যুদ্ধবিমানের কান এবং চোখ কোন জিনিস গুলিকে বলা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র আসছে একের পর এক। যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজ। একের পর এক টেকনোলোজি অত্যাধুনিকিকরন ও করা হচ্ছে। যা হাতে পেলে ভারতের সামরিক পরিস্থিতির বিরাট উন্নতি হবে।
ভারতবর্ষের বায়ুসেনার জন্য নতুন টেকনোলোজি DRDO এর তৈরি “ধ্রুতি” DR-118। বলা বাহুল্য যে এই ওয়ার্নিং রিসিভার হল ভারতের তৈরি প্রথম আর পৃথিবীর অন্যতম সেন্সিটিভ রেডার ওয়ার্নিং রিসিভার।
তবে এই রেডার ওয়ার্নিং রিসিভারের কাজ কি?
আসলে যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টারের কান বা চোখ। এদের কাজ হল শত্রুর রেডার শনাক্ত করা। এরপর তার প্রকৃত অবস্থান পাইলটকে জানানো। আগে ভারতবর্ষ যে রিসিভার ব্যবহার করত তার নাম ছিল তরঙ্গ। এটি কাজ করত মেকানিক্যালি। কিন্তু বর্তমানে সব আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এর বৈশিষ্ট্য এবং পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা অনেকটাই কম ছিল। বর্তমানে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা এই টেকনোলোজি কিভাবে কাজ করে?
একটি রেডার যেমন ম্যপ তৈরি করে শত্রুর অবস্থান জানায় ঠিক তেমনই ধ্রুতিও তেমন করে। শুধু তাই নয়। এর প্রোসেসিং ইউনিট বেশ শক্তিশালী। ভারতের জ্যমারের সাথে খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারে এটি।
ইতিমধ্যে এই রেডার মিগ-২৯ইউপিজিতে অপরেশেনাল। সু-৩০এমকেআই তে আসার পর তেজস মার্ক-১এ পেতে চলেছে এই একই রিসিভার। আসলে এই এই প্যসিভ সেন্সর হল যেকোনো যুদ্ধবিমান, ট্র্যন্সপোর্ট হেলি আর হেলিকপটাররে মূল কান আর চোখ।