আমেরিকার সেনাদেরকে আটকে রেখেছিল ইরান। কেন জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক সমীকরণ কিভাবে বদলে যায় তা দীর্ঘদিন ধরে দেখলে বুঝতে পারা যাবে। দশকের পর দশক চোখ রাখলে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কিভাবে বদলে গেছে। বিশেষ করে আমেরিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রতিটা দশকে তাদের বন্ধু বা শত্রুর তালিকা কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে। তবে যেকোনো দেশের বা সারা পৃথিবীর সমীকরণ বদলানোর পেছনে রয়েছে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বা সেই দেশের রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব বা নীতি।
আমেরিকার সাথে এখন আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক ইরানের। ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে বিরাট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই দেশটিকে। পাশাপাশি কিছু সূত্রের মতে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক প্রস্তুতিও নিয়েছে তারা। যেমন জাহাজের রেপ্লিকা তৈরি করে ট্রেনিং এর পাশাপাশি আমেরিকার সেনাদের আটকে রাখার মতো ব্যাপার বেশ কিছু বছরে দেখা গেছে। তবে ইতিমধ্যে তাদের বেশ গিপন প্রোজেক্ট সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে আমেরিকা।
কিছু বছর আগে নিজেদের মিসাইল পরীক্ষা করেছিল ইরান। ‘ইমাদ’ বা ‘স্তম্ভ’ নামের এই বালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনও লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে আঘাত হানতে সক্ষম। নতুন এই ব্লাস্টিক মিসাইলটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন অ্যারোস্পেস ইন্ডাট্রিজ’এর বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্বই হল যেকোনও লক্ষ্য বস্তুকে অব্যর্থ নিশানা বানানো। এক একটি মিসাইলটি ৭৫০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ৩০০০ কিমি পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। পাশাপাশি লক্ষ্যবস্তুর ৫০০ মিটারের মধ্যেই নির্ভুলভাবে হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে এই বিশেষ মিসাইলতির। ৭৫০ কিলোগ্রামের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এটি ধ্বংস করে দিতে পারে বহু স্থান। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে ইরানের হাতে ছিল সাহাব নামের তিনটি মিসাইল। ২০০০ মিটারের মধ্যে নির্ভুলভাবে হামলা চালাতে সক্ষম। এই নিয়ে সেভাবে জানানো হয়নি ইরানের তরফ থেকে। গোপনেই এই মিসাইলের উন্নয়ন করছে ইরান, এমনটাই মত একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের।