ভারত

পাকিস্তানের ভেতর পর্যন্ত আক্রমন করতে ভারতবর্ষের কাছে কি ধরনের মিসাইল রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের হাতে আসতে চলেছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক এবং ভয়ঙ্কর অস্ত্র। দেশের সামরিক সংস্থা গুলি চেষ্টা করছে যাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র ভারতবর্ষের হাতে আসে। এর ফলে অস্ত্র বিদেশের অনুমতি বা আলোচনা ছাড়াই উন্নয়ন করা যাবে পাশাপাশি যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষমতা পুরোপুরি গোপন থাকবে এবং ভবিষ্যতে বিদেশেও বিক্রি করা যাবে।

অগ্নি-প্রাইম। পরমাণু ওয়ারহেড ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যালেস্টিক মিসাইল। এই ব্যালেস্টিক মিসাইলের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১,০০০-২,০০০ কিলোমিটার। এবংএই মিসাইল অগ্নি-৩ সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলের ওজনের থেকেও কমপক্ষে ৫০% কম।

ভারতবর্ষের এই মিসাইল সেনাবাহিনীর বিভিন্ন টেলিমেট্রি এবং রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে অগ্নি-প্রাইম সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলের টেস্ট ফ্লাইটটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।

অগ্নি ৩ ব্যালেস্টিক মিসাইলের ওজন ৪৮ টন এবং এটি ৩,০০০-৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দুরুত্বের লক্ষবস্তুতে পারমাণবিক এবং প্রচলিত ওয়ারহেড দিয়ে আক্রমণ করতে পারে।অন্যদিকে  অগ্নি-প্রাইম মিসাইলের ওজন ২.৫ টন এবং এটি ১,০০০-২,০০০ কিলোমিটার দুরুত্বের মধ্যে সহজেই আক্রমণ করতে পারে। অফিসিয়াল রেঞ্জ সর্বচ্চ ২০০০ কিমি দাবী করা হলেও সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবী এর থেকে অনেক বেশি এই মিসাইলের রেঞ্জ। অগ্নি-প্রাইম ব্যালেস্টিক মিসাইলটি ওজনে অনেকটা হালকা হওয়ার কারনে এটিকে রেল বা সড়ক পথে কিংবা বিশেষ সামরিক যান থেকে খুব সহজেই আক্রমণ করা যাবে। অগ্নি সিরিজের আগের মিসাইল গুমি যথাক্রমে অগ্নি-১ এবং অগ্নি-২ সিরিজের তুলনায় অগ্নি-প্রাইম সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলের রকেট বুস্টারের মোটরগুলো অনেকটাই আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। 

ভারতবর্ষের দেশীয় সংস্থা ডিআরডিও জানিয়েছে অগ্নি-প্রাইম সিরিজের মিসাইলটি হচ্ছে একটি দুই স্তর বিশিষ্ট সলিড ফুয়েল প্রপেল্যান্ট বিশিষ্ট ব্যালেস্টিক মিসাইল। যা সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। অগ্নি-প্রাইম ব্যালেস্টিক মিসাইলে রিং-লেজার জাইরোস্কোপের ওপর ভিত্তি করে এর নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে এর ফলে গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল অ্যাকিউট সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে।

ভারতের অগ্নি সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলের মধ্যে অগ্নি-১ সিরিজের মিডিয়াম রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল (এমআরবিএম)। অগ্নি ১ এর ওজন ১২ টন এবং এর রেঞ্জ ৭০০-১,২০০ কিলোমিটার, অগ্নি-২ মিডিয়াম রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল (এমআরবিএম) এর ওজন ১৬ টন রেঞ্জ ২,০০০-৩,৫০০ কিলোমিটার। অগ্নি-৩ সিরিজের ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইআরবিএম) এর ওজন ৪৮ টন, রেঞ্জ ৩,০০০-৫,০০০ কিলোমিটার। অগ্নি-৪ সিরিজের ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইআরবিএম) এর ওজন ১৭ টন, রেঞ্জ ৩,৫০০-৪,৫০০ কিলোমিটার।

পাশাপাশি ভারতবর্ষের সার্ভিসে থাকা ইন্টারকন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) অগ্নি-৫ সিরিজের রেঞ্জের ৪৯ টন এবং এর রেঞ্জ ৫,০০০-৮,০০০ কিমি। বর্তমানে ভারতবর্ষের সবথেকে শক্তিশালী আণ্ডার ডেভল্পমেন্ট প্রজেক্ট ইন্টারকনিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) অগ্নি-৬ সিরিজের মিসাইল। যার ওজন ৫৫ টন, সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার হতে চলেছে। যদিও এই আন্ডার ডেভেলপমেন্ট রয়েছে। ২০২৫ সালে ভারতবর্ষের সামরিক বাহিনীর স্ট্যাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ইউনিটের হাতে পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। শত্রুপক্ষের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে সেনাবাহিনীতে সর্বশেষ যুক্ত হছে ট্যাক্টিক্যাল অগ্নি-প্রাইম সিরিজের এডভান্স টেকনোলজির মিডিয়াম রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল (এমআরবিএম)।

Leave a Reply

Your email address will not be published.