নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া এবং চীন একে অপরের সাথে একাধি প্রোজেক্টের কাজ করছে কিছু সকলের সামনে আসলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা সেভাবে জানা যায়না। এস ৪০০ এর মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বহু আগেই রাশিয়ার থেকে ক্রয় করেছে চীন, আসলে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রেতা হল চীন, অতয়েব একটা কথা স্পষ্ট যে চীন এবং রাশিয়ার সামরিক ক্ষেত্রে প্রচুর কাজ হয়ে থাকে।
বিশ্বের সবথেকে আধুনিক হেলিকপ্টার বানাতে বহু আগেই জোট বেঁধেছে চীন এবং রাশিয়া। পরবর্তী প্রজন্মের এই হেলিটি তৈরিতে দুই দেশই আগ্রহী।
নতুন এই হেলিকপ্টারটি আসলে রাশিয়ার এমআই-২৬ হেলিকপ্টারের উন্নত ভার্সন। রাশিয়ার এক পুরস্কারপ্রাপ্ত সামরিক পাইলটের মতে “নতুন হেলিকপ্টার এমআই-২৬ হেলিকপ্টারের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।” তিনি জানান, নতুন হেলিকপ্টারে ইনটিগ্রেইটেড এয়ারবোর্ন রেডিও সাবসিস্টেম থাকবে যা যে এটির চলাচলকে আরও সহজ করে তুলবে। পাশাপাশি ফ্লাইট মিশনকেও স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এক বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন যে “রাশিয়া এবং চিনের ডিসাইনারদের যৌথ প্রচেষ্টায় পৃথিবীর সবথেকে বড় এবং শক্তিশালী হেলিকপ্টার তৈরি হতে চলেছে।”
এক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের মতে “হেলিকপ্টারটি তৈরিতে চীনের কাছে আছে উন্নত প্রযুক্তি এবং রাশিয়ার কাছে আছে বিশেষ অভিজ্ঞতা। আর এই দুইয়ের মিলিত কাজ নিখুঁত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিশেষ হেলিকপ্টারটি সর্বাধিক লিফট অফ ওয়েট ৪০ ম্যাট্রিক টন হতে চলেছে। পাশাপাশি এর পেলোড ক্ষমতা ১৫ টন হতে চলেছে ৬৩০ কিলোমিটার রেঞ্জে। ৩০০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ। এছাড়াও এটি ৫৬ টন ক্যাটাগরির হেলিকপ্টার হতে চলেছে। চীন এবং রাশিয়ার যৌথ প্রোজেক্টে মোট ২০০ টি এই ধরনের হেলিকপ্টার তৈরি হতে চলেছে।