেল “সে-লা” টানেল। যা অরুনাচল প্রদেশে কমপ্লিট হতে চলেছে। এই টানেল নির্মাণ হলে চীনের বর্ডার এর কাছে তাওয়াং এ ভারতীয় সেনার মুভমেন্ট আরো দ্রুত গতিতে হবে। ২০১৬ এর পর থেকে এত দ্রুত রাস্তা তৈরি এবং পরিকাঠামো নির্মান করা হয়েছে। যা LAC জুড়ে যার জন্য চীন ক্ষেপে গেছে। চীন কোনোদিন আশা করতেও পারেনি যে ভারত এতো তাড়াতাড়ি এই কাজ করতে সক্ষম হবে।