পৃথিবী

ইজিপ্টের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কারনেই পুরনো যুদ্ধবিমান ক্রয়

নিউজ ডেস্কঃ চীনের থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় করে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পাকিস্তানকে। আর সেই কারনে বহু দিন ধরেই চীনের যুদ্ধবিমান গুলিকে পরিবর্তন করে নতুন যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনতে চাইছে পাকিস্তান। তবে তারা নতুন যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে না পেরে ফ্রান্সের থেকে অনেক পুরনো যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছে। যেগুলিকে আসতে আসতে তারা আপগ্রেড করছে। তবে এত পরিমানে পুরনো যুদ্ধবিমান ক্রয় করল কেন পাকিস্তান।

ইজিপ্টের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর পুরনো যুদ্ধবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান।

দাসল্ট মিরাজ ৫। একাধিক ভ্যারিয়েন্টের মোট ১৩৫ টি যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছে পাকিস্তান, যার মধ্যে ৯০ টি সার্ভিসে আছে। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে এই যুদ্ধবিমান গুলি তৈরি করা হয়েছিল ৮০ র দশকের দিকে। যুদ্ধবিমান গুলি প্রায় ২৪০০ কিমি/ ঘণ্টার গতিবেগে হামলা চালাতে সক্ষম। যুদ্ধবিমান গুলি সর্বচ্চ ৪০০০ কিমি পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে সক্ষম এছাড়াও ৫৯০০০ ফুট উচ্চতা থেকে হামলা চালাতে সক্ষম। সাধারণত এই যুদ্ধবিমান গুলিকে আসতে আসতে সার্ভিসে আনা হচ্ছে চীনের জে এফ ১৭ এর জায়গায়। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই যে ফরাসি কোম্পানি এই যুদ্ধবিমান গুলি তৈরি করত। এই ফাইটার জেটের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে অনেকদিন আগেই। এমন যুদ্ধবিমান কেন ক্রয় করল পাকিস্তান? এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে আন্তর্জাতিক মহলে। তবে বাতিল হয়ে যাওয়া যুদ্ধবিমানগুলি নিজেদের মতো করে আধুনিক করছে পাক বায়ুসেনা।

তবে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান টেক্কা দিতেই যে এই যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছে তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে মিরাজ ২০০০, যার ধারে কাছে আসে না এই মিরাজ ৫। এই মিরাজ ২০০০ দিয়েই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক করিয়েছিল সেনাবাহিনী। ফলাফল গোটা বিশ্বের সামনে রয়েছে। এর পরে ভারত ফ্রান্সের থেকে দাসল্ট রাফায়েল ক্রয় করে। যা অত্যাধুনিক এবং বহুমুখি আক্রমণ শানাতে পারে। বলা বাহুল্য যে এখন ফ্রান্স কোনোরূপ অস্ত্র বিক্রি করতে চায়না পাকিস্তানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.