ভারত

ব্রিটেনের অচল যুদ্ধবিমানের কারনে প্রান গেছে প্রচুর ভারতীয় পাইলটের। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্কঃ  ভারতবর্ষের কাছে এমন বেশ কিছু যুদ্ধবিমান ছিল যা ব্রিটেনের থেকে ক্রয় করলেও ভারতের নৌসেনার জন্য এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল। বিশেষ করে ভারটিক্যাল টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং করতে পারত। ব্রিটিশ এয়ারোস্পেস  সি হ্যারিয়ার। সংখ্যায় ৯৮ টি তৈরি করা হলেও ভারতের হাতে মোট ৩০ টি ছিল।

১৯৭৮ থেকে ১৯৯৩ সাল এর বিভিন্ন ভার্সন সামনে আসে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের নেভিতে দেখা গেলেও ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারতের নৌসেনার কাছে এই যুদ্ধবিমানটি ছিল। এটি তৈরি করা হয়েছিল নৌসেনার কথা মাথায় রেখে। ১৯৮২ সালে যুদ্ধবিমানটি ইংল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনা একসাথে ব্যবহার করেছিল ব্রিটিশদের অধিকৃত দ্বীপগুলির ওপরে। বিশেষত এটিকে ফকল্যান্ডস যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে।

বায়ুসেনার হাতে থাকা সেইসময় এটি একটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ছিল অর্থাৎ শব্দের থেকেও দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম ছিল যুদ্ধবিমানটি।

যুদ্ধবিমানটি সমুদ্রে বিভিন্ন অপারেশান চালাতে সক্ষম ছিল, বিশেষ করে সারচিং অপারেশান এবং আক্রমণ করতে সক্ষম ছিল।

ইন্ডিয়ান নেভিতে বিভিন্ন সময় এই বিমান গুলি ধ্বংস হয়েছে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কারনে। তবুও সেইসময় যুদ্ধবিমান গুলিকে রিপ্লেস করা হয়নি। ১৭ টি ক্রাসে ভারতের প্রায় ৭ জন ভারতের পাইলট মারা গেছে। এই যুদ্ধবিমান গুলিকে রাখা হত ভারতের আই এন এস ভিরাট এবং আই এন এস ভিক্রান্তে।

আসতে আসতে এগুলিএ রিপ্লেস করা হয় রাশিয়ার মিগ ২৯ কে যুদ্ধবিমান দিয়ে।

১৯৮৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ভারতের নৌসেনাকে সার্ভিস দিয়ে এসেছে এই যুদ্ধবিমান।

৪৬ লম্বা এবং ১২ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমানটি সর্বচ্চ ৩২২০ কিমি পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে সক্ষম হত।

আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভুমিতে হামলা চালাতে সক্ষম ছিল। এবং অ্যান্টি শিপ মিসাইল বহন করতে পারত যুদ্ধবিমানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.