দেশীয় যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন কোন দেশের থেকে ক্রয় করা হতে পারে?
নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেন ঝামেলা কিছুটা হলেও যে ভারতবর্ষের চোখ খুলে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। কারন বিদেশী জিনিসের উপর ভরসা না রেখে নিজেকে স্বনির্ভর হওয়াটা খুব দরকার। আর সেই কারনে আত্মনির্ভর প্রকল্পে আরও জোর দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে যুদ্ধবিমান থেকে শুরু যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন দেশীয় টেকনোলোজি এবং দেশের মাটিতে তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
কামান, ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধবিমানের ১০০% মেক ইন ইন্ডিয়া নিতীতে তৈরি করতে হবে। ভারত তেজস এর মতো যুদ্ধবিমান তৈরি করলেও ইঞ্জিন আমেরিকার, ইনজেকশন সিট ইংল্যান্ডের। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে ভারতবর্ষ এখনও কতোটা পরনির্ভরতা রয়েছে।
তামিলনাড়ুর আভাদি তে ট্যাঙ্ক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে তবে ইঞ্জিনের ব্যাপারে এখনও সেভাবে কিছু জানা যায়নি। এই ধরনের বিষয়ের সুরাহা হওয়া উচিৎ। তার জন্য প্রয়োজন ডিফেন্স রিসার্চ এ বেশি করে টাকা বরাদ্দ করা।
গুলি,গোলা,বারুদ ইত্যাদি যেগুলো ওয়ার ওয়াস্টেজ রিজার্ভ বলা হয় সেগুলো সমস্ত মেক ইন ইন্ডিয়া তৈরি করতে হবে… কিছু মাস আগেও ভারত তার বোফর্স & M777 কামানের জন্য আমেরিকা থেকে গাইডেড শেল আমদানি করলো যার ১ পিস এর দাম ১ কোটির উপরে.. কিন্তু দীর্ঘকালীন যুদ্ধের প্রাথমিক শর্ত হলো নিজের ওয়র ওয়াস্টেজ রিজার্ভ নিযে তৈরি করা।
একটা কথা বা বললেই নয় তাহল যে নিজের ক্ষমতায় যুদ্ধ করতে হবে।
যুদ্ধকালীন আবহে রাশিয়া যদি S400 ডেলিভারি দিতে দেরি করে সেক্ষেত্রে ভারতকে অতি দ্রুত MRSAM, AKASH NG,QR SAM এই তিনধরনের এয়ার ডিফেন্স মিসাইল প্রচুর পরিমানে অতি দ্রুত অর্ডার করতে হবে…
রাশিয়া S400 ভারতকে দিলেও এই তিনধরনের মিসাইল এই মুহূর্তে ভারতের খুবই দরকার..
বিমানবাহিনীর ম্বফ(তেজস মার্ক ২) এবং নেভীর TEDBF কে অতি দ্রুত প্রোডাকশনে আনতে হবে..
দাম বাড়তে চলেছে ক্রড অয়েলের। অর্থাৎ রিজার্ভ বাড়াতে হবে ভারতকে…
অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম সার্ভিসে নিয়ে আসতে হবে।
এইসকল জিনিস ভারতবর্ষের হাতে থাকলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশান করা আরও বেশি সম্ভব হবে।আমেরিকার চুপ করে বসে থাকবে সর্বদাই। কারন চীন যদি অপারেশন তাইওয়ান শুরু করে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা.. সেক্ষেত্রে চীনের পরবর্তী টার্গেট হতে পারে অরুণাচল, অরুণাচলে চীন ভারতকে মারবে কিন্তু লাদাখে ভারতের কাছে মার খেয়ে যাবে..